খিচুড়িতে বমি পাহাড়ি মানুষের, আবেদন সামান্য সাদা ভাত লবনের

লেখক: Dhaka Bangladesh
প্রকাশ: ১ বছর আগে

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বন্যায় দুই বিভাগের মোট ৪০টি উপজেলার ২৬০টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।দেশের ১১ জেলার ৭৭ উপজেলা বন্যাকবলিত। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ কে।

এমন মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠান ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌছেছে আক্রান্ত এলাকায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার পৌছাতে কিছুটা বিলম্ব হওয়াতে সেনাবাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবীরা আপাতত খিচুড়ি রান্না করে বন্যার্তদের দিলে তা অনেকের জন্য খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে কোন অসুবিধা না হলেও পাহাড়ী মানুষদের জন্য খিচুড়ি একদম অস্বস্তিকর হয়ে দাড়িয়েছে।

পাহাড়িদের খাদ্যাভাস বাঙালিদের চেয়ে আলাদা। তাদের খাবারে তেল, ঝাল থাকেনা বললেই চলে। তাই বাঙালি স্টাইলে খিচুড়ি রান্না অনেক পাহাড়িরা খেতে পারছেননা এবং এতে অনেকে বমি করছেন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এতে অপচয় হচ্ছে খাবারের কিন্তু না খেয়ে আছেন অনেক পাহাড়ি শিশু ও বয়স্করা।

এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাহাড়ি কিছু মানুষ স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ত্রাণ হিসেবে পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করতে অথবা সাদা ভাতের সাথে লবন সরবরাহ করে দিতে।

মংসায় মার্মা নিমং নামে এক পাহাড়ি যুবক তার ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন পাহাড়িরা সামান্য সাদা ভাত আর লবনেই সন্তুষ্ট। তাদের দুঃসময় কাটাতে কোন প্রকার তেল ঝালের খাবার প্রয়োজন নেই। ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যারা এগিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের বাসিন্দাদের এই খাদ্যাভাস সম্পর্কে সামান্য ধারণা রেখে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন...

  • খিচুড়িতে বমি
  • পাহাড়ি মানুষ
  • বন্যা