স্টাফ রিপোর্টারঃ অপরাধ দুর্নীতি বানিজ্য যেনো বাংলাদেশের উচ্চ সমাজের মানুষের কাছে কমন বিষয় হয়ে উঠেছে। শতশত কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে অনেকেই তৈরি করেছেন শতশত কোটি টাকা মূল্যর বিলাশ বহুল বাড়ী-গাড়ি। ঠিক এমনই একজনের সন্ধান মিলেছে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত গেন্ডারিয়া থানাধিন নারিন্দা এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র নারিন্দা ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের বাসিন্দা ও সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসন আমলে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অবৈধ পথে পণ্য আমদানি, লুবিক্যান্ট ভেজাল, আবাসিক হোটেল বানিজ্য ও বিদেশী ডলার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত কোটি টাকা মূল্যর সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন।
এসব বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সিরিজ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার এই অবৈধ পথে উপার্জিত সম্পদের আংশিক বিবরন সহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক সাংবাদিক। কয়েকদফা সংবাদ প্রকাশের পরে মহিউদ্দিন নিজেকে এবং পরিবারকে বাঁচাতে বিভিন্ন পত্রিকা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে তার প্রতিবেশি লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগরকে প্রতিপক্ষ সাজিয়ে আনোয়ার পারভেজ সাগরের নামে মিথ্যা মনগড়া অভিযোগ এনে মহিউদ্দিনের নামিও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপি প্রেরণ করেছেন মহিউদ্দিন।
প্রতিবাদ লিপিতে মহিউদ্দিন দাবী করেন, তার এবং তার মেয়ে ও ছেলেদের নামে ৫ টি ফ্লাট রয়েছে নারিন্দার ৩০ নং শাহ সাহেব লেনে, সংবাদ প্রকাশের আগে তার কোন বক্তব্য বাদেই সংবাদ প্রকাশ করছেন সাংবাদিকরা। তার নামে মনগড়া মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে তাকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সাংবাদিকরা তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য নারিন্দা ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের বাড়িতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিত টের পেয়ে দরজা বন্ধ করে রাখেন এবং পর্বর্তীতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। তাকে না পেয়ে তার সায়েদাবাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে তার ছেলে পিতার পরিচয় না দিয়ে বলেন তার বিষয় তার সাথে কথা বলেনগা, আমরা তার দোকানের কর্মচারী তার বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবোনা। পর্বর্তীতে ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের মহিউদ্দিনের ফ্লাটের কেয়ারটেকার তার কয়েকদফা সম্পদের আংশিক বিবরন তুলে ধরেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নারিন্দা বাসি এক সময়ে মহিউদ্দিনকে চিনতো ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে। অতি নিম্নবৃত্ত পরিবারের মহিউদ্দিন আওয়ামী রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিনি বিভিন্ন জায়গাতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে, আওয়ামী ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট বানিজ্য, ডলার সিন্ডিকেট, আদম দালালী, সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে পণ্য আমদানী থেকে শুরু করে সকল প্রকারের অপকর্মের মহিউদ্দিন সরাসরি জরিত ছিলেন বলে বিশেষ একটি সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি এতো সব অপকর্ম করে গরেছেন শত শত কোটি টাকার অর্থ সম্পদ।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আশা তার সম্পদের আংশিক বিবরনী তুলে ধরা হলো, গেন্ডারিয়ার নারিন্দার ৩০ নং শাহ সাহেব লেনে সাময়িক নীড়ে ক্রয় করেছেন ৫ টি ফ্লাট এই ফ্লাট গুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
নারিন্দা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে তৈরি করেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২৫ কোটি টাকা। ৪/৪ সায়েদাবাদে জমি ক্রয় করে তৈরি করেছেন বিলাশ বহুল আলিশান বাড়ি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। ২৪৯/৫ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ঢাকাতে রয়েছে বিলাশ বহুল বাড়ি সহ দোকান, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ১ কোটি টাকা মূল্যার দামি গাড়িতে রাজকীয় হালে চলাচল করেন মহিউদ্দিন, যার গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো- গ ৩৩-৭৪৮৫, এবং তার ছেলের বউয়ের নামে ক্রয় করেছেন প্রিমিওগাড়ি, যার গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৮-৪৬৩৯ বলে জানা গেছে। এবং তার নামে রয়েছে এলিয়ান্ট গাড়ি যাহার নাম্বার, ঢাকা মেট্রো গ,৪২-৭৬৯৮, সহ গেন্ডারিয়া এলাকায় আরো ২ টি শত কোটি টাকা মূল্যর বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। তার এবং স্ত্রী সহ ২ সন্তানের নামে বিভিন্ন জায়গাতে জমি সহ গা্ড়ি বাড়ি রয়েছে।
মহিউদ্দিন সুরমা ট্রেডিং এজেন্সির মাধ্যমে লুবিক্যান্ট আমদানি করে নিজস্ব গোডাউনে নিয়ে তা ভেজাল প্রকৃয়ার মাধ্যমে আমদানি কৃত পণ্যর ৩ গুন নিজ প্রতিষ্ঠানে তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন জায়গাতে নামে বে নামে ভাউচার তৈরি করে সরবরাহ করে চলেছেন, এতে করে সরকার বছরে কোটি টাকার উপরে রাজস্ব হারাচ্ছে,। ট্যাভলস এজেন্সি নামিও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে প্রবাসে পাঠানোর নাম করে বিভিন্ন প্রকারের প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিতেন অর্থ।
দির্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি ভ্যাট টেক্স অফিসারকে ম্যানেজ করে নাম মাত্র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দায় সাড়া ভাবে চলাচল করেই চলেছেন মহিউদ্দিন। তার বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বে নামে শত কোটি টাকা রেখেছেন বলে তার নিকট একটি সূত্র থেকে নিশ্চত হওয়া গেছে। সুরমা ট্রেভেলস এজেন্সির মাধ্যমে মানুষকে বিদেশে পাঠানো সহ অবৈধ ডলার সিন্ডিকেটের সাথে তিনি এবং তার ২ ছেলে সক্রিয় ভাবে জড়িত বলে তার নিকটস্থ সুত্র থেকে জানা গেছে।
চায়না, দুবাই, ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্য দেশ থেকে নাম মাত্র পন্য ক্রয় – বিক্রয় করে সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধ পথে পণ্য আমদানী রপ্তানি সহ সকল প্রকারের অপকর্ম এখনো দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন। মেসার্স মমতাজ ব্যাটারী এন্ড টায়ার হাউস সহ বর্তমানে বিভিন্য নিত্য নতুন প্রতিষ্ঠান খুলে অবৈধ পথে অর্জিত শত কোটি টাকার অর্থ সম্পদ বৈধ বানানোর চেষ্টা করছেন। তার এ বিষয়ে নিয়ে অনুসন্ধানী টিম তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেন নাই, পর্বর্তীতে তার বক্তব্য নিতে দেখা করতে গেলে তিনি সাংবাদিক দেখে দরজা আটকিয়ে দেন। পরবর্তীতে তার এক নিকটস্থ সাংবাদিককে দিয়ে ফোন করালে ফোনে বলেন, সাংবাদিকেরা আমার বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি সবার নামে মামলা দিবো, গেন্ডারিয়া থানার নতুন ওসি সাহেবের সাথে আমি কথা বল্লাম তিনি নিজে আমাকে বল্লো সাংবাদিকদের নামে মামলা করতে, তার পরে বাকিটা ওসি সাহেব দেখবেন, কিন্তু তিনি প্রতিবাদ লিপিতে তার বক্তব্য সাংবাদিকেরা না নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে কয়েকদিন গেন্ডারিয়ার নারিন্দার মহিউদ্দিনকে নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশিত হবার পরে এখন ভোল্ট পাল্টিয়ে নিজেকে সাধু প্রমান করতে তার প্রতিবেশি লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগরকে ফাঁসানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।
মহিউদ্দিন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে তিনার এক বিশ্বস্ত সাংবাদিকের কাছে শিকার করেন যার কথোপকথন এর রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি প্রতিবাদ লিপিতে আওয়ামী লীগ করার কথা অস্বীকার করেন। লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগর একজন ইন্জিনিয়ার ও সফল ঠিকাদার ব্যবসায়ী এবং লায়ন পরিবারের সদস্য।
এদিকে গেন্ডারিয়ার নারিন্দার মহিউদ্দিন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিতে তিনি লায়ন আনোয়র পারভেজ সাগর কে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আনার হত্যা মামলার আসামী এবং সংসদ নির্বাচন করার কথা উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগর নামে কেউ সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন আনারের সাথে নির্বাচনে প্রতিদন্ধিতা করেননি। ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সাংসদ ভারতে খুন হবার পেছনে লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগর জরিত বলে প্রতিলিপিতে উল্লেখ করেছেন মহিউদ্দিন। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সে সময়ে লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগর ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন।
এ বিষয়ে লায়ন আনোয়ার পারভেজ সাগর বলেন, আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার একজন সফল ব্যবসায়ী এবং একটি পত্রিকায় সহ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। মহিউদ্দিন নিজের অবৈধ উপার্জিত সম্পদের তথ্য গোপন করতে তিনি আমার প্রতি উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি আমাকে সমাজের চোখে ছোট করার চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছেন।
প্রসঙ্গত: মহিউদ্দিন প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন তাকে সাংবাদিকেরা ফোন অথবা মৌখিক বক্তব্য না নিয়ে মনগড়া নিউজ প্রকাশিত করেছে। এই কথাটি মহিউদ্দিনের একান্ত মণগড়া।
‘সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন চুয়াডাঙ্গার সন্তান এইচ এম হাকিম’
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন শির্ষক আলোচনা শেষে সারা বাংলাদেশ......বিস্তারিত