TadantaChitra.Com | logo

২৬শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে ৫শ’ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন শেখ হাসিনা’

প্রকাশিত : আগস্ট ১৮, ২০২৪, ১৬:৫১

‘রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে ৫শ’ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন শেখ হাসিনা’

দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দীক উৎকোচ বা ঘুষ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাদের আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ ৫০০ কোটি ডলার, স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা।

শনিবার (১৭ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা বিষয়ক ম্যাগাজিন গ্লোবাল ডিফেন্স করপঃ এর এক রিপোর্টে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। আর এর আড়ালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বিশাল অংকের ডলার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ২টি ইউনিট রয়েছে, যার প্রতিটির উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। গতবছর প্রথম ইউনিটটি থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রটি উৎপাদনে যেতে পারেনি।

রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। ২০১৭ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাগজেকলমে এর ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন। সরবরাহকারী-ঋণের (Supplier’s Credit) আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবান করছে রোসাটম।

এতে রাশিয়ার সরবরাহকারী-ঋণের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। আর এখান থেকে শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিক ৫ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন, যা মোট ব্যয়ের ৩৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রিপোর্টটিতে বলা হয়, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে বাংলাদেশের ন্যুনতম কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।

তবু তারা এ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে। শেখ হাসিনা পরিবার প্রকল্পটি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় এটির তেমন কোনো মনিটরিং ছিল না। রাশিয়া একচ্ছত্রভাবে এটি বাস্তাবায়ন করছে। মালয়েশিয়ান একটি ব্যাংকের মাধ্যমে আলোচিত অর্থ লেনদেন করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।

তবে রিপোর্টটিতে ব্যাংকটির নাম উল্লেখ করা হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয়কে আগে থেকেই অস্বাভাবিক বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারতে রাশিয়ার একই কোম্পানি (রোসাটম) বাংলাদেশের অর্ধেক ব্যয়ে প্রায় একইক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করায়, বাংলাদেশের ব্যয়কে সন্দেহজনক মনে করছেন তারা।

ভারতের তামিলনাড়ুর কুদানকুলামে মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০০০ মেগাওয়াটক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনই কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। অথচ একই কোম্পানি বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রায় দ্বিগুণ ব্যয়ে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।