TadantaChitra.Com | logo

২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আবারও স্ব-রুপে বরিশাল বিএনপি নেতা জিয়া সিকদার, দখল করেছে রুপাতলী বাস টার্মিনাল!

প্রকাশিত : আগস্ট ১৩, ২০২৪, ১৩:৫৬

আবারও স্ব-রুপে বরিশাল বিএনপি নেতা জিয়া সিকদার, দখল করেছে রুপাতলী বাস টার্মিনাল!

বরিশাল অফিস : ২০০১ সন থেকে ২০০৭ সনের সময়ে বরিশালের হাইব্রিড বিএনপি নেতা এখন বেপরোয়া। দলের নাম পদ পদবি ব্যবহার করে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। সদ্য স্বৈরাচারী আলীগ পতনের পরপরই মোটর সাইকেল মহরা বাস টার্মিনাল দখল দলের মধ্যে স্বজন প্রীতি সহ চাঁদাবাজীতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মহানগর বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদার বিরুদ্ধে। আলীগ পতনের পরপরই এই নেতা৷ তার দলবল নিয়ে বরিশাল রুপাতলী বাস টার্মিনাল দখলে নিয়ে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ করছেন বাস টার্মিনাল শ্রমিক মালিক পক্ষ।

স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতা জানান, ১৯৯৪ সনে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগাদান করেন এই নেতা।এর কিছু দিন পরই বিএনপির কয়েক নেতাকে ম্যানেজ করে জাগুয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি হন। এরপর আর তার পিছনে ফিরতে হয়নি। এরপর বিএনপি ক্ষমতার পালাবদল হয়ে ৯৬ সনে আলীগ সরকার গঠন করে। আলীগ সরকার ঐ সময় সারাদেশে ত্রাসের রাজনীতি শুরু করলে জিয়া উদ্দিন সিকদার সাথে ছাত্রলীগ নেতা আবুল বাশারের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব হয়। সেই দ্বন্দ্বে এই নেতা হয়রানির শিকার হন। পাশাপাশি বিএনপি নেতা এড.মজিবর রহমান সরোয়ারের আস্থ ভাজন হয়ে যান।

স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতা নাম না প্রকাশ শর্তে জানান ৪ দলীয় জোট জামায়াত বিএনপি ২০০১ সনের ১ অক্টোবর ক্ষমতা গ্রহন করলে বরিশাল পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হন। এমনকি সমিতি পুরো নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের দুরে ঠেলে আলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ কে বিএনপিতে যোগদান করান। পাশাপাশি পুরো বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করে চাদাবাজিতে লিপ্ত হন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৩ সনে বরিশালে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিয়া উদ্দিন সিকদার ২৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন। একই সময় পাশের ওয়ার্ডে তার শ্বশুর আরেক বিএনপি নেতা ফিরোজ আহম্মেদ নির্বাচিত হন।
দলীয় সূত্র নিশ্চিত করে জানান জিয়া ও তার শ্বশুর নির্বাচিত হয়ে পুরো রুপাতলী নিয়ন্ত্রণ করেন। পাশাপাশি দলের ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করে আলীগ পন্থী স্বজনদের বাস টার্মিনাল সহ ওয়ার্ডের বিএনপির বিভিন্ন পদে আসীন করেন। অভিযোগ রয়েছে শ্বশুর জামাইয়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই হতে হতো হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার।

শ্বশুর ফিরোজ আহম্মেদ ও জামাই জিয়া উদ্দিন এমন কর্মকান্ডে ঐ সময়ে দল থেকে অনেকে সরে যান। যার প্রভাব পড়ে গত ১৬ বছর বিএনপি উপর।

বিগত আন্দোলনে ঐ সব কর্মীরা নামে মাত্র ভূমিকা পালন করেন।

সূত্র আরাও জানায় জিয়া উদ্দিন সিকদার বড় ভাই গিয়াস সিকদার সে সদর উপজেলাা চরমোনাই ইউনিয়ন আলীগের সহ সভাপতি। এছাড়াও তার শ্বশুর বাড়ীর সকলে আলীগের রাজনীতির সরাসরি জড়িত। বিএনপি ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর আলীগের শাসনামলের প্রায় ১৫ বছর বিএনপি থেকে প্লটিবাজ আলীগ নেতা সুলতান মাহমুদের সাথে মিলেমিশে জিয়া উদ্দিনের চাচা শ্বশুর মহানগর আলীগ নেতা কাওসার হোসেন শিপন রুপাতলী বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা তরিক সহ একাধিক নেতা জানান আলীগ সময়কালেও সে বিতর্কীত বিএনপির প্রয়ত মেয়র আহসান হাবিব কামালকে ম্যানেজ করে সাগরদী বাজারে প্রায় নিজ নামে ও তার ভাই বোনাইয়ের নামে প্রায় ১৫ টি স্টল বরাদ্দ নেয়। এছাড়াও সিটি মার্কেট কাচা বাজারে ও দুটি স্টল বরাদ্দ নেয়। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজও করেন।

মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা কর্মীরা জানান জিয়া উদ্দিন সিকদার এড.মজিবর রহমান সরোয়ারের কাদে ভর করে বরিশাল মহানগর বিএনপির বিতর্কীত কর্মকান্ড চালাতো। এতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন যে সব বিএনপি নেতা ছিলো ঐসব নেতা পার্টি অফিস কিংবা দলীয় কর্মকাণ্ড উপস্থিত কম হতো। সাবেক অনেক ছাত্র নেতা দল থেকে সরে চলে যাওয়ার খবর রয়েছে। দেশ নায়ক যখন ঘোষনা দেন এক নেতার এক পদ। সেই ঘোষনা মোতাবেক সরোয়ার বরিশাল মহানগর বিএনপি থেকে ছিটকে পড়েন। তার ছিটকে পড়ায় জিয়া উদ্দিন সিকদার সে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। এরপর বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন হলে ঐ কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হন। চলতি বছরের মে জুনে
বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটি ভেঙে দিলে পুনরায় মনিরুজ্জামান ফারুক আহবায়ক ও সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার হয়।

এদিকে চলতি মাসের ৫ আগষ্ট স্বৈরচার আলীগ পতনের পরপরই জিয়া উদ্দিন সিকদার ও আজীবন বিএনপি থেকে বহিষ্কার শ্বশুর ফিরোজ আহম্মেদ ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডে শুরু করছে দখল সন্ত্রাস। জিয়া উদ্দিন সিকদার তার আলীগ পন্থী আত্মীয় স্বজন নিয়ে রুপাতলী বাস টার্মিনাল দখল করেন। পাশাপাশি স্থানীয় বিএনপি বাদ দিয়ে টার্মিনালে তার আত্নীয়দের কাউন্টার ও শ্রমিক ইউনিয়নের পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন।

বাস মালিক শ্রমিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন জানান দীর্ঘ বছর এই টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করছে জিয়া সিকদারের চাচা শ্বশুর আলীগ নেতা কাওসার হোসেন শিপন। এখন আবার নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে। পাশাপাশি বিএনপির প্রোগ্রাম নামে টাকা উত্তোলন শুরু করেছে। টাকা উত্তোলনের একটি অংশ যায় আলীগ নেতা সুলতান মাহমুদের কাছে।

এদিকে আজ সোমবার সকালে জিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব রিয়াজের শ্রমিক লীগ নেতা নিপুনের পুত্র আরিফ তার লোকজন নিয়ে রুপাতলী কীর্তন খোলার বিআইডব্লিউটিএর নিজেরা দখল করতে চায়। এ একসময় নেতা আসাদ প্রতিরোধ করে। এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব জিয়া সিকদার জানান সে কোন টার্মিনাল দখল করেনি। কোন দখলকারী তার আত্নীয় নয় বলেন।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।