গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ীতে “কোনাবাড়ী ইউনাইটেড হাসপাতাল” এর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ৫ জানুয়ারি সেলিনা বেগম (২৫) নামে সাড়ে ৩ মাসের এক গর্ভবতী নারী ওই হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যায়। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সেলিনা বেগমের গর্ভের সন্তান দের মাস আগে নষ্ট হয়েগেছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারাতারি ওয়াশ না করলে রোগীর যে কোন ধরনের বড় ক্ষতি হতে পারে বলে জানানো হয় হাসপাতাল থেকে। বিষয়টি সেলিনা বেগমের স্বামী আবুল হোসনের কাছে সন্দেহ জনক মনে হলে একদিন পর ওয়াশ করাবে বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায়। ঠিক তার দুইদিন পর ৭ই জানুয়ারি সোমবার “কোনাবাড়ী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার” নামে একটি ক্লিনিক থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হলে দেখা যায় সেলিনা বেগমের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হলে “কোনাবাড়ী ইউনাইটেড হাসপাতাল” কর্তৃপক্ষ সেলিনা বেগমের স্বামী আবুল হোসেনকে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় এবং অন্য কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করে। পরে আবুল হোসনের কাছ থেকে আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট নিয়ে ছিড়ে ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আবুল হোসনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কি করমু বারবার খালি মাপ চায় তাই ছাইড়া দিছি। আল্লায় আমার বউ সন্তানরে নিজ হাতে বাঁচাইছে। আমার মতো বিপদে যেন আর কেউ না পরে”। এ বিষয়ে কোনাবাড়ী ইউনাইটেড হাসপাতালের এমডি সেলিম আজাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সেলিনা বেগমের বিষয়টি ভুলবসত হয়েগেছে। এইটা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ীর কিছু নাই। আমরা সেলিনা বেগমের স্বামী আবুল হোসেনের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি। আমরা বিষয়টি তাদের সাথে মিটমাট করেছি।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত