নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভার বাজার রোডের পাগল নাথ ইলেকট্রিক এর কথিত কর্ণধার প্রশান্ত সাহার ইলেকট্রনিক বাণিজ্যের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশ থেকে তার অর্থপাচারও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। দেশে তার বিপুল কালো টাকাও সৃষ্টি হয়েছে। সাভার সিটি সেন্টারে ফ্ল্যাট, কোরাইশী মার্কেটে একাধিক দোকান, সাভার বাজার রোডে একাধিক দোকান, উৎসব প্লাজায় দোকান, উত্তরায় ফ্ল্যাটসহ পৌর এলাকায় বহু সম্পদের মালিক তিনি। ব্যাংকে বহু টাকার এফডিআর করেছেন তিনি। নিজের ১ম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই বিবাহিত এক নারীকে বিবাহ করেন প্রশান্ত সাহা। ১ম স্ত্রীকে নির্যাতন করেন তিনি। হিন্দু ধর্মে একাধিক বিয়ে অনুমোদন করেনা বলেও জানান হিন্দু পন্ডিত রবি শঙ্কর। এমনকি প্রশান্ত তার বাবাকে মারধর করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেন। প্রশান্ত ভ্যাট, ট্যাক্স না দিতে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। ট্যাক্স ফাইলের সাথে সম্পদের সত্যতা গোপন করেছেন তিনি।
এসব অর্থের বেশির ভাগই পাচার করছে ভারতে। বাবা ও ভাইদের ব্যবসা নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বিত্তশালী বনে যান তিনি। ফলে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা যায়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার বৃদ্ধির হার বেশি। নব্বইয়ের দশক থেকে মূলত এই অর্থপাচার ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে। গড়ে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থপাচার হচ্ছে। প্রশান্তদের মতো প্রতারকরা বিত্তবান হচ্ছে।
ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের পাশাপাশি তিনি বড় অঙ্কের ব্যাংকবহির্ভূত ব্যবসায়িক লেনদেনও করছেন। প্রশান্তের মতো বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসবের সঙ্গে জড়িত। এসব অবৈধ ব্যবসা থেকে পাওয়া বড় অঙ্কের অর্থ তারা নিরাপদে প্রতিবেশী দেশে পাঠিয়ে থাকে। বিনিময়ে অনেক সময় দেশের মধ্যে চাহিদা আছে এমন পণ্য আনছে। তবে সে ক্ষেত্রেও লেনদেনটা হয় বেআইনিভাবে। প্রশান্ত ভারতের কলকাতায় অভিজাত এলাকায় বাড়ি কিনছেন। ভারতে তার আত্মীয়স্বজন রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রশান্ত সাহাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন না ধরে তার স্ত্রীকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান। তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে বলে, তিনি ঘুমিয়ে আছে। তাই প্রশান্ত সাহার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
‘ব্রোনাইতে পাঠানোর নাম করে প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের ধোঁকাবাজি, প্রতারনার শিকার ৩ ভুক্তভোগী পরিবার’
এইচ এম হাকিম : বাংলাদেশ বেকার সমস্যার কারনে বেশির ভাগ......বিস্তারিত