TadantaChitra.Com | logo

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রূপালী ব্যাংক ডিজিএম’ এর যৌন হয়রানি কাণ্ড; স্বপদে বহাল রেখে হচ্ছে তদন্ত!

প্রকাশিত : মে ৩০, ২০২৪, ১৭:৫২

রূপালী ব্যাংক ডিজিএম’ এর যৌন হয়রানি কাণ্ড; স্বপদে বহাল রেখে হচ্ছে তদন্ত!

তদন্ত চিত্র ডেস্কঃ রূপালী ব্যাংক পিএলসি এর আইসিটি সিস্টেমস বিভাগের ডিজিএম মোহাম্মদ কাউসার মোস্তাফিজের নারী সহকর্মী প্রতি যৌন হয়রানি কাণ্ডে সরগরম রূপালী ব্যাংক পাড়ায়। বেশ কয়েকজন নারী কর্মীকে যৌন হয়রানী করলেও কেউ বদলীর ভয়ে অভিযোগ করার সাহস পাননি। তবে বদলী ভয়কে পাত্তা না দিয়ে এক নারী এই যৌন হয়রানীকারী ডিজিএমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর বিচার চেয়ে অভিযোগ দেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই নারীর করা অভিযোগের তদন্ত করতে করেন একটি দ্বায়সারা তদন্ত কমিটি। বিচার চাওয়া নারীকে বদলী করলেও যার বিরুদ্ধে এমন নারীবাজির গুরুত্বর অভিযোগ সেই ডিজিএম মোহাম্মদ কাউসার মোস্তাফিজকে রাখা হয়েছে স্বপদে বহাল।

অভিযোগ উঠেছে, যৌন হয়রানীর অভিযোগের তদন্তকারীরা অভিযোগ তদন্তের আগেই অপরাধীর পক্ষে যুক্তি দিচ্ছে। এমনকি উল্টো অভিযোগকারী নারীকে হয়রানি করার পায়তারা করছেন। এমনও হতে পারে অভিযোগকারী নারীকে চাকিরীচ্যুত করতে পারেন তদন্তকারীরা। মূলত তারা অপরাধীর পক্ষ হয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন। রূপালী ব্যাংকের আইসিটি সিস্টেম বিভাগে আরো অনেক নারী সহকর্মী এই ডিজিএম কাউসার মোস্তাফিজের যৌন লালসার স্বীকার হয়েছেন। তাদের ভাষ্য ডিএমডি হাসান তানভীর (যিনি বর্তমানে অভিযোগ তদন্ত কমিটির প্রধান) তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কাউসার মোস্তাফিজ এ ধরনের কাজ করার সাহস পায়। ডিএমডি হাসান তানভীরের কারণেই ডিজিএম কাউসার মোস্তাফিজকে স্বপদে বহাল রেখে নামেমাত্র তদন্ত করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগী জানান, তিনি অফিস রুমে ডেকে আমাকে অশ্লীলতা হানির চেষ্টা করেছেন, সম্ভবত উনি ঐদিন মদ খেয়ে অফিসে আসছিলেন। ওই সময় আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে হাত দেয়ার চেষ্টা করে, এসময় আমি দৌড়ে রুমের বাইরে চলে আসি এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। মোস্তাফিজ স্যার দীর্ঘদিন ধরেই আমার সাথে এমন করে আসছিলেন।

ভুক্তভোগী এ নারী সোনালী ব্যাংক পিএলসির আইসিটি সিস্টেমস বিভাগের ডিজিএম মোহাম্মদ কাউসার মোস্তাফিজের নিজ শাখার কর্মরত একজন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। তিনি বিষয়টা নিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ মোস্তাফিজ কাউসার কর্তৃক শারীরিক ভাবে অশ্লীলতার শিকার হওয়ার পর থেকে তার অভিযোগের বিষয় বিচার না করে উল্টো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ডিজিএম এর সাথে সখ্যতা রয়েছে এমন কয়েকজন কর্মকর্তা।

অফিস চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে এমন যৌন হয়রানির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী থাকার পরেও, বেশ কয়েকদিন পার হয়ে হলে এখনো কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও কাগজে-কলমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটি এখনো পর্যন্ত উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কাউকেই তলব করেনি।

“রূপালী ব্যাংকে নারী সহকর্মীরা কতটা নিরাপদ! ঘটনার পর থেকে এমন প্রশ্ন রূপালী ব্যাংক পাড়ায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে।

যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার সহ ঊর্ধ্বতন বিভিন্ন পথে নারীদের অবস্থান জয়জয়কার, খোদ সেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক তারই নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠা কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা ভাবার অবকাশ নেই।

যৌন হয়রানী করার অভিযোগ ওঠা রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম এর বিষয় ব্যাংক পাড়ায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় খোদ এমডি মহোদয়ের খুব কাছের কর্মকর্তা বনে যাওয়া কাওসার মুস্তাফিজ এমন আরো একাধিক নারীকে পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে এর আগেও সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।

যৌন হয়রানি শিকার ওই নারীকে অন্যান্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে যার অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে। এছাড়াও ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা যাতে তদন্ত কমিটির নিকট সাক্ষী না দেয় সে ব্যাপারেও চাপ দিয়েছেন ওই অভিযুক্ত ডিজিএম।

উক্ত অভিযোগের সরেজমিন অনুসন্ধান ও ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানের বিষয়টি অভিযুক্ত ডিজিএম জানতে পেরে একাধিক মহলের মাধ্যমে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যৌন হয়রানির অভিযুক্ত ডিজিএম তার নিজ এলাকা কুমিল্লার এক সিনিয়র সাংবাদিকের মাধ্যমে উক্ত প্রতিবেদকের সংবাদ প্রচার বন্ধে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এছাড়াও তার নিজের অপরাধের বিষয় ধামাচাপা দিতে ব্যাংকের বিজ্ঞাপন বিভাগের মাধ্যমে মোটা অংকের বিজ্ঞাপন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েছেন প্রতিবেদক সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমক কর্মীকে!

ভুক্তভোগী নারী সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার জানান, আমার বিচার পাবো কি না জানি না, শুনেছি আমার চাকরির ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ডিজিএম স্যার। ওনার অনেক ক্ষমতা অনেক টাকা পয়সা আছে, আমার মত একজন দুর্বল নারীকে যেকোন কিছুই করতে পারে। যা কিছুই হোক আপাতত আমার প্রতি হওয়া যৌন হয়রানীর কঠিন বিচার চাই।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।