দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা সম্পদ অর্জন এবং পাচারের অভিযোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানসহ চার সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সাবেক মন্ত্রী ছাড়া বাকি তিনজন হলেন: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), দিনাজপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর
। দুদক সূত্রে জানা যায়, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউকসহ (পূর্বাচল) বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, দি সিটি ব্যাংক পিএলসি এবং সোনালী ব্যাংক পিএলসিতে সঞ্চয়পত্র, তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২, করবী, ফ্ল্যাট নং-৩ ই, ৩/৩ এ, পরিবাগ ঢাকায় চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া দেশের বাইরে টাকা পাচার করে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডায় একাধিক বাড়ি ক্রয়ের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে, সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় বাড়ি নম্বর-১২, সেক্টর-১০, রোড-১২, উত্তরা মডেল টাউনে ৫ কাঠা জমির উপর বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, দুটি গাড়ি, দিনাজপুরের উথরাইল মৌজা, পুচকুর মৌজা, রামপুর মৌজা ও জালালপুর মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে।
এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে মাগুরা জেলার জাগলা এলাকায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, মাগুরার চাওলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নগর পদ্মবিলে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য খামার, নিজ নামে ১০টি ট্রাক, শ্যালকের নামে দুটি এবং খালকুড়া নবাবের ছেলের নামে দুটি গাড়ি ক্রয়, মাগুরা সদরে তার মালিকানাধীন মনোয়ারা কমপ্লেক্স নামীয় বহুতল মার্কেট, মাগুরার বিভিন্ন জায়গায় অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া, সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের (ছেলুন) বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে তিনতলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল ‘জোয়ার্দ্দার কুটির’ নামীয় বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, প্রায় ৮০-১০০টি এসি/ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, একটি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
‘স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ককে খুন: ঘাতক সন্দেহে আরেক জনকে হত্যা’
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫)......বিস্তারিত