
ভারি বর্ষণ ও অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে আসা ঢলে দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের ৫ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এসব অঞ্চলের ৮টি নদ-নদীর পানি আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে জেলার মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ও ধোলাই নদীর পানি ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) জেলার মনু নদীর চাঁদনীঘাট পয়েন্টে ১০৫ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীতে ৮ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মনু ও ধলাই নদীর ভাঙন দিয়ে প্রবল স্রোতে কুলাউড়া, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি ঢুকছে। এত অন্তত দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নতুন করে মনু নদী রাজনগর উপজেলার কদমহাটা প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩টি স্থানে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে; সেইসঙ্গে অপর আরেকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কুলাউড়া-মৌলভীবাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানিতে আমাদের বাড়িঘর ডুবে গেছে। ২০ ঘরের মানুষ আমরা রাস্তায় ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। মঙ্গলবার রাত থেকে হুহু করে পানি ঢুকতে থাকে। আমরা বালু ও মাটি ফেলে অনেক চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারিনি।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, প্রতিনিয়ত মনু ও ধলাই নদীর পানি বাড়ছে। ঝুঁকি মোকাবেলায় শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করার পাশাপাশি আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আটটি স্থান দিয়ে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মনু নদীরও বাঁধ ভেঙে গেছে। ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে বলে জানান তিনি।
