TadantaChitra.Com | logo

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধর্মান্ধ উম্মাদের নারকীয় তান্ডবে স্তব্ধ বিশ্ব!

প্রকাশিত : মার্চ ২০, ২০১৯, ১৬:৪৭

ধর্মান্ধ উম্মাদের নারকীয় তান্ডবে স্তব্ধ বিশ্ব!

ব্রেন্টন টেরেন্ট, বয়স ২৮- অস্ট্রেলিয়ান এ তরুণের নৃশংসতায় পুরো বিশ্বের চোঁখ এখন নিউজিল্যান্ডে। পুরো বিশ্ব মিডিয়ার চোখ ক্রাইস্টচার্চে টেনে নিতে এ শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান তরুণ শহরটির আল নুর ও লিংকউড এলাকার দুটি মসজিদে চালিয়েছে স্মরণকালের নির্মম হত্যাযজ্ঞ। অর্ধশতাধিক মানুষ হত্যা করার আগে ঘাতক ছেড়ে আসে এক টুইট বার্তা। ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামের ৮৭ পৃষ্ঠার ওই টুইট মেনিফেস্টো পর্যলোচনা করে দেখা গেছে: ব্যক্তিগতভাবে ব্রেন্টন মুসলিম বিদ্বেষী এবং মুসলমানদের প্রচারকম অপছন্দ করে। সঙ্গে অন্য ধর্ম থেকে মুসলমানে পরিণত হওয়াকে রক্তের সঙ্গে বেইমানী হিসেবে উল্লেখ করে। মৃত্যু নিশ্চিতে বারবার গুলি চালিয়েছে। অনেকটা ভিডিও গেমসের আদলে। ঘাতক ব্রেটন ব্যবহার করেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। যে অটোমেটিক বন্দুকে গুলি চালানো হয়েছে তাতে ক্যামেরা লাগানো ছিল। যা ব্যবহার করে টেরেন্ট তার নারকীয় যজ্ঞ সোস্যাল মিডিয়া সরাসরি দেখিয়েছে। এর চেয়ে বর্বরতম উন্মাদনা আর কী হতে পারে?
মুহূর্তে সাইবার ওয়ার্ল্ডের কল্যাণে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। যার পৈশাচিকতার ব্যাপ্তিতে মাইক্রোসেকেন্ডে বিশ্বের লক্ষ-কোটি মানুষকে ধাক্কা দিয়ে গেছে, করেছে মানসিকভাবে বিপর্যা। কোমলমতি শিশু কিশোরদের কাছে যা ভয়াবহ আতঙ্কের।
নিউজিল্যান্ড বিশ্বের একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। গত এক দশকে দেশটিতে উগ্র বর্ণবাদ মাথা চাড়া দিয়েছে বেশ ভালোভাবেই। বিশেষ করে অভিবাসন আইন নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। যার ফল হিসেবে এ হামলার ঘটনাকে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব মিডিয়া।
ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বে এমন সন্ত্রাসী ঘটনা নতুন নয়। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন বিশ্বে কোন জায়গাকেই নিরাপদ ভাবার কোন কারণ নেই। যেকোন পরিস্থিতি সামলাতে রাখতে হবে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। সেই জায়গা থেকে আমাদের দেশে যখনই কোন জাতীয় ক্রিকেট দল খেলতে আসে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিচ্ছি। কিন্তু আমরা কতোটা পাচ্ছি, সেটা এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে।
জুমার নামাজ আদায়ে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো কিনা তা এখন পর্যন্ত দেশটির পক্ষ থেকে পরিস্কার করে বলা হয়নি। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল নাজমুল হাসান পাপন দাবি করেছেন, জুমার নামাজে যাওয়া ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থাই ছিলো না। সঙ্গে দৃঢ় উচ্চরণে বলেছেন: যারা নিরাপত্তা দিতে পারবে না, তাদের মাটিতে আমরা খেলতে যাবো না।
সময়ের ব্যবধানে বেঁচে ফিরেছে জাতির ক্রিকেট ইতিহাসের স্বর্ণযুগের সূচনাকারী শ্রেষ্ঠ সন্তানরা। সময়ের হেরফের না হলে এতক্ষণে হারানোর পাল্টাটা ভারি হতো সবচেয়ে বেশি আমাদেরই। রক্ষা পেয়েছে টাইগার ক্রিকেট অগ্রযাত্রা।
পরিস্থিতি বিবেচনায় টাইগার ক্রিকেটারদের হোটেলেই অবস্থান করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চের তৃতীয় টেস্ট বাতিল করে পরেরদিন হোটেল থেকেই এয়ারপোর্টের পথ ধররে বাংলাদেশে আসে মুশফিক-তামিমরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত এবং ৪০ আহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতের মধ্যে ৩ বাংলাদেশিও রয়েছেন।
এতোগুলো তাজা প্রাণ ফিরে পাওয়া সম্ভব না হলেও, সাত সমুদ্র এপার থেকে আমাদের প্রত্যাশা; হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করা টেরেন্টের উপযুক্ত শাস্তি বিধান যেন নিশ্চিত হয়। নিহতদের রক্তের সঙ্গে শান্তির ভূমিতে জমাট বেধে ওঠা ধর্মান্ধতা এবং বর্ণান্ধতা যেন চিরতরে মুছে যায়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।