স্টাফ রিপোর্টারঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ৫ই আগস্ট ২০২৪শে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন হলে ছাত্র জনতার সমর্থনে নোবেল জয়ী ড.মোহাম্মদ ইউনুচ- কে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়।
এই অন্তবর্তীকালীন সরকার দ্বায়িত্ব গ্রহণের পড় থেকেই আওয়ামী ফেসিবাদী শক্তি বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রুপে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে ফিরে আশার চেষ্টা অব্যহত রেখে চলেছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণের পড় থেকে এই ৬ মাসে বিভিন্ন ইসুতে ঢাকা সিটিতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজারের ও বেশি আন্দোলন চোখে পড়ার মতো, এই আন্দোলন গুলোর বেশির ভাগ অংশ প্রত্যাক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে আওয়ামী লীগ এবল অংগ সংগঠনের নেতা কর্মিদের দিক নির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে বলে বিশেষ একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে, যার প্রমাণ হিসেবে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ভালো ভাবে নজর দিলেই প্রমাণ পেয়ে যাবে।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল ও ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আওয়ামীলীগ এর এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে ফেব্রুয়ারীতে মাঠে নামছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে আওয়ামীলীগ।
বিশেষ এক তথ্য ও সূত্র মতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আওয়ামী লীগ এর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ বিভিন্নরুপে ফিরে আসছে বিভিন্ন সময়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কুট-কৌশল অবলম্বন করছেন বলে জানা যায়। চক্রটি ৭ ই ফেব্ররুয়ারী থেকে শুরু করে যে কোন সময় কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামবে আওয়ামী রুপী শিক্ষকলীগ, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই সমাবেশ করবে বলে বিভিন্ন তথ্য সূত্র থেকে জানা যায়। এই সমাবেশ থেকে সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও সহ বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি- সরকারকে উৎখাত ও পদত্যাগ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ শিক্ষক সংগঠনের ব্যানারে।
জানা গেছে ৫ই আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এরা বিভিন্ন সময়ে নানারুপে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকার চক্রান্তের ছক আঁকছে। এর অংশ হিসাবে আগামী ৭ ই ফেব্ররুয়ারী থেকে বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র ব্যানারে আওয়ামী শিক্ষক লীগ মাঠে নামবে। ইতিমধ্যে সারা দেশে শিক্ষকদের জড়ো করে সকল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে অনেক আওয়ামী শিক্ষক লীগরুপী বহু নেতা-কর্মী ঢাকায় এসে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় অবস্থান নিচ্ছেন, এবং তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া’র বাসায় গোপন বৈঠক চলমান রেখেছেন বলে বিশেষ একটি তথ্য সুত্র থেকে জানা গেছে।
বাংলাদেশ বে-সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র ব্যানারে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহা-সমাবেশ করার ডাক দিয়েছেন এবং বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সু-সংগঠিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ এর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পদে সক্রিয় ভাবে দায়িত্বরত আছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিষ্ট হাসিনাকে পূর্নবাসিত করার জন্য আওয়ামী লীগের উর্দ্ধতন নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে ছাত্র সমন্বয়কদের ছত্র-ছায়ায় লিয়াজু করে এই মহা-সমাবেশ এর ডাক দিয়েছেন এবং সরকারকে উৎখাত করার দৃঢ় পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মাঠে নামবেন।
এরা শিক্ষক নামধারী হয়ে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিয়ে অন্তবর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য পরিকল্পনা করে মাঠে নেমেছেন। এদের নেতৃত্বে আছেন পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন, ফিরোজ উদ্দিন, মামুন-উর-রশীদ খোকন, তামান্না ইয়াসমিন, লিটন মিয়া, মিজানুর রহমান, সাদ্দাম হোসেন রোহানী, নিজাম উদ্দিনসহ আরো অনেকে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ৫ই আগষ্টের পর হতে এরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নরুপে সভা সমাবেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
আগামী ১২ ই ফেব্ররুয়ারী থেকে মহা-সমাবেশ ঘিরে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল রেস্ট হাউসসহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক সহ আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা অবস্থান করবেন বলে গোপন সুত্র থেকে নিশ্চত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রাজ বলেন, যদি বিষয়টি এমনটি হয়ে থাকে তা হলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচিৎ হবে আগাম প্রস্থুতি গ্রহণ করা, তা না হলে এই সরকারকে পড়তে হতে পারে মহা সংকটে,
‘চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গণমাধ্যম কর্মিকে ইউএনওর হুমকি, স্থানীয় সাংবাদিক মহলে আতঙ্ক’
এইচ এম হাকিমঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস......বিস্তারিত