অবৈধ উপার্জন বেড়ে যাওয়ায় মানুষকে আর মানুষ মনে করেন না সিএন্ডএফ এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ। সেই ক্ষমতার দাপট খড়গ চালান স্ত্রী গৃহবধু রোমেনা ফেরদৌস তৃপ্তির ওপর। তার ক্ষমতার দৌড় এতটাই যে গৃহবধু রোমেনা কোথাও গিয়ে বিচার পর্যন্ত দিতে পারেন না। জানা মাত্রই ম্যানেজ করে ফেলেন সবকিছু। বর্তমানে একমাত্র স্কুল পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রোমেনা। সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের ঠিকানা রাজধানীর মুগদা থানার অন্তর্গত দক্ষিণ মান্ডার ২৭৪ নম্বর বাড়ি। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায়। স্ত্রী রোমানার গ্রামের বাড়িও একই জেলার কাঠালিয়া উপজেলায়।
স্ত্রী রোমেনার ভাষ্য হলো —তার স্বামী গত চার বছরে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তার উপার্জিত টাকা ঢাকার মান্ডায় একটি ৬ তলা বিশিষ্ট বাড়ি কিনে ফেলেন। একই সময়ে আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের গ্রীণ মডেল টাউনে ৮৫ লক্ষ টাকায় কিনেছেন আড়াই কাঠার একটি প্লট, গ্রামের বাড়ীতে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি দালান তৈরি করেছেন। তার বোনকে গ্রামের বাড়িতে একটি দালান করে দেয়। এছাড়া তার ভাইকে ২টি বালির জাহাজ এবং ১টি কসমেটিস্ এর দোকান করে দিতে ৭০ লক্ষ টাকা লাগে তার। এছাড়াও তার রয়েছে কোটি কোটি টাকা।
রোমেনা ফেরদৌস (তৃপ্তি) লিখিত এক বক্তব্যে জানান, আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ২০০১ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা মোহরানা ধার্য্য করিয়া বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান আছে। তার স্বামী কিছুদিন যাবৎ বেপরোয়া জীবন যাপন করতে থাকে এবং প্রতিদিন কারণে অকারণে মারপিট ও অত্যাচার করছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকা জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মা-ায় বাড়ী কেনার সময় যৌতুক হিসেবে রোমেনার মায়ের কাছ থেকে( দশ লক্ষ) টাকা নেয়। এরপরে তার সিএন্ডএফ ব্যবসার জন্য আবার ৫,০০,০০০/- টাকা দাবী করিলে এবং এ টাকার জন্য আমাকে মারপিট ও অত্যচার শুরু করিলে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ও ছেলে সন্তান ও সংসারের কথা চিন্তা করে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে আরও ৫,০০,০০০/- টাকা এনে দেন রোমেনা। কিন্ত পুনরায় সে ১০,০০,০০০/- টাকা যৌতুক দাবী করিলে আর টাকা দিতে পারিবে না বলিয়া জানাইলে স্বামী (আবুল কালাম আজাদ) উত্তেজিত হয়ে মারপিট করে।
এছাড়া রোমেনার অভিযোগ, বিবাহের পরও তার স্বামী পরকিয়া লিপ্ত থাকে এবং ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে প্রিয়াঙ্কা নামের একটি মেয়েকে বিবাহ করে। এরপর থেকে স্ত্রী সন্তানের কোন বরণ-পোষণ ও খরচ দেন না।
আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো— আইসিটি কমলাপুরে গত ৪(চার) বছর যাবত সিএন্ডএফ এর ব্যবসার কথা বলে অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। ভূয়া ভাবে অবৈধ মালামাল বিদেশে পাচার করে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য জানতে ০১৭১২৬০৫৬৭৪ নম্বরে কথা বলতে চাইলে ক্ষেপে গিয়ে এই প্রতিবেদককে অশ্রাব্য ভাষায় গালগালি করেন। সেইসঙ্গে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত