সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের বছর খানেক পর তদন্তের ভার পায় র্যাব। আইনজীবী মনজিল মোরশেদের রিটের প্রেক্ষিতে আদেশ দিয়েছিলেন ওইসময়ের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর মানিক। র্যাবকে দায়িত্ব দেয়ার এতো বছর ঝুলিয়ে রাখার নেপথ্যে অসৎ উদ্দেশ্য দেখছেন অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল অনিক আর হক।
সকালে সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যার মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান অভিযোগ করে বলেন, এ হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। হত্যা রহস্য উদঘাটনে আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার পর কেটে গেছে এক যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এ হত্যা রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি কোনো সংস্থাই। পুলিশ, সিআইডির একের পর এক হাতঘুরে মামলার তদন্তভার র্যারের কাছে গেলেও নেই কোনো অগ্রগতি। ১১৩ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন মামলার বাদি রুনির ভাই নওশের রোমান। নিয়োগ দিয়েছেন আইনজীবীও।
নতুন নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী শিশির মনির জানান, আন্তুরিকভাবে কাজ করলে এতদিনে বের হয়ে আসতো হত্যা রহস্য। তদন্তভার পিবিআইকে দিতে আদালতে আবেদন করা হবে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসা থেকে সাগ-রুনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সবশেষ তদন্তে বাসা থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ডিএনএ আলামত মিললেও শনাক্ত করা যায়নি খুনিদের।
‘নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বসুন্ধরা শুভ সংঘের সবজির বীজ প্রদান’
এ বছর এক একর জমিতে ব্যাংক লোন করে সবজি চাষ......বিস্তারিত