কাজী গোলাম সরোয়ার ৯৯ সালে বন বিভাগের প্রকল্পের চাকুরিতে লামা বন বিভাগে প্রথম যোগদান করেন। সেই থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত অদৃশ্য খুঁটির জোরে লামা বন বিভাগে রাজত্ব করে যাচ্ছেন। কোন সিএফ, কোন সি,সি,এফ তাকে বদলি করার সাহস পায়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বন প্রহরী বলেন বন অধিদপ্তরের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা যিনি সারা বাংলাদেশের বন কর্মচারীদের বদলি করে থাকেন তিনি কাজী গোলাম সারোয়ার এর এলাকার লোক হওয়ায় সারোয়ার কে কেউ বদলী করতে পারেন না। ঐ কর্মকর্তার দাপট দেখিয়ে লামা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিকট হতে কাজী গোলাম সারোয়ার মোটা অংকের মাসোহারা আদায় করেন। সি,সি,এফ বা সি,এফ তাকে বদলি করতে চাইলে অবৈধভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে তাদের ম্যানেজ করা হয়। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত লামা বন বিভাগে চাকরি করার সুবাদে স্থানীয় দুস্কৃতিকারী, গাছচোর, এলিগেটর বাহিনীর সাথে তার একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
কাজী গোলাম সারোয়ার তার অনুসারী লামা বন বিভাগের এক নং এলিগেটর হাবিবুর রহমান কালাম, তার কাঠ ব্যবসায়ী পার্টনার গাছ চোর ওমর ফারুক বেচু ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ক্ষমতা দেখিয়ে ডিএফও,রেঞ্জ কর্মকর্তা, বিট কর্মকর্তা ও ফরেস্ট গার্ড দের থেকে প্রতি মাসে অন্তত লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকেন। আর কেউ যদি তাকে মাসিক চাঁদা দিতে আপত্তি করে তাহলে তার এলিগেটর বাহিনী দিয়ে তার বিরুদ্ধে এলিগেশন করিয়ে লাখ টাকার বিনিময় সে নিজেই সমঝোতা করে দেয়। ডি,এফ,ও নিজেও কাজী গোলাম সারোয়ার এর কাছে অসহায়।
অফিসে প্রধান সহকারী থাকার পরেও ডি,এফ,ও কাজী গোলাম সারোয়ারকে দিয়ে সকল কাজ করতে বাধ্য থাকেন। সংস্থাপন শাখার দায়িত্বে প্রধান সহকারী নামে মাত্র থাকলেও ঐ শাখার সকল কাজ গোলাম সারোয়ার হিসাব রক্ষক করে থাকেন। ডি,এফ,ওর নাম ভাঙ্গিয়ে বদলি বানিজ্য, টাকার বিনিময়ে বদলি যোগ্য স্টাফকে এক জায়গায় দীর্ঘদিন পোস্টিং এ রাখা, বদলিকৃত স্টাফকে রিলিজ না করা সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম কাজী গোলাম সারোয়ার এর নেতৃত্বে হয়ে থাকে। যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে তাকে ১০% টাকা ঘুষ দিতে হয়, তা না হলে যে কোন উপায়ে ভূল ধরে অফিসিয়ালি ঐই রেঞ্জ অফিসার বা বিট অফিসারকে হয়রানি করা হয়। ওমর ফারুক (বেচু)র নামে কোন দিন কোন জোত পরমিট ইস্যু হয়নি। অথচ বেচু লামার বড় সেগুন কাঠ ব্যবসায়ী। বেচুর কাঠের উৎস হল সরকরি বাগানের সেগুন গাছ । কাজী গোলাম সারোয়ার বেচুর ব্যবসায়ী পার্টনার। টাকা কাজীর আর শ্রম বেচুর লাভের ভাগ অর্ধেক অর্ধেক। ডিসি অফিস থেকে জোত পারমিট বন্ধ করে দিলেও কাজী গোলাম সারোয়ার ডি,এফ,ও এবং সদর রেঞ্জ অফিসার এ,কে,এম আতা এলাহির উপর প্রভাব খাটিয়ে প্রতি জোত পারমিটের জন্য ১০০০০/- টাকার বিনিময়ে তার ব্যবসায়ী পার্টনার বেচুকে এবং অন্য গাছ চোরদের নামে লামা রেঞ্জ হতে প্রতি মাসে ১০-১৫ টি করে সেগুন গাছের হোম পারমিট দেয়। গাছ চোরেরা লামা রেঞ্জের অবৈধ পারমিট দিয়ে তৈন ও মাতামুহুরি রেঞ্জের সরকারি সংরক্ষিত বনের গাছ চুরি করে লামা নিয়ে আসে। রাতের অন্ধকারে চুরি করে আনা সেগুন গাছ লামা রেঞ্জের জোত পারমিটের সাথে মিশে দিনের আলোয় টি-পি দিয়ে শহরে পাচার হয়ে যায়। আর তাতে কাজী গোলাম সারোয়ার মোটা অন্কের টাকা পান।
কাজী গোলাম সারোয়ার হিসাব রক্ষক তার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিমাসে নামে বে-নামে ফার্নিচার ব্যবসায়ীদেরকে ২০-২৫ ট্রাক সেগুন কাঠের ফার্নিচারের চলাচল পাস দিয়ে মাসে ৩-৪ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন। অপরদিকে অবৈধভাবে ফার্নিচার তৈরির কারণে মাতামুহরী রিজার্ভ ফরেস্টের সেগুন গাছ দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কাজী গোলাম সারোয়ার এর সেগুন কাঠ ব্যবসায়ী পার্টনার বেচুকে গাছ চুরিতে সহযোগিতা করে শিলেরতুয়ার মোঃ সজীব কামাল, মোঃ আক্তার হোসেন, খোরশেদ আলম, সুজিত দাশ সোহাগ, সাক্সনাই মুরুং, কাকড়ার ঝিরির দেলোয়ার, রেপারপাড়ার রোকন মাস্টার, মোঃ মোস্তফা কামাল প্রকাশ- আলম, ছিনারি বাজারের মধু, আবাসিক এলাকার বেলাল সহ আরো অনেকে। আর এরা সবাই কাজী গোলাম সারোয়ার হিসাব রক্ষক এর আশ্রয় প্রশ্রয়ে চোরাই কাঠের ব্যবসা করে। এরা সবাই জানে কাজী গোলাম সারোয়ার হিসাব রক্ষক অনেক ক্ষমতাধর লোক। এর ছত্র ছায়ায় থাকালে ডি,এফ,ও, রেঞ্জার কেউ তাদেরকে কিচ্ছু করতে পারবে না। এসকল চিহ্নিত গাছ চোরদের বিরুদ্ধে কোন বিট অফিসার বা রেঞ্জ অফিসার বন মামলা দায়ের করতে সাহস পায়না। কাজী গোলাম সারোয়ার অবৈধভাবে কাঠের ব্যবসা করে নিজে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন এবং আত্বীয় স্বজনরা জানেন তিনি বিভাগীয় অফিসার। স্ত্রীর নামে কোটি টাকার সম্পত্তি রেখেছেন বলে তার এলাকার লোকজন বলেছেন। অন্য দিকে লামা বন বিভাগের সরকারি সংরক্ষিত বন ধ্বংস করে নিরাপরাধ বন কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছেন। কাজী গোলাম সারোয়ার হিসাব রক্ষককে লামা বন বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা না হলে লামা বন বিভাগের বন ভূমি ও বনজ সম্পদ যতটুকু অবশিষ্ট আছে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।
‘ব্রোনাইতে পাঠানোর নাম করে প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের ধোঁকাবাজি, প্রতারনার শিকার ৩ ভুক্তভোগী পরিবার’
এইচ এম হাকিম : বাংলাদেশ বেকার সমস্যার কারনে বেশির ভাগ......বিস্তারিত