TadantaChitra.Com | logo

২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহী-৩ আসনে তৃণমূল আদর্শিক নেতৃত্ব আসাদকে চাই

প্রকাশিত : মে ২২, ২০১৮, ১৩:৫৭

রাজশাহী-৩ আসনে তৃণমূল আদর্শিক নেতৃত্ব আসাদকে চাই

আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় বইতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। এদিকে এই আসনে এবার আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেরা সংগঠক ও তৃণমূলের প্রাণ কর্মী-জনবান্ধব নেতা আসাদুজ্জামান আসাদ। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক. সেরা সংগঠক, প্রবীণ, ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ ও গণমানুষের নেতা আসাদুজ্জামান আসাদকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চাই দলমত নির্বিশেষে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। ইকিসধ্যে আসাদকে ঘিরে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। রাজশাহী সিটিকর্পোরেশন সংলগ্ন এই আসনের গুরুত্বটাও অনেক বেশি যে কোনো মূল্য আসনটি আবারো দখলে রাখতে চাই। ওদিকে তৃণমূলের দাবি আসনটি এবার ধরে রাখতে হলে প্রবীণ-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ, আস্থা-গতিশীল, আদর্শিক নেতৃত্ব ও পরিচ্ছন্ ব্যক্তি ইমেজের প্রার্থী প্রয়োজন। আর এসব বিবেচনায় এখানে আসাদের কোনো বিকল্প নাই। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলে দাবী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসনটি ধরে রাখতে হলে আসাদের কোনো বিকল্প নাই এখানে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আসাদ। তৃণমূলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আয়েন উদ্দীন এমপি হবার পরে তিনি নিজে তেমন কিছু না করলেও তার আতœীয়-স্বজন এবং ঘনিষ্ঠরা নিয়োগ ও তদ্বির বাণিজ্য, উন্নয়ন কাজের ভাগাভাগীসহ নানা ধরণের বির্তকিত কর্মকান্ড করে এমপি আয়েনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়েছে। এসব কারণে তৃণমূলে তিনি অনেকটা জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। এবার আসনটি ধরে রাখতে হলে নতুন মূখের প্রার্থী বা বিকল্প নেতৃত্ব ব্যতিত আসন ধরে রাখা আওয়ামী লীগের জন্য প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে এখানে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে আসাদুজ্জামান আসাদকে পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। ইতমধ্যে আসাদকে সাম্ভব্য প্রার্থী ধরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে । অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও আসাদকে সাম্ভব্য প্রার্থী থরে নিয়ে তাদের নির্বাচনী পরিকল্পনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগ শুধু নয় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মধ্যে আসাদের যেই আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত। এসব কারণে রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষ আসাদকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আসাদুজ্জামান আসাদ দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী ও জনবান্ধব এবং পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তিনি রাজশাহী আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান। আসাদুজ্জামান আসাদ বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগকে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। রাজশাহীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে সামনে থেকেছি এবং এখনো আছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে আজ আওয়ামী লীগে পৌচ্ছে দেখতে পাচ্ছি এখনও তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার জায়গা নেই। তারা অনেক এমপি বা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না নির্বাচিত হবার পরপরই অনেক এমপি হয়ে উঠে এলাকার জমিদার তারা ভূলে যায় দলের আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতার কথা,ভূলে যায় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস্য সেই কথাও। আসাদ এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছেন এখনও আছেন। আসাদুজ্জামান আসাদ দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। রাজশাহী মহানগর, জেলা বা উপজেলা যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। আসাদুজ্জামানের মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। কিšতু তাদের সংগঠিত করার মত নেতৃত্বের এতোদিন যে অভাব ছিল এখন তিনি সেটা অনেকটা দুর করতে সক্ষম হয়েছেন। রাজশাহীর প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে তার লাখো ভক্ত, অনুরাগী ও সর্মথক, তিনি হয়েছে উঠেছেন রাজশাহী অঞ্চলের রাজনীতিতে রোল মডেল। অনেক এমপি, মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী তাকে অনুসরণ করে এখন রাজনীতি করতে শুরু করেছেন।
জানা যায়, মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সšতান হিসেবে আসাদ রাজনীতিতে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার একটি নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় সক্রিয় থেকেছেন। ১৯৮৪ সালে রাজশাহী মহানগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৫ সালে দায়িত্ব পান রাজশাহী সিটি কলেজের সভাপতির। সিটি কলেজে ছাত্রদল ও শিবিরের বৈরী রাজনীতির মাঝেও আসাদ এখানে ছাত্রলীগকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যান। ১৯৮৮ সালে আসাদ রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে হন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছাত্রলীগকে সাফল্যের সঙ্গে সংগঠিত করেন এবং তৎকালিন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আসাদ রাজশাহীতে ছাত্র সমাজের মধ্যমণি হিসাবে ব্যাপক ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তার আপোষহীণ ভূমিকা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আসাদকেই দেয়া হয় মহানগর সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যর মুল সমন্বয়কের দায়িত্ব। ১৯৯০ সালে আসাদ রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক একই বছরে সাধারণ সম্পাদক, ৯৬ সালে জেলা যুবলীগের আহবায়ক, ৯৭ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০৩ সাল পর্যšত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আসাদুজ্জামান আসাদ এখনও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মণে করেণ ও যে কোন সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু আসাদ তাদের কথা শুনেন। আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এখনও আছেন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে থেকে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে দলীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছি এখনো দিয়ে যাচ্ছি । তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাকর্মীরাই দলের প্রাণ। এ প্রসঙ্গে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক জৈষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসাদুজ্জামান আসাদ সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এখনো আছেন। তিনি বলেন, আসাদ একজন পরীক্ষিত নেতা। দলের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন, এমন জন ও কর্মীবান্ধব রাজনৈতিক নেতা এমপি হলে তা হবে দল ও দলের নেতাকর্মীদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। তিনি বলেন, আমরা ইতমধ্যে দলের হাইকমান্ডের কাছে দাবি করেছি এমপি নির্বাচনে আসাদ ভাইকে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।