স্টাফ রিপোর্টারঃসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার বাড়াবিল মঙ্গলদহ গ্রামে টাচ ফার্মা এগ্রোবেট নামক একটি কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল উপকরণে গবাদি পশুর ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে।
ভেজাল গবাদি পশুর ঔষধ উৎপাদনকারী কারখানাটির মালিক
মোঃ জাহিদ হাসান মুন্না বিশ্বাস নামের এক নামধারী সাংবাদিক,তিনি আনন্দ টেলিভিশনের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে মেনেজ করে বাগিয়ে নিয়েছে(ক্যাটাগরি-১) এর অনুমোদন। সেই অনুমোদন দেখিয়ে
আমদানি করার কথা অফলাইনে অনলাইনে প্রচার করে বেড়ালেও কারখানাটি ভেজাল গবাদি পশুর ঔষধ উৎপাদন করার জন্য উপাদান গুলো মূলত চকবাজার ও মিটফোর্ড এলাকা থেকে বিভিন্ন রকম ছাই, ভস্ম, জেল এবং রঙ ইত্যাদি ক্রয় করে। চকবাজার থেকে কেজি ধরে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে। তারপরে ফকিরাপুলের বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেস থেকে টাচ ফার্মার স্টিকার বানিয়ে প্লাস্টিকের বোতলে সেটে দেয় আর এভাবেই তৈরি করে ফেলে গবাদিপশুর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঔষধ।
গবাদিপশু এই ঔষধ মিশ্রিত খাবার দানবের মতো খেলেও তা গবাদি পশুগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের জন্য পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তবুও যেনো দেখার কেউ নেই!
এছাড়াও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমোদন (ক্যাটাগরি-১) এ উল্লেখ করে বলে আছে মোট ০৯(নয়টি)পণ্য প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করা হলেও।
তবে,সেই অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে একাধিক পণ্য বাজারজাত করে যাচ্ছে কারখানাটি।
অন্যদিকে,অদক্ষ লোক ধারা উৎপাদন করছে গবাদি পশুর ঔষধ। কারখানাটিতে রয়েছে একজন ভেটেরিনারি মেডিসিন ডাক্তার (ডিভিএম) তবে তিনি নামে মাত্র (ডিভিএম) তার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র নেই তবুও তিনি নামে আগে ডাঃ লাগিয়ে বনে গেছে ভেটেরিনারি মেডিসিন ডাক্তার (ডিভিএম) এবং ভুয়া কেমিষ্ট দিয়ে চলছে রমরমা গবাদি পশুর ঔষধ উৎপাদন একজন কেমিষ্ট রসায়নবিদ তার জ্ঞান ব্যবহার করে অপরিচিত পদার্থের গঠন এবং বৈশিষ্ট্যগুলি শিখতে,সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে দরকারী প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে থাকা পদার্থের পুনরুত্পাদন ও সংশ্লেষণ এবং নতুন কৃত্রিম পদার্থ এবং দরকারী প্রক্রিয়া তৈরি করে। তবে টাচ ফার্মা কেমিষ্ট ভুয়া!
এছাড়াও নেই কোন ল্যাব,ফার্মাসিষ্ট এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি। ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের মতে,টাচ ফার্মার মানহীন ও ভেজাল ঔষধ গবাদি পশুর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এদিকে,ঔষধের অন্য অন্য কোম্পানির চেয়ে দাম অর্ধেক হওয়ায় বিভিন্ন গ্রামের দোকানে গবাদিপশুর চিকিৎসকরা এই টাচ ফার্মার ঔষধ বিক্রির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে টাচ্ ফার্মার মালিক মোঃ জাহিদ হাসান মুন্নার ক্ষমতার উৎস কোথায়? আসলে এই ভেজাল গবাদি পশুর ঔষধ উৎপাদন করার জন্য তিনি হয়েছে নামধারী সাংবাদিক বাংলাদেশের স্যাটারলাইট চ্যানেল আনন্দ টেলিভিশনের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি।
জানা যায়, আনন্দ টেলিভিশনের কার্ড কিনে হয়েছে নামধারী সাংবাদিক।তার সাংবাদিক হওয়ার কারন শুধু মাত্র ভেজাল গবাদি পশুর ঔষধ কারখানাটি শেল্টার দেওয়ার জন্য। গোঁফ দেখে বিড়াল কেউ চিনতে না পারলেও সবুজ বাংলাদেশের অনুসন্ধানে তা বেড়িয়ে আসে। তিনি সাংবাদিকতার কোন নিয়মনীতি না জেনেও তিনি বিশাল মাপের একজন সাংবাদিক! আর কিভাবে হলো আনন্দ টেলিভিশনের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহজাদপুরের এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, জাহিদ হাসান মুন্না এই ভেজাল গবাদি পশুর ঔষধ উৎপাদনের কারখানাটি পরিচালনা করতেই তিনি সাংবাদিক পেশা যুক্ত হয়েছে তিনি আরো বলেন, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে আনন্দ টেলিভিশন এর শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধির কার্ড কিনে এনেছে এখন তিনি সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে তার ভেজাল ঔষধ কারখানায় রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, নামধারী সাংবাদিক ও ভেজাল ঔষধ কারখানার মালিক জাহিদ হাসান মুন্না শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে এছাড়াও সারাদিন শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের গেটের সামনে দারোয়ানের মত বসে থাকে শুধু মাত্র সদস্য হওয়ার জন্য। তিনি আরো জানান,যেকোনো ভাবেই হোক যত অর্থের বিনিময়েই হোক শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য সে রাজি আছে।
শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়, তার ভেজাল ঔষধ কারখানার বিরুদ্ধে যেনো কোন সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ না করতে পারে এর জন্যই তিনি যেকোনো বিনিময়ে প্রেসক্লাবের সাথে যুক্ত হতে চায়। সবুজ বাংলাদেশের প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
এবিষয়ে,ভেজাল ঔষধ কারখানা টাচ ফার্মার মালিকের কাছে জানতে চাইলে,তিনি সবুজ বাংলাদেশের প্রতিবেদক কে বলেন,আমার ফ্যাক্টরীর আশেপাশে গেলে হাত পা ভেঙ্গে দিবো এবং কারখানার গেটের সাথে হাত পা বেঁধে রাখার হুমকি দেয় নামধারী সাংবাদিক জাহিদ হাসান মুন্না বিশ্বাস। অবৈধ ভেজাল ওষুধ উৎপাদন করে সাংবাদিকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে সাংবাদিকের মত একটি মহান পেশাকে কলঙ্কিত করছে এই নামধারী সাংবাদিক প্রতারক জাহিদ হাসান মুন্না।
এবিষয়ে,শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বিল্লাল হোসেন এর সঙ্গে কথা হলে তিনি সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, তাকে( ক্যাটাগরি ১) এর অনুমোদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে টাচ ফার্তা ৯ টি পণ্য বাজারজাত করতে পারবে এর বাহিরে করার কোন অনুমোদন নেই। এছাড়াও তিনি বলেন আমরা ভিজিট করে দেখবো যদি কোন ভেজাল ঔষধ উৎপাদন করে থাকে তাহলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।
‘চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গণমাধ্যম কর্মিকে ইউএনওর হুমকি, স্থানীয় সাংবাদিক মহলে আতঙ্ক’
এইচ এম হাকিমঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস......বিস্তারিত