নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শাহজাহান এর ছেলে সামিউল হোসাইন সাইফ ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ টেকনোলজি, সাতক্ষীরা নামের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। এই বয়সে পড়ালেখায় খুব ভালো না হলেও মাদকাসক্তে জড়িয়ে গেছেন সাইফ। মদ, গাজা ও ফেনসিডিল এখন তার জীবন সঙ্গি। তার এমন উগ্র চলাফেরার জন্য তার বাবা – মা জড়িত। সাইফের বাবা মোহাম্মদ শাহজাহান ভোলা সদরের ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শেয়ার হোল্ডার। এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুইজন শেয়ার হোল্ডার। অন্যজন মাইটিভির সাংবাদিক লিটন।
জানা গেছে, সাইফ মাদকাসক্ত এমনটা জানার পরও তার বাবা-মা তাকে এসব থেকে ফেরাতে কার্যত কোন ভূমিকা-ই নেননি। উল্টো এসব নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। সাইফ তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় সখ্য গড়েছেন কয়েকটি মাদক সিন্ডিকেটের সাথে। তাদের সাথেই নিয়মিত মাদক সেবন করেন তিনি। তার মাদক সেবনের বেশ কয়েকটি ছবি আমাদের হাতে এসেছে। আবার এসব মাদকের অনেক ছবি তার ফেসবুকের স্টোরিতে গর্বের সাথে শেয়ার করেছেন। গাজা সেবনের ছবিও দিয়েছেন ফেসবুকে।
অভিযোগ রয়েছে, সামিউল হোসাইন সাইফের এমন মাদক আসক্তের শেল্টারদাতা তার বাবা-মা। আদরের সন্তান হিসেবে সাইফ যা করে তা-ই বাবা-মা মেনে নেন। মাদকের পাশাপাশি নারী আসক্তিও রয়েছে তার। কয়েক ডজন নারীর সাথে তার রয়েছে অবৈধ সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের সর্বনাশ করে কেটে পড়েন সাইফ। সূত্র বলছে, মেয়েদের সাথে মেলামেশা করে পরে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করেন। সাইফ এক ধরনের সাইকো ব্যক্তি। তার এমন প্রতারণার শিকার প্রায় ডজনখানেক মেয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে আতঙ্কে জীবন যাপন করেছেন। অনেককে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও আছে তার কাছে। কেউ যদি সাইফের কু-কর্ম নিয়ে মুখ খুলে তাহলে ভিডিও গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিবে। তার এমন হুমকিতে অনেকেই আতঙ্কে মুখ খুলতে চান না। আমরা পরবর্তীতে সাইফের মাধ্যমে প্রতারনা ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার ৬ মেয়ের বক্তব্য প্রকাশ করবো।
এসব বিষয়ে সাইফ ও তার বাবা শাহজাহান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তারা বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
‘সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা পেলেন চুয়াডাঙ্গার সন্তান এইচ এম হাকিম’
স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন শির্ষক আলোচনা শেষে সারা বাংলাদেশ......বিস্তারিত