এইচ এম হাকিমঃ ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার দড়িকান্দা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার দড়িকান্দা গ্রামের সাইদুল শেখ ওরফে মফজেল (৩২),কে জমিজমা সংকান্ত জের ধরে গ্রুপিং রাজনীতির কারনে দির্ষদিন ধরে প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন একই গ্রামের খালাসি বংশের বাসিন্দারা।
আসামী পক্ষের লোকজন পূর্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ছত্রছায়ায় থাকলেও গত বছরের ৫ ই আগস্টের পরে ভোল্ট পাল্টিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ছত্রছায়াতে প্রবেশ করে খালাসিরা দড়িকান্দা সহ আশ পাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেন বলে জানা গেছে।
দড়িকান্দায় কুপিয়ে হত্যার বিষয়ে মামলা সূত্রে জান যায়,দড়িকান্দা গ্রামের সাইদুল শেখ ওরফে মফজেল (৩২),কে হত্যার ঘটনায়
মেঃ মাসুদ রানা বাদি হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন বলে জানা গেছে। এই হত্যা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন ১। আয়নাল খালাসী (৫৫), পিতা-মৃত কানু খালাসী, ২। বাবুল খালাসী (৫৪), পিতা-মৃত আরমান খালাসী, ৩। আব্দুল খালেক শেখ (৬৮), পিতা-মৃত আঃ বারেক শেখ, ৪। আব্দুর রহমান খালাসী (৫৮). পিতা-মৃত নুরু খালাসী, ৫। আলম হাওলাদার (৫৬), পিতা-মৃত আব্দুল হক হাওলাদার, ৬। বক্কর খালাসী (৫৭), পিতা-মৃত আবতা খালাসী, ৭। সালাউদ্দিন আছরউদ্দিন (৩৬), পিতা-বক্কর খালাসী, ৮। নাজমুল খালাসী (৩৪), ৯। নজরুল খালাসী (২৭), উভয় পিতা-আয়নাল খালাসী, ১০। জুম্মন গাজী (৪৮), পিতা-দুদু মিয়া গাজী, ১১। বাবুল শেখ (৫৫), পিতা-মৃত আহছান আলী শেখ, ১২। মোঃ শাহজাহান শেখ (৫২), ১৩। রমজান আলী শেখ (২৭), ১৪। ওয়াহিদ শেখ (৩২), সর্ব পিতা-আব্দুল খালেক শেখ, ১৫। হারুন খালাসী (৪৭), ১৬। ইলিয়াছ খালাসী (৪৫), ১৭। মিলন খালাসী (৪০), সর্ব পিতা-মৃত রমিজ খালাসী, ১৮। লুৎফর খালাসী (৪৫), পিতা-মৃত বাদশা খালাসী, ১৯। (৩৭), পিতা-আনু খালাসী, সর্ব সাং-দড়িকান্দা, পোঃ-পাড়াগ্রাম, ২০। শরীফ (৪৮), পিতা-মৃত ইসমালিন মালাসী (৩৪) পচন, আনা-সিংগাইর, জেলা-মানিকগঞ্জ, ২১। মনির খালাসী (৩৮), পিতা-আব্দুর রহমান খালাসী, ২২। মোরশেদ শেখ (৩৬), পিতা-আব্দুর হালিম শেখ, ২৩। পরশ হাওলাদার (৪৫), পিতা-আনিছ হাওলাদার, ২৪। মোজাফফর খালাসী (৪৮), পিতা-মৃত নুরু খালাসী, সর্ব। সাং-দড়িকান্দা, পেঃ-পাড়াগ্রাম, থানা-নবাবগঞ্জ, জেলা-ঢাকাসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এই। মর্মে এজাহার দায়ের । সংক্রান্ত একটি স্থানীয় সালিশীর সময় ৪নং বিবাদী আব্দুর রহমান খালাসীর পক্ষে থাকা বিবাদীগনের সহিত ।জাহাঙ্গীর-এর পক্ষের লোকদের সাথে এক পর্যায়ে মারামারি সংগঠিত হয়। উক্ত বিষয় নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলমান রহিয়াছে। বিবাদীগন স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় জাহাঙ্গীরের পক্ষের লোকজনদের এলাকায় প্রবেশ করিতে অনুমান করিয়া আসিতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া গত ইং ১৫/০২/২০২৫ তারিখ রাত ০৯:০০ সময় আমার ভিকটিম সাইদুল শেখ ওরফে মফজেল (৩২), খান-এর ছেলে চঞ্চলের সহিত মধুর চর নতুন বাজারে যাইবার কালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মধুরচর গামী কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন জনৈক লুৎফর মোল্লা (৬৫), পিতা-মৃত গফুর মোল্লা, সাং-চর পল্টন, থানা-সিংগাইর, জেলা-মানিকগঞ্জ এর হোসাইাধাঝারের সামনে কাঁচা রাস্তার উপর পৌছাইলে পথরোধ করিয়া পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ওৎ পেতে থাকা বিবাদী , অঞ্জীলম হাওলাদার, সালাউদ্দিন আছর উদ্দিন, নাজমুল খালাসী, নজরুল খালাসী, জুম্মন গাজী, বাবুল শেখ, মোঃ শাহজাহান শেখ, মোহাম্মদ আলী শেখ, ওয়াহিদ শেখ, হারুন খালাসী, ইলিয়াছ খালাসী, মিলন খালাসী, লুৎফর খালাসী, মহসিন খালাসী, শরীফ, মনির খালাসী, মোরশেদ শেখ, পরশ হাওলাদার, মোজাফ্ফর খালাসীগন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র ধারালো রামদা, চাপাতি, সুইচ গিয়ার চাকু, এককালী টেটা, লোহার শাবল এবং হকস্টিক ইত্যাদি অস্ত্র-সন্ত্র সজ্জিত হইয়া আমার ভাইয়ের উপর আক্রমন করিয়া ৮নং বিবাদী নাজমুল খালাসী এককালী টেটা দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের পেট বরাবর পার মারিলে ভিকটিম ডান হাত দিয়ে ফিরাইলে ডান হাতের কবজির নিচে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়, এরপর ৫নং বিবাদী আলম হাওলাদারের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিলে আমার ভাই (সাইদুল শেখ ওরফে মফজেল (৩২) হাত দিয়ে ফিরাইলে কনুই উপরে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ১৩ নং বিবাদী রমজান আলী শেখ তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়া আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিলে হাত দিয়ে ফিরাইতে গিয়া ডান হাতের কনুই উপর আরেকটি গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ২৩নং বিবাদী পরশ হাওলাদার লোহার শাবল দিয়া আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় বারি মারিলে আমার ভাই হাত দিয়ে ফিরাইলে বাম হাতের কবজি ও আঙ্গুল ছুলিয়া থেতলে যায়। ৭নং বিবাদী সালাউদ্দিন যে আছর উদ্দিনের হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় উপর্যপুরি কোপ মারিতে থাকিলে আমার ভাই হাত দিয়ে ফিরাইলে বাম হাতের কনুই উপরে এবং নিচে মোট চারটি গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ২০ নং বিবাদী শরীফ, ১০ নং বিবাদী জুম্মন গাজী, ১২ নং বিবাদী মোঃ শাহজাহান শেখ,১৪ নং বিবাদী ওয়াহিদ শেখ ও ২২ নং বিবাদী মোরশেদ শেখ এই পাঁচজনের হাতে থাকা পাঁচটি এককালী টেটা বিদ্ধ করিয়া আমার ভাইয়ের বাম পায়ের হাটুর নিচে পাঁচটি গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করিয়া মাংস বের করিয়া ফেলে। ১৫ নং বিবাদী হারুন খালাসী, ১৬ নং বিবাদী ইলিয়াছ খালাসী ও ১৭ নং বিবাদী মিলন খালাসীদের হাতে থাকা তিনটি এককালী টেটা বিদ্ধ করিয়া আমার ভাইয়ের ডানপায়ের হাঁটু সংলগ্ন এবং হাঁটুর নিচে তিনটি গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করিয়া মাংস বের করিয়া ফেলে। ২৪ নং বিবাদী মোজাফফর খালাসীর হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে আমার ভাইয়ের ডান পায়ের টাকনু গিরাতে স্বজোরে পার মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে যাহাতে টাকনুতে গর্তের সৃষ্টি হয়। ১৯ নং বিবাদী মহসিনের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়া আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশে মাথায় ঘাই মারিলে উক্ত পার লক্ষ্যভ্রষ্ট হইয়া বাম হাতের বগলের নিচে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম হয়। এরপর ১নং বিবাদী আয়নাল খালাসী, ৬ নং বিবাদী বক্কর খালাসী, ৯ নং বিবাদী নজরুল খালাসী, ১৮ নং বিবাদী লুৎফর খালাসী ও ২১ নং বিবাদী মনির খালাসীসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের হাতে থাকা লোহার শাবল ও হকিস্টিক দ্বারা এলোপাথারী বাইরাইয়া শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছোলা ও দাগসহ নীলাফুলা জখম করিয়া আমার ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করিয়া বিবাদীরা ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। চঞ্চল এর নিকট হইতে উক্ত মারামারির সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া ঘটনাস্থলে গিয়া আমার ভাইকে মাটিতে পড়ে থাকা মৃত অবস্থায় পাই। পরবর্তীতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করিলে পুলিশ এসে আমার ভাইয়ের মৃত দেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিটফোর্ড প্রেরণ করেন। কার্যক্রম শেষে ইং-১৬/০২/২০২৫ তারিখ বাদ মাগরিব ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক লাশ দাফন কার্য শেষ করে নিহতের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এজাহার দাঁয়ের করেছেন বলে জানা গেছে ।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, সোহরাব আল হোসাইন বলেন,দড়িকান্দা গ্রামে হত্যা কান্ডের বিষয়ে একটা মামলা হয়েছে, ইতিমধ্যে আমরা ১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্ররণ করেছি, বাকী আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
‘চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গণমাধ্যম কর্মিকে ইউএনওর হুমকি, স্থানীয় সাংবাদিক মহলে আতঙ্ক’
এইচ এম হাকিমঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস......বিস্তারিত