মেহেন্দিগঞ্জের ১১নং চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবীতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালের মেহেন্দিগন্জ উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি-২০২৫ তৈরিতে স্বজন প্রতি এবং স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোষরদের সাথে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে, এ কমিটি অতি শিগ্রই ভেঙ্গে দিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি পরিচালনার দাবিতে  চানপুর এলাকা বাসির পক্ষে কয়েকজন ব্যক্তি  মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

খোজ নিয়ে জানা যায় বরিশালের মেহেন্দিগন্জ উপজেলার চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের যোগসাজসে চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পকেট কমিটিতে বেশির ভাগ আওয়ামী পন্থিদের বিদ্যালয় পরিচালনা ম্যানেজিং কমিটিতে স্থান দিয়েছেন,  নিয়মানুসারে  বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের ভোট এবং সমর্থনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি হওয়ার কথা, কিন্তু বিদ্যালয় কর্ত্বপক্ষ সে নিয়মকে থোড়াই কেয়ার না করেই আওয়ামী স্টাইলে মেহেন্দিগন্জের চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পকেট কমিটি ঘোষনা করেছেন, যার ফলে মেহেন্দিগন্জের চানপুর এলাকা জুরে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভিতরে চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অনেক পুরানো এবং দির্ষসময় দরে ঐতিহ্য বহন করে আসছে।

ম্যানেজিং কমিটির দন্দের কারনে অনেক অভিভাবক এই ঐতিহ্য বাহি স্কুল থেকে তাদের ছেলে মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাচ্ছেন, যার ফলে এই ঐতিহ্য বাহি চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় অতি অল্প সময়ের ভিতর ছাত্র সংকট হতে পারে।

বিশেষ এক সূত্র মতে আরো জানা যায়

 চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পকেট কমিটিতে সভাপতি মন্ডলির সদস্যতে ১, সজিব বিশ্বাস, ২। সুমন দফাদার, ৩। সুজন আখনসহ বেশ কিছু আওয়ামী লীগের দোষর রয়েছে। এলাকা বাসি থেকে খোঁজ নিয়ে আরো নিশ্চিত হওয়া গেছে অতি শিগ্রই যদি চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পকেট কমিটি স্থগিত করা না হয়, তা হলে যে কোন সময় এলাকাতে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়

যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাধীন ১১নং চানপুর ইউনিয়নের চানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি-২০২৫ অর্থ বছরের জন্য মনোনীত প্রার্থী কিছু শিক্ষকগন অভিভাগনের অনুমতি ও সদস্যগনের সম্মতি ছাড়াই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করেন। যাহা সম্পূর্ণ অনিয়ম বলে আমরা মনে করি। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি সহ স্থানীয় জনসাধারনের আস্থাভাজন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ বছর সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে কিছু অসাধু শিক্ষক আইন অমান্য করে নিজেদের স্বার্থ হাছিলের লক্ষে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়ার সু-পরিকল্পনা থাকায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি সম্পূর্ণ গোপনীয় ভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কমিটি গঠন করেন। যাহার ফলে স্থানীয় অধিকাংশ অভিভাবক এই বিষয়টিকে ভালভাবে না নিয়ে সমালোচনা এমনকি বিতর্কে জরিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। এর ফলে এই সনামধন্য পুরাতন প্রতিষ্ঠানটি বিতর্কিত হয়ে পরছে। আমরা স্থানীয় জনসাধারন এই সুনাম ধরে রাখার পরিকল্পনা গ্রহন করার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ একান্ত ভাবে কামনা করছি। তাই পরিদর্শণ পূর্বক তদন্ত সাপেক্ষে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রেরিত তালিকা বাতিল করে বিতর্কীত না করে সকল ধর্ম, বর্ণ বৈষ্যম না হয় সেই লক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ভাল পাঠদানের জন্য আপনার সিদ্ধান্তে নতুন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের মাধ্যমে মনোনীত করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করার সবিনয় অনুরোধ করছি।

আরো উল্লেখ্য যে, বর্তমানে প্রেরিত কমিটির সভাপতি মন্ডলীর অধিকাংশ স্বৈরাচার সরকারের একান্ত দোসর। যাহার মধ্যে ১। সজিব বিশ্বাস, ২। সুমন দফাদার, ৩। সুজন আখন উল্লেখ্যযোগ্য। তাই দ্রুত এই কমিটি বাতিল করার পদক্ষেন গ্রহন করার জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লিখিত  অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসকের ব্যাবহৃত মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি, এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।