পিরোজপুর-২ আসনে সেবক হয়ে জনগণের  প্রত্যাশায় কাজ করতে চান ফকরুল আলম

স্টাফ রিপোর্টারঃ দির্ঘ সময়ে আওয়ামী লীগের জুলুম অত্যাচার সহয্য করে বিএনপির রাজনীতির সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে নিজে এবং সকল নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে রাজপথে ওপেন সংগ্রাম করা ব্যক্তিটির না ফকরুল আলম।

রাজনৈতিক ভাবে অনেকেই অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগনের প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তাদের নিজস্ব ফায়দা হাসিল হলে আর সে নেতা কর্মিদের দেখা যায়না জনগনের মাঝে, কিন্তু এমন অনেক নেতা কর্মিদের ধোঁকাকে বয়কট করে জনগনের   জন্য সর্বদায় কাজ করতে চান পিরোজপুর -২ আসনে বিএনপি নমিনেশন পদ প্রার্থী ও বিএনপির ত্যাগী নেতা মোঃ ফখরুল আলম।

শাসক হয়ে শোষণ নয়, সেবক হয়ে জনগণের প্রত্যাশা পুরনে আজীবন কাজ করতে চান পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ মানুষের আস্থাশীল ও পছন্দের মানুষ, বিএনপির সংগ্রামী ত্যাগী নেতা মোঃ ফকরুল আলম। পিরোজপুর-২ আসনের  সাধারণ মেহনতী  মানুষেরা মনে করেন-   অপশাসন আর লুটপাট,  ক্ষমতার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সময়ের আলোকিত কন্ঠস্বর ফকরুল আলমকে আগামী  সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি দলীয় মনোনয়ন দেন, তাহলে তিনি আমাদের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট থাকবেন এবং সাধারণ মানুষেরা প্রত্যাশা পূরনে একধাপ এগিয়ে থাকবে। পিরোজপুর-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির অনেকই জানান, ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় ফ্যাসিবাদি সরকারের প্রধান হাসিনা ও তার দোসর রাঘব বোয়াল দালালেরা। কিন্তু দেশের অর্থনীতিকে তারা লুটপাটের মাধ্যমে বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে দিয়ে যায়। আবার তারা দেশকে নিয়ে বিভিন্ন দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে ধ্বংস করতে তারা তাদের প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেশের মানুষ বিএনপির উপর অনেকটাই  আস্থা রেখেছে। বিএনপির পাশে শক্তি  এখন সাধারণ জনগন। তাই এই জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফকরুল আলমের মতো ত্যাগী এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের পরিক্ষিত সৈনিকদের দলীয় মনোনয়ন দিলে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সফল হবে ছাত্র জনতার মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন।

 মোঃফকরুল আলম  বালিহারী,  কৌরিখাড়া, উপজেলাঃ নেছারাবাদ,  পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার বালিহারী গ্রামের

–  মরহুম আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের সুযোগ্য পুত্র, তার পিতা  দক্ষিণ বাংলার দ্বানবীর হিসেবে খ্যাত ছিলেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ বি.এ (অনার্স), এম.এ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়),পেশা-ব্যবসা (ফারদিন শিপিং লাইন্স ও অগ্রগতি ডগইয়ার্ড)।

রাজনৈতিক পরিচয়ঃ তিনি ১৯৮০ সালে সর্বপ্রথম শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে  ছাত্রদলে যোগদান করেন।১৯৮২ সালে ছাত্রদলের ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।১৯৮৬ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ও নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি’র ১ নং সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ এবং ২০১২ সালে পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এবং ২০১৬ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন।এছাড়া ১/১১ এর কুশিলব স্বৈরাচার মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের সময়ে আমি দেশনেত্রীর সাথে দেখা করে আমার উপজেলার নেতা কর্মীদের মনে সাহস যোগানো এবং দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে দেশনেত্রীর সাথে এলাকার নেতা কর্মীদের টেলিকনফারেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।

২০১২ সালের বরিশালে ম্যাডামের জনসভায় এক ডাকে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আমি জনসভায় যোগদান করেন। সাবেক কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিএনপি’র সভাপতি হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে আন্দোলন সংগ্রামে সস্ক্রীয় থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের হাত কে শক্তিশালী করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বর্তমানে পিরোজপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসনে সীমাহীন জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েও নিজের আদর্শ থেকে তিনি সরে দাঁড়াননি। বরং জুলুম নির্যাতনই তাকে সাধারণ মানুষের আস্থাশীল ও পছন্দের মানুষ হিসেবে তৈরি করতে পেরেছে। ফকরুল আলমের মতো ত্যাগী নেতারাই সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারে। তাই পিরোজপুর-২ আসনের সাধারণ অসহায়  মেহনতী মানুষের প্রাণের দাবি ফকরুল আলম ভাই-কে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে সঠিক সেবার মান জনতার দ্বার গোড়ায়  পৌঁছে দিতে চাই।

এ বিষয়ে পিরোজপুরের মাটি ও মানুষের পছন্দের নেতা মোঃ ফকরুল আলম বলেন, আমি বিএনপি রাজনীতি করি, আমার রক্তে মিশে গেছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ। বিএনপি শাসন আর শোষণে বিশ্বাসী নয়, বিএনপি  জনগনের ভালোবাসায় বিশ্বাসী। আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপি রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে আছি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিএনপি রাজনীতি করে যাবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দিলে আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরনে নিরলস কাজের মাধ্যমে সঠিক  সেবা প্রদানে সচেষ্ট থাকব পাশাপাশি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন থাকবো এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ ভূমিকায় অংশ নিবো।