স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর তিলপাপাড়ায় নিজেকে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়ে খিলগাঁও এলাকা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে জনৈক তোতা মিয়ার কন্যা সুমি খান (৪০) নামে এক নারী প্রকাশ্য দেহব্যবসা, নারী পাচার এবং মাদকের ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সুমি খান ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। বেশ কিছুদিন তিনি ওই এলাকায় নিজেকে যুব মহিলা লীগের নেত্রী পরিচয়ে মাদক, নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা ও নারী পাচার করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে যুব মহিলা লীগের নেত্রীর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমি খান মাদক, দেহ ব্যবসাসহ নারী পাঁচার করে খিলগাঁও, গুলশান, বনানীসহ আশ-পাশের যুবসমাজ ধ্বংস করেছে। তার এই অবৈধ ব্যবসার কারনে ছিনতাই ও রাহজানি সহ কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুমি খানের ক্ষমতার দাপটে খিলগাঁও এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানালেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুমি খান কয়েকজন ক্ষমতাধর প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ সহ স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার শেল্টারে মরন নেশা ইয়াবা, গাজা, ফেনসিডিল, আফিন সহ সকল প্রকার মাদকের ব্যবসা, নিজ বাড়িতে মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা ও বিদেশে নারী পাচার দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন।
খিলগাঁও এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানান, সুমি খান খিলগাঁও তিলপাপাড়ায় টিউলিপ জমিদার ভিলা, যার বাসা নং৮৫/এ রোড নং ১৭ তিলপাপাড়া নামক স্থানে দীর্ঘদিন দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার এই দেহ ব্যবসায় পতিতা হিসেবে সুমি খাতুনের সাথে সঙ্গ দিয়ে দেহব্যবসা করছেন মহিলা লীগ পরিচয় দেওয়া নাসিমা, রাত্রি, শিল্পী, পলি, এ্যানি, ইতি, মুক্তি, মিনু, রেখা ও সুমি খানের মেয়ে খিলগাঁও সহ ধানমন্ডিতে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছেন। তাদের এই অবৈধ কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, সুমি খান নিজেকে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছে। বিশেষ করে যুবসমাজকে হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা সহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। এছাড়া বিদেশে নারী পাচার ও নিজ বাড়িতে মেয়ে রেখে দেহ ব্যবসা সহ বিভিন্ন প্রকার গুরুতর অপরাধের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুমি খান খিলগাঁও এলাকাতে এতোটাই বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে তার ক্ষমতার দাপটে দিন দিন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নেত্রী পরিচয়ে সুমি খান এখানে প্রতিদিন অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়। আমরা আতঙ্কে আছি এবং দ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা চাই।”
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী আব্দুল রাজ্জাক রাজ বলেন, বর্তমান সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সুমি খানের মতো দেহ ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ীসহ নারী পাচার চক্রের সদস্যদের যদি দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হয় তা হলে বর্তমান যুব সমাজ দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে পড়বে। তাই এই ধরনের মাদক ও দেহ ব্যবসায়ী, নারী পাচার কারীর বিরুদ্ধে প্রশাসন যুবসমাজকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে খিলগাঁও থানা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, “বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘বাবা-মা’র আশকারায় মাদকাসক্ত ছেলে !’
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শাহজাহান এর ছেলে......বিস্তারিত