সিপ্লাস টিভি,সিটিজি পোস্ট ও সি ভয়েস এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সম্প্রতি চট্টগ্রামের তিনটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ করলে এই তিন প্রতিষ্ঠানের লোকজন এক সাংবাদিককে সন্দেহ করে তার উপর হামলা করে। জানা গেছে,  সিটিজি ক্রাইম টিভি’র চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রধান রাসেদুল উসলাম রাসেদ এর উপর হামলা করে সিপ্লাস টিভি,সিটিজি পোস্ট ও সিভয়েস নামক ভূয়া অনলাইন প্রতিষ্ঠানের কথিত সম্পাদক ও প্রকাশক আলমগীর অপু ও সিপ্লাস নামক ভুঁইফোড় অনলাইনকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা মাদক সাম্রাজ্যের রাজা কামরুজ্জামান রনি, নামধারী ভুয়া সম্পাদক সম জিয়া।

অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রামে সিপ্লাস টিভি,সিটিজি পোস্ট ও সিভয়েস নামে তিনটি অনলাইন পোর্টাল নানা প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি গোয়েন্দা নজরদারিতে আসে। এ তিনটি ভুয়া অনলাইন পত্রিকা বন্ধে তৎপরতা চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। ভুয়া নিউজ প্রকাশ, মিথ্যে অপপ্রচার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় এনে গোয়েন্দা সংস্থা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায় সুগন্ধা আবাসিকে ৫৮ নাম্বার বাড়িতে অবস্থিত অনলাইন টিভি সিপ্লাস এর অফিসে।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় অফিসে তালা মেরে পালিয়ে যায় কথিত সম্পাদক ও প্রকাশক আলমগীর অপু ও সিপ্লাস নামক ভুঁইফোড় অনলাইনকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা মাদক সাম্রাজ্যের রাজা কামরুজ্জামান রনি।এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র। নগরীর সুগন্ধা আবাসিকের কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী জানান, এ অনলাইন চ্যানেলটি মানুষের সাথে প্রতারণা করে বলে সোমবার রাত ৯ টার দিকে সাদা পোশাকে কয়েকজন পুলিশ সিপ্লাস অফিসে যায়।কিন্তু এরআগে আলমগীর ও কামরুজ্জামান বুঝতে পেরে তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ কাউকে না পেয়ে চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভুয়া সম্পাদক আলমগীর অপু, ইয়াবা ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান রনি,নামধারী ভুয়া সম্পাদক সম জিয়া,কুমিল্লার শ্রেষ্ঠ প্রতারক আব্দুল কাদের অপু এসকল ভুয়া অনলাইন পোর্টালগুলোর ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে। এদিকে নগরীর সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এসব ভুয়া অনলাইন পত্রিকার কথিত সাংবাদিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নিরীহ জনসাধারণ। এদের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সরকারি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি এমনকি সাধারণ জনগণও। অন্ধকারে লুকিয়ে থেকে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য তিলকে তাল বানিয়ে মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।