পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে এক সেশন বাকি থাকতেই কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। এর আগে দুই দলের ১৩ বারের দেখায় একটিতেও জয় পায়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার রাওয়ালপিন্ডিতে তাদেরকেই হারিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।
পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট করে দিয়ে মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ, যা ১০ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
জয়ের পথে জকের করেন ১৫ রান। সাদমানের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। আর তাতেই পাকিস্তানের মাটিতে পায় প্রথম টেস্ট জয়। বাংলাদেশের এই জয়টা এসেছে অনেকটা কাকতালীভাবেই। নয়তো চতুর্থ দিনের খেলা শেষেও এমন জয় কল্পনা করেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। চতুর্থ দিনশেষে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ৯৪ রানে পিছিয়ে থাকলেও ব্যাটিং স্বর্গে হাতে তখনো ৯ উইকেট থাকায় ভাবা হচ্ছিল ড্রই এই টেস্টের পরিণতি। তবে শেষ পর্যন্ত পঞ্চম দিনে বল করতে নেমে পাশার দান পাল্টে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
এর আগে টসে হেরে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। তবে শান্ত’র আগে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা হয়তো ভুল হয়নি। স্কোরবোর্ডে ৩ রান যোগ হতেই আব্দুল্লাহ শফিককে সাজঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ। দলীয় ১৪ রানেই দ্বিতীয়বার হোঁচট খায় স্বাগতিকরা। এবার অধিনায়ক শান মাসুদকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল ইসলাম।
স্কোরবোর্ডে আর দুই রান যোগ হতেই আরও একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর আজমকেও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার। ১৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এরপর দলের হাল ধরেন সাইম আইয় ও সৌদ শাকিল। দুজনে মিলে ৯৮ রানের জুটি। ৯৮ বলে ৫৬ রান করে সৌদ শাকিল আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন সৌদ শাকিল। ১৪১ রান করে আউট হন সৌদ শাকিল। অন্যদিকে ১৭১ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশও ভালো শুরু পায়। মুশফিকুর রহিমের ১৯১, সাদমানের ৯৩, মেহেদী হাসান মিরাজের ৭৭, লিটন দাসের ৫৬ ও মুমিনুলের ৫০ রানের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসেই লিড পায় বাংলাদেশ। সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৫৬৫ রান তুলে টাইগারর। পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ইনিংসে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। সাকিব, হাসান মাহমুদরা ধ্বসিয়ে দেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। তিনজন ব্যাটার আউট হন কোনও রান না করেই। একমাত্র রিজওয়ান ছাড়া আর কোনও ব্যাটারই তেমন রান পাননি। আব্দুল্লাহ শফিক ৩৭, বাবর আজম ২২, রিজওয়ান ৫১ ও শান মাসুদ করেন ১৪ রান। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ নেন ৩টি করে উইকেট।
শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। আর বাংলাদেশের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩০ রান। মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোনও বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। ৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম মিলে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। আর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টেস্টে হারালো বাংলাদেশ।
‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫)......বিস্তারিত