
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য এ চক্রান্ত হচ্ছে। এর আগেও চেষ্টা করেছে, যেটা এখন পর্যন্ত পারেনি। এ চক্রান্ত বিএনপিকে বিভক্ত করে তার শক্তিকে ছোট করে দেয়া। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, কোনো দিনই সরকার সেটা পারবে না।
যতবার বিপর্যয় এসেছে ততবারই বিএনপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছে; নতুন জীবন লাভ করেছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মিলাদ মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২৭ জানুয়ারি তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রাজনীতি বুঝে অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীর রাজনীতিকে ধারণ করে। সে জন্যই বিএনপির প্রতি তাদের এত দুর্বলতা। বিএনপিকে তারা ভালো রাজনৈতিক দল হিসেবে ভাবে। সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভয়াবহ যে দানব গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে- তাদের পরাজিত করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজগুলো করে চলেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা একদিকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করব, তাকে স্মরণ করব; অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অতিদ্রুত আমরা সংগঠিত হয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
মিলাদে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী প্রমুখ।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপি মহাসচিব নেতাকর্মীদের নিয়ে বনানীতে কোকোর কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল লতিফ খান, আবদুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা তাবিথ আউয়াল, হেলেন জেরিন খান, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খানসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা।
এদিকে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়েও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের সিনিয়র নেতা ও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
