শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন আশা মনি। কিন্তু কে জানতো আবাসিক হোটেলে মিলবে তাদের গলাকাটা নিথর দেহ! ‘বাবার নৃশংসতা’ থেকে রেহাই পেল না ১১ মাসের ছোট্ট ছেলেটিও!
রোববার (২ জুন) বেলা ১২টার দিকে বগুড়ার বনানী এলাকার একটি হোটেল থেকে আশা মনি ও শিশু ছেলে আব্দুল্লাহ হেল কাফির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় স্বামী আজিজুল হককে। পুলিশ ও হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজিজুল হকের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলায়। প্রায় তিন বছর আগে আশা মনির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সন্তান হওয়ার পর থেকে আশা তার বাবার বাড়ি বগুড়ার নারুলীতে থাকতেন। এর মাঝে দুই মাসের ছুটিতে বাড়িতে আসেন আজিজুল।
ছুটি শেষে শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যার দিকে বনানী এলাকার শুভেচ্ছা নামে আবাসিক হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন তারা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হোটেল থেকে বের হন আজিজুল। এ সময় তার ছেলে সন্তানের কাটা মাথা নিয়ে করতোয়া নদীতে ফেলে দেন। পরে তার বউ ও ছেলে হারিয়ে গেছে দাবি করে শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজির নাটক করেন।
হোটেল সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা তমা ও মিরাজ পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন। ঠিকানায় তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উল্লেখ করা হয়। শুভেচ্ছা হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, সকালে হোটেলে এসে আজিজুল জানান হোটেলের রুম ছেড়ে দেবেন। এ সময় ম্যানেজার রুম বুঝে নিতে চাইলে আজিজুলের সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করেন। ম্যানেজার চাপাচাপি করলে এক পর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন আজিজুল। আশা মনির বাবা আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে ও নাতিকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। আজিজুলের ফাঁসি চাই।’ বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, আজিজুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে হোটেলের কক্ষে শনিবার রাতের কোনো একসময় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় মামলা হবে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
‘নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বসুন্ধরা শুভ সংঘের সবজির বীজ প্রদান’
এ বছর এক একর জমিতে ব্যাংক লোন করে সবজি চাষ......বিস্তারিত