সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন সরকারি কর্মকর্তা সুশান্ত পাল।
৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু প্রশ্নফাঁস ও কোটা আন্দোলন নিয়ে পোস্ট দিয়ে তোপের মুখে পড়েন। সুশান্ত পালের ফলোয়ারদের অভিযোগ, চলমান এই দুই ইস্যুতে চুপ রয়েছেন সামাজিক মাধ্যমের অন্যতম ইনফ্লুয়েন্সার সুশান্ত পাল। কোটা ও প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে তার অবস্থানও জানতে চান তার ফলোয়াররা।
এসবের উত্তরে সুশান্ত পাল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে। এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমাশের চাকর নই। তিনি আরো লেখেন, এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন। তিনি লেখেন, আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।
এর জবাবে পোস্টের নিচে বিভিন্নজন মন্তব্য করছেন। ফলে তিনি কমেন্টস করার সুযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি কমেন্টস বক্সে লিখেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে দেখলাম খুব ম্যাসিভ আকারে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আমার হাসি পাচ্ছে, কেননা যে-বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সাথে আমার বিন্দুমাত্রও সংযোগ নেই। আপনারা কী কারণে এভাবে একজন লোককে ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন, আমার কাছে তা অস্পষ্ট। নিশ্চয়ই আপনারা ক্যান্ডিডেট নন, আপনারা কেবলই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার ব্যাপারে আগ্রহী। ভুল তো আপনাদের নয়, আমার। কখনও বিনা পয়সায় বাঙালির উপকার করতে নেই। আপনাদের বোধোদয় হোক।’ ১২ জুলাই তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে এমন পোস্ট করেন।
৩১ হাজার রিঅ্যাক্ট পড়ে। এই পোস্টের ফলে এখন পর্যন্ত তার ১২ হাজার ৭শ’র বেশি ফলোয়ার কমেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে পোস্ট করা হচ্ছে। এদিকে সুশান্তের সেই পোস্ট নিয়ে মুখ খুলেছেন গণ-অধিকার পরিষদের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। তিনি বলেন, সুশান্ত পাল এখন সরকারি কর্মকর্তা। সরকার কোটার পক্ষে। আর তিনি সরকারের লোক হয়ে কোটার বিপক্ষে পোস্ট করে কি তার চাকরি হারাবেন? আপনি বরং তার কাছে কোটার বিপক্ষে অবস্থান দাবি করেই ভুল করছেন। আর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও তিনি খুব ঝামেলায় আছেন। এ
ই সুযোগে কোটার বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে কোটার পক্ষে অবস্থান নিয়ে তিনি সরকারের আনুকূল্য পেয়ে দুর্নীতির চাপ থেকেও কিছুটা বাঁচতে চান। একটা মানুষের বাঁচার আবদার নিয়ে এত ঠাট্টা মশকরা কেন করেন? তাকে বাঁচতে দেন।
‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫)......বিস্তারিত