কয়দিন আগেও গ্রাম থেকে পাড়ামহল্লা, সবখানেই বিচরণ ছিল সৈয়দ আবেদ আলীর। মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চষে বেড়িয়েছেন সর্বত্র। রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ায় নিজগ্রামে কয়েক কোটি টাকা খরচ নির্মাণ করেছেন আলিশান বাড়ি।
সপরিবারের করেছেন হজও। কিন্তু হঠাৎ থলের বিড়াল বেরিয়ে আসায় ডুপ্লেক্স বাড়িটি এখন তালাবদ্ধ। বিসিএস’সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সম্প্রতি আলোচনায় তিনি। হঠাৎ কুলি থেকে কোটিপতি হওয়ার গল্পে হতবাক এলাকাবাসীও।
সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। বিসিএস’সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দেশজুড়ে এখন আলোচনায় তিনি। মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত সৈয়দ আ. রহমানের ছেলে সৈয়দ আবেদ আলী জীবন। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি মেজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৈতৃক ভিটা থেকে খানিকটা দূরে জমি কিনে নির্মাণ করেছেন তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনদন বাড়ি। পাশেই গড়ে তুলেছেন সৈয়দ আবেদ আলী কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ। আছে আমসহ বিভিন্ন গাছের বাগান। নিজের পরিবারের নামে কয়েকশ’ একর জমি কিনেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। সপরিবারের আছে কোটি টাকা মূল্যের আলাদা গাড়িও।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন তিনি। কর্মীসমর্থকদের জন্য খরচ করছেন লাখ লাখ টাকা। এত টাকার জোগান কোথা থেকে এলে জনমনে নানা প্রশ্নের থাকলেও আস্তে আস্তে তা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা জানায়, বড় ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে পড়ালেখা করেছেন ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সিয়াম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এবং মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। ছোট ছেলে ও মেয়ে ঢাকাতে পড়াশোনা করেন। ঢাকায় বাড়ি ও দামি গাড়ি আছে। পরিবার নিয়ে থাকেন ঢাকায়। মাসে দুই একবার আসেন গ্রামের বাড়িতে। বিসিএস’সহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য জড়িত সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের গ্রামেরবাড়ি এখন তালাবদ্ধ। স্থানীয়দের দাবি, এই প্রশ্নপত্র ফাঁস করেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। অথচ, নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন স্থানে গাইতেন সততার গল্প। এলাকায় অসহায় মানুষকে পাশে দাঁড়িয়ে দান করতেন নিয়মিত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কোনো ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রধান কার্যালয়ে মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, পিএসসি’র চেয়ারম্যানের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলীর সম্পত্তির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করা হবে।
‘বাগেটহাট চিতলমারী উপজেলা শ্রমিকদলের নতুন কমিটি ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা ঝড়!’
স্টাফ রিপোর্টারঃ আওয়ামী লীগ আমলে কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া......বিস্তারিত