রেকর্ড মূল্যস্ফীতি, ডলারের উচ্চ দর ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের টালমাটাল সময়ে কীভাবে অর্থনীতিতে গতি আনবেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সামনে সেটিই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সংকট মোকাবিলার পূর্বঅভিজ্ঞতা রয়েছে ২০০৬ থেকে ২০০৯ মেয়াদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব সামলানো সাবেক এই গভর্নরের।
শপথ গ্রহণের পর শনিবার (১০ আগস্ট) প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে আসেন উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গে অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতির গতি অব্যাহত ছিল। মাঝখানে কিছুটা বিচ্যুতি হয়েছে, তবে একেবারে লাইনচ্যুত কিন্তু হয়নি। অর্থনীতির গতি মন্থর হলেও আমরা এর গতি বাড়াতে কাজ করবো। মূল্যস্ফীতি ও মানুষের জীবন-জীবিকায় স্বস্তি ফেরাতে আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবো।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ আর্থিক খাত। রেকর্ড খেলাপি ঋণ, অর্থপাচার, বড় বড় কেলেঙ্কারি আর ভেঙে পড়া সুশাসনকে নতুন করে প্রতিষ্ঠায় এই উপদেষ্টাকে যুগান্তকারী সব উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে ব্যাংক ব্যবস্থায় আমূল সংস্কারের বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, সব ব্যাপারেই কঠোর অবস্থান থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক এই উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংক ছাড়াও অর্থনীতির উন্নয়ন বা কৌশলে ইতোপূর্বে নেয়া পরিকল্পনায় কিছুটা ভুল ছিল। উন্নয়নের সুফল যাতে মানুষ পায় সে বিষয়ে কাজ করা হবে। এ সময় অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে বন্দরের নানামুখী সমস্যা সমাধানেও উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫)......বিস্তারিত