সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্পন্ন হওয়া সব প্রকল্প ও চুক্তি বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি যেসব প্রকল্প চলমান ও যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে, সেগুলো সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, এরই মধ্যে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেগুলোর কারণে একদিকে যেমন ভোক্তার ওপর ভয়াবহ চাপ বেড়েছে অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। বর্তমান প্রকল্পগুলোর চুক্তি সংশোধন ছাড়া বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে ২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ আইনের আওতায় ১৪ দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়েছে ১৮৮ শতাংশ। এরপরও ২০০৮-০৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিক্রি করে ৭০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। পাশাপাশি সরকারি কোষাগার থেকে সংস্থাটিকে ভর্তুকি হিসেবে দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় মেটাতে বিশেষ বন্ড ছাড়তে বাধ্য হয় বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার। প্রায় দেড় দশকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ আর্থিক দেনায় পড়েছে, দেউলিয়া হয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান।
এ পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষ আইনের আওতায় বাস্তবায়িত সব প্রকল্প ও চুক্তি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে এ আইনের আওতায় চলমান কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান সব ধরনের নেগোসিয়েশন, প্রকল্প যাচাই বা প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্রয় পরিকল্পনাকরণ কার্যক্রম আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এ আইনের অধীনে এরই মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গৃহীত সব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করে নেয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। শেখ হাসিনার শাসনামলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দেশের জ্বালানি খাতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক দেনা তৈরি করেছে। বিদায়ী সরকারের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং জ্বালানি খাতে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পড়েছে। এসব দায়দেনা তৈরি হয়েছে সরকারের অনৈতিক সুবিধা ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে। ফলে বিদ্যুৎ খাত ঘুরে দাঁড়াতে হলে আওয়ামী লীগ শাসনামলে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো রিভিউ করে দেখতে হবে বলে জানান এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।
বিদ্যুতের নীতি ও গবেষণা সংস্থা পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতউল্লাহ এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অপ্রয়োজনীয় যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেগুলো রিভিউ করা যেতে পারে। এজন্য করা যেতে পারে একটি রিভিউ কমিটি। এর সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত করে তাদের মতামত নেয়া যেতে পারে। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এসব চুক্তি রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে।’ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যদিও গতকাল সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানিয়েছেন, বিশেষ বিধানের আওতায় আগে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
তবে এ আইনের আওতায় যেসব প্রকল্প চলমান সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এক বৈঠক শেষে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশেষ বিধানের অধীনে চলমান সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগে যেসব চুক্তি করা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ যেহেতু চুক্তি হয়ে গেছে তাই চাইলে তা বাতিল করা যাবে না। এজন্য আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে হবে।’ বিশেষ আইনটি বাতিলের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘এজন্য উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে যে সিদ্ধান্তই নেয়া হোক তাতে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকবে।’
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ আইনের আওতায় শুধু বিদ্যুৎ খাতে ৯১টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। দেশে ১৫৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হয়েছে এ আইনে। বিশেষ করে ২০১০ ও ২০১১ সালের দিকে বিদ্যুৎ খাতের রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল এ আইনের আওতায়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠী দুই ও পাঁচ বছর মেয়াদি এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে। ব্যয়বহুল এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর নানা সময়ে জ্বালানি তেল ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের অনেক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছেন। সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সংসদে দেয়া হিসাব অনুযায়ী, গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে ১০টি কোম্পানি সবচেয়ে বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, ব্যাংলা ক্যাট, আরপিসিএল, কেপিসিএল, মোহাম্মদী গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান। তারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ অন্তত ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি নিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকে গ্যাসভিত্তিক চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর সক্ষমতা অন্তত ২ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। গ্যাসের অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২০১৮-২০ সালের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনেকগুলোকে কমিশন ও রাজনৈতিক বিশেষ তদবিরে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
বিপুল অর্থায়নে নির্মিত এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলেও এখন গ্যাসের নিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বরং এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগামীতে গ্যাস দিতে না পারলে বসিয়ে রেখে বিপিডিবিকে বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সক্ষমতা ও পূর্ণ সক্ষমতায় গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে প্রায় ১ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর মধ্যে ৭১৮ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স পাওয়ার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের নির্মিত কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ৫৮৩ মেগাওয়াট ও একই এলাকায় আরো একটি ৫৮৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে ইউনিক গ্রুপ। এর মধ্যে রিলায়েন্সের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সিম্পল সাইকেল এবং বাকি দুটি কম্বাইন্ড (জ্বালানি তেল ও গ্যাসচালিত) সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট।
এছাড়া খুলনার রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। চলতি বছরে গ্যাসের বড় চুক্তিগুলোর আওতায় ২০২৬ সাল নাগাদ এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাস দেয়ার কথা ছিল বিদায়ী সরকারের। দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে বর্তমানে আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তিসহ অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতার পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে করা এসব চুক্তি আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে এলেও একনাগাড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারেনি।
কখনো যান্ত্রিক ত্রুটি, অর্থ সংকট আবার কখনো কয়লা সংকট তৈরি হওয়ায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে তাতে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা যেত বলে এক হিসাবে দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল অংকের ঋণ নিয়ে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, বরিশালে ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রাক্কলনকে সামনে রেখে বিপুল অর্থায়নে নির্মিত এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারেনি বিপিডিবি। বরং চাহিদার চেয়ে সক্ষমতা বেশি থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর যথাযথ ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট অ্যানালাইসিস প্রয়োজন। যাতে বিদ্যুৎ খাতে খরচ ও ব্যয় কমিয়ে আনা যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিক্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) বাংলাদেশের জ্বালানি খাতবিষয়ক লিড অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অ্যানালাইসিস করে এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়।
তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে খরচ কমানো যেতে পারে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায়, অন্যান্য খরুচে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করে দেখার সুযোগ আছে কিনা, সেটি দেখতে হবে।’ দেশে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গত দুই বছরে ডজনখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে গত দুই বছরে। বিশেষ আইনের আওতায় কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়াই এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের তুলনায় অন্তত তিন গুণ বেশি দরে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যেসব সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হচ্ছে সেগুলোর ইউনিটপ্রতি দাম ১১ থেকে ১২ টাকার নিচে নয়। দেশে অনুমোদন এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেড। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড এটি নির্মাণ করেছে। গত ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রটির বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে জাতীয় গ্রিডে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদি চরের ৬৫০ একর জমিতে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়।
জ্বালানি খাতের গ্যাসের সংকট কাটাতে সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কয়েকটি এলএনজি আমদানি চুক্তি ও এলএনজি অবকাঠামো নির্মাণে চুক্তি সই হয়। এর মধ্যে গত বছরের জুনে অর্থনৈতিক ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দেশের তৃতীয় এলএনজি নির্মাণে কাজ পায় সামিট গ্রুপ। ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন টার্মিনালটির যদিও এখন পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহের চুক্তি করে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটের সঙ্গে।
বিশেষ বিধানের আওতায় দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে ৪৮টি কূপ খননের প্রকল্পও বাস্তবায়িত হচ্ছে। তবে এখানেও চীন ও রাশিয়ার কোম্পানিগুলোকে স্থানীয় কোম্পানি বাপেক্সের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামে কাজ দেয়ার অভিযোগ। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক অধ্যাপক ম. তামিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিশেষ আইনের আওতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চলমান প্রকল্প স্থগিত রাখা হয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ।
তবে আইনটির আওতায় যেসব কাজ হয়েছে এখন সেগুলো যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। তাহলে জনসাধারণ জানতে পারবে এগুলোর বিদ্যুৎ খাতে আর্থিক সফলতা রয়েছে কিনা। না থাকলে এগুলোর বিষয়ে একটা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে হবে।’
‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫)......বিস্তারিত