
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার রাত ৯টা থেকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এর তাণ্ডবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে; বাদ যায়নি রাজধানীও। মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে, সঙ্গে বইছে দমকা বাতাস।
অবশ্য এতে কয়েক দিনের অব্যাহত গরম কমে কিছুটা শীতলতা অনুভূত হচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করছে। তবে এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে, রেমালের প্রভাবে সোমবার ভোর থেকে রাজধানীতে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পড়ছে।
এতে শীতলতা অনুভব হচ্ছে। এছাড়া এদিন সোমবার সারা দেশেই থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি ঝরবে। আবহাওয়ার এমন অবস্থা মঙ্গলবারও (২৮ মে) থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার দিবাগত রাতে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এসব জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে
