স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ২নং ঢাকেশ্বরী ধলকুন্ডা এলাকায় দোকান মালিকের অবহেলার কারনে ১১ টি দোকান পুরে প্রায় ৫০০০০০০ ( পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে মর্মে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীদের পক্ষ মোঃ আব্দুল করিম দোকান ঘর মালিক মোঃ আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ আব্দুল করিম (৩৫)-পিতা-আব্দুল বারেক, মাতা-রহিমা বেগম, সাং-০২নং ঢাকেশ্বরী, ধলকুন্ডা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ আমার সঙ্গীয় মোঃ সোহাগ (৩০), মোঃ আলিউল্লাহ (৫৩), আব্দুল আলাম (৪৮), পারভীন বেগম (৩৫), মোঃ খোকন (৪২), মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), মোঃ নাজমুল (২৫) সহ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মোঃ আব্দুল কাদির (৬৫), পিতা-মৃত লোহা উদ্দিন, ২। মোঃ আব্দুল কাদির এর স্ত্রী (৫০), স্বামী-মোঃ আব্দুল কাদির, উভয় সাং-হোল্ডিং নং-২২৯, ০২নং ঢাকেশ্বরী, ধনকুন্ডা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জদ্বয়ের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমরা পেশায় ব্যবসায়ী। আমরা মোট ১১জন ব্যবসায়ী বিবাদীদ্বয়ের বর্ণিত ঠিকানার বাড়ীর নিচ তলায় দোকান ভাড়া বাবদ নিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি এবং আমি বিবাদীর বাড়ীর নিচ তলায় মীম টেলিকম নামক প্রতিষ্ঠানে মোবাইল এক্সেসরিজ আইটেম এর ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলাম। বিবাদীদ্বয়ের বাড়ীর গ্যাসের লাইনে দীর্ঘদিন যাবত লিকেজ থাকায় আমরা বিবাদীদ্বয়কে একাধিকবার অবহিতপূর্বক সতর্ক করি। ইতিপূর্বেও প্রায় ৫/৬ বার বিবাদীর বাড়ীর গ্যাসের লাইনের লিকেজের কারণে আগুনা লাগায় আমরা দোকান ছাড়িয়া দেওয়ার মনস্থির করি এবং সকলে মিলে বিবাদীদ্বয়কে দোকান ছাড়িয়া দিব মর্মে জানাই। কিন্তু বিবাদীদ্বয় আমাদেরকে দোকান ছাড়িতে বাধা প্রদান করতঃ আমাদের জামানতের টাকা এই মূহুর্তে দিতে পারিবে না বলিয়া জানায় এবং উক্ত বিষয়ে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বলিয়া আমাদেরকে আশ্বস্ত করে। আমরা নিরুপায় হইয়া জীবিকার প্রয়োজনে বর্ণিত ঠিকানায় আমাদের দোকান পরিচালনা করিতে থাকি এবং গ্যাস লাইনের লিকেজের সমস্যা সমাধান করার জন্য বিবাদীদ্বয়কে তাগিদ দিতে থাকি। তথাপিও বিবাদীদ্বয় কোন কর্ণপাত না করিয়া আমাদেরকে তালবাহানামূলক কথাবার্তা বলিয়া কালক্ষেপণ করিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ৩১/০৩/২০২৫ তারিখ সময় রাত্রি অনুমান ২১:৩০ ঘটিকায় আমি ও আশেপাশের সকল দোকানদার যার যার দোকান তালাবদ্ধ করিয়া বাসায় চলিয়া যাই। অতঃপর ০১/০৪/২০২৫ তারিখ সময় রাত্রি অনুমান ০৩:০৪ ঘটিকায় আশেপাশের লোকজনদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পাই যে, আমাদের দোকানসমূহে আগুন লাগিয়াছে। আমি সহ সকল দোকানদার দ্রুত ঘটনাস্থলে যাইয়া আগুন নেভানোর চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন আসিয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন আমি আমার দোকান প্রবেশ করিয়া দেখিতে পাই যে, আমার দোকানে থাকা প্রায় ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা মোবাইল এক্সেসরিজ ও অন্যান্য মালামাল পুড়িয়া গিয়াছে। পরবর্তীতে আমার সঙ্গীয় ব্যক্তিদের নিকট খোঁজ নিয়া দেখা যায় যে, ইং ০১/০৪/২০২৫ তারিখ সময় রাত্রি অনুমান ০২:৫০ ঘটিকায় গ্যাসের লাইনের লিকেজ হইতে আগুন লাগিয়াছে এবং বর্ণিত ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট প্রায় ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধণ করা হইয়াছে। পরবর্তীতে বিবাদীদ্বয়ের সহিত উক্ত বিষয়ে কথা বলিতে গেলে বিবাদীদ্বয় আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ মারমুখী হয় এবং আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকী প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। বিবাদীদ্বয়ের অবহেলাজনিত কারণে গ্যাসের লাইনের লিকেজ হইতে আগুন লাগিয়া আমাদের সকলের দোকান পুড়িয়া গিয়া সর্বমোট প্রায় ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধণ হইয়াছে। এমতাবস্থায় ঘটনার বিষয়টি সকলে আলাপ-আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয় তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরে যাওয়াতে তারা একেবারে নিঃশ্ব হয়ে পরেছেন, এমতাবস্থায় তাদের এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের নিকট দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল কাদিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি গ্যাস লিকেজের বিষয়ে আবেদন করেছিলাম, কপিটা আমি নিয়ে আসিনাই, এখন আগুনে সব পুরে গেছে এখন আমি কি করবো।
তাদের ক্ষতি হলেও আমারতো আর কিছু করার নেই।
‘ব্রোনাইতে পাঠানোর নাম করে প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের ধোঁকাবাজি, প্রতারনার শিকার ৩ ভুক্তভোগী পরিবার’
এইচ এম হাকিম : বাংলাদেশ বেকার সমস্যার কারনে বেশির ভাগ......বিস্তারিত