TadantaChitra.Com | logo

৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় চলছে রমজান আলী রনি’র রমরমা ইয়াবা ব্যবসা

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৩, ২০১৯, ১৫:১৪

ভোলায় চলছে রমজান আলী রনি’র রমরমা ইয়াবা ব্যবসা

অনুসন্ধানী ডেস্ক : ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে চলছে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ী রাঘব-বোয়ালরা। আর পুলিশসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ছোট ছোট ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা। ফলে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এই ব্যবসার প্রসারতা। অধিক লাভজনক ও বহনে সহজতর হওয়ায় দিন দিন নতুন নতুন যুবক-যুবতী ঝুকে পড়ছে এই ইয়াবা ব্যবসায়। বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজিপুর রোড হতে ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী রনি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে ধনিয়া ইউনিয়নের মিলগর মোড় , শফি মালের ঘের/দীঘির পাড়,গোডাউন বাজার,কোরারহাট,পরীরহাট, তুলাতুলি বাজার,তুলাতুলি বেড়িবাধ ও ভোলা সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ পৌর শহরের প্রায় সবকটি ওয়ার্ডেই ইয়াবা ব্যবসার নেটওয়ার্ক স্থাপন করে গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে এই মাদক ব্যবসা। ফলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বেকার তরুণ যুবকরা সহজলভ্যতার কারণে ইয়াবা সেবনে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা চালানো হয়। পুলিশের সঙ্গে যখন লেনদেনে সমস্যা দেখা দেয় তখন শুরু হয় লোক দেখানো অভিযান ও ধড়পাকড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধনিয়া ইউনিয়নের একাধিক বিভিন্ন শ্রেণীর বাসিন্দা,এলাকার মুরুব্বিরা ও এলাকার অটোরিকসা চালকরা জানিয়েছে এসব তথ্য। রমজান আলী রনি অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া জেল খাটা পুলিশ কনস্টেবল,অনেক আগে থেকেই এলাকায় চাদাবাজি ও মাদক সেবন করলেও পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় রনি ইয়াবা ও গাজা ব্যাবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং কারো সাথে কোনপ্রকার ব্যাক্তিগত রেশারেশি থাকলে পুলিশে চাকুরী করার সুবাদে স্থানীয় থানায় ভুল তথ্য দিয়ে যে কাউকে হয়রানি করার অভিযোগ তার নামে অহরহ। তার জলন্ত দৃস্টান্ত ; ভোলা জজকোর্টে কর্মরত এক নিরপরাদ ব্যাক্তি কে গাজা দিয়ে ফাসানোর সময় নিজেই পুলিশের হাতে ধরা খায় রনি এবং নিরপরাধ ব্যাক্তিকে ফাসানোর চেস্টায় ছয় মাস সাজা হয় রনির এবং এসব অনিয়মের অভিযোগে পুলিশের চাকুরী থেকে বরখাস্ত হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হওয়ার পর রনি নিজ এলাকায় শুরু করে ইয়াবা ও গাজার রমরমা ব্যাবসা। বছরখানেকের মধ্যেই রমজান আলী রনি মাদক ব্যাবসার ব্যাপক বিস্তার করে ফেলে ভোলার পৌরশহরসহ ও প্রতিটি ইউনিয়নে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, মাদকের খুচরা ও পাইকারীসহ হোম ডেলীবারি সার্ভিস দিয়ে থাকে রনি। এমতাবস্থায়, ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের সতর্ক দৃস্টিতে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে ২৮ পিচ ইয়াবা সহ মোঃ রমজান আলী রনি(২৮) ( ১ বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত) কে আটক করে ভোলা ডিবি পুলিশ । ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং তারিখে বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩৫ মিনিটের সময় ধনিয়া ৫ নং ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। মোঃ রমজান আলী রনি ধনিয়া ৫ নং ওয়ার্ডের শেখ ফরিদের এর ছেলে। এরপর আটককৃত রনির নামে ভোলা সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দ্বায়ের করা হয় এবং মাদক মামলায় ছয় মাস জেল হাজতে থেকে পুনরায় আবার কিছু দিন অাগে জামিনে মুক্ত হয়। জেল থেকে বের হওয়ার পর রনি বর্তমানে আরও ভয়ানক ও হিংস্র হয়ে ইয়াবার ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। বর্তমানে রনি নতুন নতুন কৌশলে এলাকার একদল তরুন ছাএ ও কিছু বিশস্ত কর্মজীবি শ্রমিকের মাধ্যমে খুচরা ও হোম ডেলিবারী দিয়ে ইয়াবা ব্যাবসা চালাচ্ছে। ধনিয়া ০৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইয়াবা ব্যাবসায়ী রমজান আলী রনির খুব কাছের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী সংবাদ মাধ্যম কে জানায়, এবার জেল থেকে বের হওয়ার পর ইদানীং রমজান রনি নিজেকে পুলিশের সোর্স বলে দাবি করে এবং বর্তমানে রনির আস্তানায় (তুলাতুলি যাওয়ার মেইন রোড সংলগ্ন রনির বসত বাড়ির বাগানে) ক্রয় করতে আসা সেবনকারীদের কাছে ইয়াবা বিক্রির পর লেনদেনে সমস্যা হলে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে বিপুল টাকা আদায় করে নেয়। চাহিদামত টাকা দিতে অসমর্থ হলে ফোন করে ডিবির কাছে পোষাকের বর্ননা দিয়ে ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় ভোলা সদর মডেল থানার কিছু পুলিশ সদস্যের সাথে পূর্বের সম্পকের সূএে দু-একজন ডিবি ও এসআইর সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রেখে মাদক সেবিদের কাছে মাদক বিক্রি করে তৎখনাৎ পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। রনির সহযোগী আরো জানায় , ইয়াবা ট্যাবলেট হোম ডেলিবারী করা ও পাইকারী বিক্রয় করাই রনির মূল ব্যবসা। রনি নিজে খুচরা ইয়াবা বিক্রি করার একমাএ কারন ও কৌশল হল, রনির কাছে ইয়াবা কিনতে আসা আসক্তদের ২/১জন ধরিয়ে দিয়ে পুলিশকে প্রতিনিয়ত বসে রাখা এবং পুলিশের চোখে নিজে কিছুটা ছাড় পাওয়া। যার ফলে,আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ডিবি পুলিশও কিছুটা ছাড় দেয় রনিকে ও তার অবৈধ ইয়াবা ব্যবসাকে। আর এই সুযোগে রনির রমরমা পাইকারী মাদক ব্যাবসা চলছে পুরো ভোলা শহরজুড়ে। এছারাও রনির অবৈধ ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে যারা কথা বলে বা বাধা হয়ে দাড়ায়, সেসব লোকদের পুলিশের নজরে রনি নিজেই মিথ্যা সীকারোক্তির মাধ্যমে ফাসিয়ে দেয় বা তার আরেক ঘনিস্ঠ সহযোগী পুলিশের ইনফরমার হিসেবে পরিচিত ধনিয়া ইউনিয়ন ছাএলীগ সভাপতির খালাতো ভাই মোঃ শুভ এর মাধ্যমে যে কাউকে ইয়াবা আসক্ত বা মাদক ব্যাবসায়ী বলে সনাক্ত করে দেয় পুলিশের মাদক অভিযান তালিকায়। পুলিশ কে বলা মাদক ব্যবসায়ী রনির মিথ্যা সীকারোক্তির কারনে , কৌশলে পকেটে মাদক দিয়ে পুলিশ দিয়ে ফাসানো সহ, নিরঅপরাধ অনেক লোককে এভাবে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে রনির বিরদ্ধে। যার কারনে ভোলা সদর মডেল থানার অব্যাহত মাদক অভিযানের তালিকায় নিরপরাদ অনেকের নাম এভাবেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে বলে জানা যায় । ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলী বেড়ীবাধে জেলেদের বাসা-বাড়ীতে রনি নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় এবং স্থানীয় গোপনসূএে আরও জানাযায়,রনির পার্টনার তুলাতুলী বেড়ীবাধের উপর বাজার, ব্যাবসায়ী অজিউল্লাহ মেম্বার নামে পরিচিত তার মাছের ট্রলারে করে নদীপথে আসে রনির ইয়াবার চালান। এরপর রনি নিজে এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশলে শহরের ছোট -বড় খুচরা মাদক বিক্রেতাদের কাছে হোম ডেলিবারীর মাধ্যমে পাইকারী বিক্রয় করে এই সর্বনাশা ইয়াবা। সেই সাথে কেজি হিসেবে পাইকারী বিক্রি করে গাজা পাতা। এলাকাবাসীর অভিমত, একাধিক মাদক মামলার আসামি থাকার পরও রমজান আলী রনি অনেকটা প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা এবং এলাকা বিস্তৃত হয়ে উঠছে মাদকের সর্গরাজ্যে। মাদক ব্যবসায়ী রমজান আলী রনি ও তার সহযোগীদের ভয়ে এবং পুলিশ হয়রানির কথা চিন্তা করে কেউ এসবের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতেও সাহস পায় না বলে জানায় ধনিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাগন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।