নাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল (২৫) নামের ওই যুবককে মারধরের ভিডিওটি শেয়ার করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পিয়াস ফেসবুকে লেখেন, ‘নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলকে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে সমর্থন করায়, বাড়িতে গিয়ে বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেসহ বেধড়ক পিটিয়েছে বিএনপির কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বনপাড়া পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি জালাল ভূঁইয়া (চিটার জালাল) ও যুবদল নেতা টোকাই জাহাঙ্গীর তাকে বারবার জ*বা*ই করার কথা বলছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে অন্যায়ভাবে কোনো মামলা না থাকার পরেও পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা। তার পর সে পুলিশ হেফাজতে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তাঁদের পরিবারকে তাঁরা বারবার এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে।
’উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর শশ্বানঘাট এলাকার সবজি ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ মণ্ডলের ছেলে। তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পিয়াসের সঙ্গে চলাচল করতেন। এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। ৫ আগস্ট তিনি আত্মগোপনে চলে যান। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাবেন বলে বুধবার দুপুর বাড়িতে ফেরেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বনপাড়া পৌর শ্রমিক দল সভাপতি জালাল ভূঁইয়া, যুবদল কর্মী জাহাঙ্গীর আলম, নুর আলম, নাজমুল, ছাত্রদল কর্মী সুজন ও শুভর নেতৃত্বে হামলা করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ৭-৮ জনের একটি দল লাঠি-সোঁটা নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হন। এ সময় উজ্জ্বল মণ্ডলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তাঁরা। তাঁর বৃদ্ধ বাবা বিশ্বনাথ মণ্ডল, মা ছায়া রাণী উদ্ধারে এগিয়ে এলে তাঁদেরকেও ধাক্কা-মারপিট করতে থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। উজ্জ্বল মণ্ডল অচেতন হয়ে গেলে, তাঁকে বসিয়ে মাথায় পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরানো হয়।
পরে পুলিশে খবর দিলে তাঁকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে তাঁকে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে নাটোর কোর্টে চালান দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি সেদিনই সন্ধ্যায় জামিন পেয়ে বাড়িতে ফেরেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদেরকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উজ্জ্বলের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনায় কথা বলতে রাজি হননি। বনপাড়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএম ইকবাল হোসেন রাজু বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখেছি। এটা ঠিক হয়নি। অভিযুক্তদের ডেকে শাসিয়ে দিয়েছি। এই ধরনের কাজ তাঁরা আর করবে না।’ বনপাড়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ভিডিওটি দেখেছি। দলের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুনেছি আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে।’
‘সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন চুয়াডাঙ্গার সন্তান এইচ এম হাকিম’
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন শির্ষক আলোচনা শেষে সারা বাংলাদেশ......বিস্তারিত