পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া লটারির আগে কোন নাম্বার উঠবে কারো পক্ষে জানা সম্ভব না। তিনি লটারির যন্ত্রাংশ দেখিয়ে বলেন, এটাতে কাগজ থাকে। এক মানে পদ্মা, দুই মানে যমুনা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, এই লটারি যখন হয় তখন অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন থাকি। নন ক্যাডারের ক্ষেত্রে বাইরের কেউ থাকেন না।
পরীক্ষার আগে আমি গল্প করছিলাম যে আরো পরে লটারি করি, আমাদের টেস্ট করার জন্য একটু আগে করতে হয়, সাড়ে নয়টায় করতে হয়, ওরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। এখন করতে হবে ২৫ বেজে গেছে। ৯টা ২৫-এ আমি লটারি করেছি।
এ সময় বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস যে হয়নি, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বলেও মন্তব্য করেন পিএসসি চেয়ারম্যান। তবে পিএসসি থেকে প্রশ্নফাঁস করা ‘ভীষণ কঠিন’ বলেও দাবি করেন তিনি।
চেয়ারম্যান সোহরাব বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের সেট লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ হয়। লটারিতে কোন সেট আসবে, সেটাতো আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে প্রশ্নফাঁস খুবই কঠিন। তবে প্রশ্নফাঁস যে হয়নি বা হতে পারে না, তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, পিএসসির অধীনে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যিনি তৈরি করেন, তার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে। ১০ জনের কাছ থেকে প্রশ্ন পাওয়ার পর একদিন মডারেশনের জন্য বৈঠক হয়। গোপন কক্ষে সিলগালা করা সেই প্রশ্ন খুলে মডারেশন শেষে আবারও সিলগালা করে রাখা হয়। সেখান থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় প্রশ্ন প্রেসে যায়। প্রেস থেকে আসার পর পুলিশ প্রহরায় একটি কক্ষে তা তালাবদ্ধ থাকে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার দিন দুজন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে পিএসসিতে লটারি হয়। সকাল ১০টায় পরীক্ষা হলে ৯টা ২০ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ মিনিটে লটারি করে সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে জানাতে হয়। বিসিএসের ক্ষেত্রে ছয় সেট থেকে একটি সেট লটারির মাধ্যমে বেছে নেয়া হয়। আর নন-ক্যাডার বা দশম গ্রেড ও তার পরের গ্রেডগুলোর জন্য চারটি সেট থেকে লটারিতে একটি নেয়া হয়।
‘পবিত্র শবে বরাতে আমাদের করনীয়, এবং যা বর্জনীয়’
এইচ এম হাকিমঃ আজ পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র এই রজনীকে......বিস্তারিত