TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার এসপি কর্তৃক নারী পুলিশ যৌন হয়রানী!

প্রকাশিত : মার্চ ০৭, ২০১৯, ১৯:১৮

ভোলার এসপি কর্তৃক নারী পুলিশ যৌন হয়রানী!

  • চাকুরী যোগদান করে সুবিধা না করতে পারলেও এখন হিসাব ছাড়া গড়েছেন টাকা ও সম্পদ।
  • যা কিছু করেছেন সবই ভোলা জেলায় এসপি হিসেবে যোগদানের পর।
  • ভোলায় যোগদান করেই বাংলামটর ওভার ব্রীজের পাশে নাভানা জহুরা স্কয়ারের ক্রয় করেছেন বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট। 
  • কয়েকটি দামী প্রাইভেট।
  • উত্তর বাড্ডা রয়েছে চার জমিতে টিনের ঘর।
  • নামে বেনামে ব্যাংকে টাকা।
  • হঠাৎ এত অর্থ সম্পদ করলেন কিভাবে এমন প্রশ্ন এখন তার নিজ এলাকায়?
  • ক্ষমতা এতই যে অভিযোগের তদন্ত থামিয়ে দেন।

ভোলা জেলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী পুলিশ সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হয়রানীর অভিযোগ ২০১৬ সাল থেকে উঠলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে তার কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভোলা জেলায় যোগদান করেই তার স্বভাবসুলভ ঘুষ, দুর্নীতি ও মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের উপর যৌন নিপীড়ন শুরু করেন।

প্রথমে তিনি বিভিন্ন থানা ফাঁড়ি ভিজিট করে সুন্দরী অবিবাহিত ১০/১২ জন মহিলা পুলিশ কনস্টেবলদের বাছাই করে পুলিশ লাইনে বদলী করে নিয়ে আসেন। তারপর আরও-১ এসআই আশরাফের মাধ্যমে ঐ সব মহিলা কনস্টেবলদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে নিজের মোবাইল থেকে এবং তার বাংলোর সম্প্রতি চাকুরিচ্যূত অর্ডারলী কং মনিরের মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে ঐ সব মহিলা কনস্টেবলদের তার সাথে দেখা করা ও শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ কাজে তিনি এই কং মনিরকে সার্বক্ষনিক নিয়োগ করেছিলেন। পুলিশ সুপার মোকতার হোসেনের হাত থেকে বাঁচার জন্য ঐ সব নিরীহ মহিলা কনস্টেবল তার কথোপকথন রেকর্ড করে রাখেন এবং ফোনে উইমেন্স পুলিশ নেটওয়ার্কের প্রধান ডিআইজি মিলি বিশ্বাসকে জানান। মিলি বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে পুলিশ সদর দপ্তর স্মারক নং-৪৪.০১.৪৪৪.০৩০.০৪.০৪৫.১৬/১৯৯৫ তাং- ১৭ আগস্ট ২০১৬ ইং এবং বরিশাল ডিআইজি অফিস স্মারক নং (স্টেনো-২)/৫.২০১৬/১৩৭ এর মাধ্যমে তৎকালীন বরিশাল রেঞ্জ ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি মোঃ আকরাম হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

উপরন্তু ভিকটিম মহিলা পুলিশ সদস্যদেরকে বিভিন্ন জেলায় শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। বিচার না পেয়ে ভিকটিম মহিলা পুলিশ সদস্যরা হতাশ। সরকারী কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশ সদস্যরা তাদেরই উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার কর্তৃক যৌন নিগ্রহের স্বীকার। উক্ত বিষয়ে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন ইহাই ভিকটিমরা আশা করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন অভিযোকারী সাংবাদিক। অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে, ভোলার পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন তার পূর্বের কর্মস্থল সিরাজগঞ্জ জেলায় নিজ অফিস রুমে নারী পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়মিত যৌনাচার করতেন এমন প্রমান (কল রেকর্ড) রয়েছে এই প্রতিবেদকের হাতে। ওই অডিও রেকর্ড একটি তুলে ধরা হলঃ
মেয়েঃ এই তো কোথায় আপনে??
মোকতার হোসেনঃ ঘুমাতে ছো নাকি??
মেয়েঃ হে…..
মোকতার হোসেনঃ ঘুমাতে ছো????
মেয়েঃ হা ঘুমাচ্ছি. কই আপনে??
মোকতার হোসেনঃ বাসায়??
মেয়েঃ হা রুমে
মোকতার হোসেনঃ হা আমি অফিসে, কি কর???
মেয়েঃ এই তো অফিস থেকে আসি খুব মাথা ব্যাথা করতে ছিল তাই শুইছি।
মোকতার হোসেনঃ তোত দেখা করলা একটা সুযোগ ছিল।
মেয়েঃ যাইতে চাইছিলাম, মুন্সি বেটা ভাল না, বললাম আমারে আজ ডিউটি দিয়েন না কালকে দিয়েন, তাও কচ্ছে পোর্স নাই আজকের দিনটা কর।
মোকতার হোসেনঃ না সার আজকে আমারে ডাকছিল একবারে ফ্রি ছিল।
মেয়েঃ হিম…
মোকতার হোসেনঃ একবারে ফ্রি ছিল।
মেয়েঃ ফ্রি ছিলেন???
মোকতার হোসেনঃ হে হে …..
মেয়েঃ আজকে????
মোকতার হোসেনঃ আজকে তো শুভাষ (তৎকালীন এসপি ফরিদপুর) নাই এসপি সার নাই, কেই নাই।
মেয়েঃ নুসরাত??
মোকতার হোসেনঃ হে??
মেয়েঃ নুসরাত কই গেছে??
মোকতার হোসেনঃ ও তো চলে গেছে আড়াইটার দিকে।
মেয়েঃ আড়াইটার দিকে চলে যায়??
মোকতার হোসেনঃ হি……
মেয়েঃ হি হি তারপর পোস্টিং হয়নি এখনো??
মোকতার হোসেনঃ না, আসবা আজকে….এরপর স্পস্ট বুঝা যায় নি। পরে আসলে আজ কিছু হইতো।
মেয়েঃ ও দেখি, আপনে ওসি’ক বলছেন দেখে রাইখেন, ওসি সার একটু এদিক সেদিক গেলেই বাজারে গেলেই বলে যাওনা কেন? এই কর না সেই কর না এডিশনাল এসপি সার বলছে তোমারে দেখে রাখতে।
মোকতার হোসেনঃ ওটা আমার রেপারেন্সে দিয়া বলছে, এমনে তোমারে ই করার জন্য।
মেয়েঃ তাই
মোকতার হোসেনঃ আমার রেপারেন্স দিয়া তোমারে চাপাইয়া রাখছে, তুমি বুঝ নাই।
মেয়েঃ সার বলছে তোমারে দেখে রাখতে বলছে। বাজারে গেলে বলে যাবে। আমাগে বলে বাজারে গেলে বল্লে যাবে। ঠিক আছে এ জন্য বাজারেও যাইনা। বাজারও করি না।
মোকতার হোসেনঃ তুমি তুমি তিনটার দিকে, তিনটার দিকে আস কেউ থাকবে না
মেয়েঃ ও ও….আচ্ছা দেখি
মোকতার হোসেনঃ বুঝতে পারছো
মেয়েঃ হা….
মোকতার হোসেনঃ অস্পষ্ট ভাষায় কি যেন বলে,,,পরে আর এমনে শরীর ঠিক আছে তো???
মেয়েঃ হা শরীর ঠিক আছে সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ প্যান্ডি ম্যান্ডি পরার দরকার নাই বুঝতে পারছো??।
মেয়েঃ এহ এহ না সমস্যা নাই হিম হিম সমস্যা নাই, সমস্যা নাই, সমস্যা নাই, আমি যাব নি, দেখি।
মোকতার হোসেনঃ হে….
মেয়েঃ আমি যাব দেখি, গোছ গাছ, উঠি উঠা গোসল টোসল কইরা আপনার সাথে যাই, চুপ করে চলে যাব, তিনটার দিকে টুপ করে চলে যাব। এরপর কি যেন বলতে চায় মেয়ে….
মোকতার হোসেনঃ আসার আগে রিং দিও।
মেয়েঃ আসার আগে রিং দিব??
মোকতার হোসেনঃ রিং দিবা না নাইলে তো আমি অফিসে থাকবো না।
মেয়েঃ আহ আহ আচ্ছা ঠিক আছে।
মোকতার হোসেনঃ আমি রওয়ানা দিলাম।
মেয়েঃ হ্যায়….
মোকতার হোসেনঃ যে সার আমি রওয়ানা দিলাম।
মেয়েঃ হ্যায় আচ্ছা ঠিক আছে..
মোকতার হোসেনঃ বুঝতে পারছ??
মেয়েঃ হ্যা…..
মোকতার হোসেনঃ রওয়ানা দিয়ে এখানে আসলে মানি বলবা যে পোস্টিং মোস্টিং এর জন্য..রব .রবে থাকবে তো।
মেয়েঃ রব??
মোকতার হোসেনঃ রব থাকবে রব, ওই যে অর্ডার্লী।
মেয়েঃ সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ হে…
মেয়েঃ সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ কইও যে পোস্টিং এর ব্যাপারে আলাপ করমু।
মেয়েঃ ও আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ একটু পরিস্কার টরিস্কার কইরা আইসো।
মেয়েঃ হে হে হে…
মোকতার হোসেনঃ কইসা মাইজা সব ধুয়া মাইজা আইসো।
মেয়েঃ হা হা হি হি হি….আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই হে হে।
মোকতার হোসেনঃ ঠিক আছে।
মেয়েঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

মোবাইল ফোনে এমন সব কথা বলেন তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন। যা মোবাইল ফোনে ধারনকৃত একটি রেকর্ডিং এর অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছি। ওই রেকডিং টি ছিল বর্তমান ভোলা জেলার এসপি মোক্তার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ মডেল থানার কনেষ্টবল এক মেয়ের। যা ৩ মিনিট ১৯ সেকেন্ড ধরে তাদের মধ্যে এই কথা হয়।

 


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।