সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ক্যাম্পাসে দখলদারির ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ এবং খুনি শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল’ শীর্ষক সমাবেশ কর্মসূচি পালনকালে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা আহ্বান করছি, খুনি হাসিনাকে প্রধান আসামি করে এবং অন্যান্য যাঁরা তাঁর সহযোগী ছিলেন এবং ফ্যাসিজমের যাঁরা সহযোগী ছিলেন, তাঁদের আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে।’ উপদেষ্টাদের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আজকে আমরা অনেক উপদেষ্টাকে দেখেছি খুনিদের পুনর্বাসন করার বক্তব্য দিতে।
আমরা উপদেষ্টাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আপনি উপদেষ্টা হয়েছেন। সুতরাং যখন কোনো বক্তব্য দেবেন, আপনার সামনে যেন ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্রটা মাথায় থাকে। আপনার সামনে ৫ আগস্টের সংসদ ভবনের চিত্র যেন মাথায় থাকে। যাঁরা স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে চান, খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের মতো বক্তব্য দিতে চান, আমরা ছাত্র-জনতা যেভাবে তাঁদের উপদেষ্টা বানিয়েছি, ঠিক একইভাবে গদি থেকে নামাতে দ্বিধা করব না।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ছিল এবং থাকবে। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চায়। ছাত্র-জনতা তাকে কোনোভাবেই হতে দেবে না। আমাদের মূল দাবি হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের মামলা দায়ের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তাই আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন। খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না। এ সময় ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতির বিষয়ে হাসনাত বলেন, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিল। সেই দখলদারিত্বের রাজনীতির পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে।
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। আমরা ৫ আগস্ট দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর পর ৬ তারিখ থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র জানতা তা দমন করেছি। এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনো একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেব না।
এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান। ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে হাসিনার সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিব। আওয়ামী লীগ পরাজিত শক্তি নানান কূটকৌশল আঁকছে, আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবে ১৫ আগস্টের ক্যু করার পরিকল্পনা সফল হতে দিব না।
‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫)......বিস্তারিত