- নিজস্ব প্রতিবেদক:তাজুল ইসলাম,আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে গিলডান অ্যাকটিভওয়্যার নামে একটি পোশাক কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। এই কোম্পানিতে কয়েক বছর চাকরি করেই গড়েছেন শতশত কোটি টাকার অর্থ সম্পত। তৈরি করেছেন কয়েকটি আলিশান বাড়ি। হঠাৎ এত সম্পদের মালিক কী করে হলো? এই প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরা এলাকায় তাজুলের রয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের আলিশান বাড়ি। নামে বেনামে গড়েছন সম্পদের পাহাড়।
সূত্র মতে, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সখ্যতা করে শ্রমিকদের হক লুটপাট করে ঠকিয়েছে শ্রমজীবী মানুষদের। ঝুট ব্যবসা সহ কোম্পানির বিভিন্ন ব্যবসা সুকৌশলে নিয়ন্ত্রণ করত এই তাজুল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়েই করেছন যত অপকর্ম। তার এসব কাজে সহযোগিতা করতেন কোম্পানির আরেক কর্মকর্তা। সেও এখন আত্মগোপনে। মূলত সে স্থানীয় সাংসদ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ লোক।
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস না পেলেও সরকার পতনের পর তাজুলের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছে শ্রমিকরা। দূর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত হলেও এখনো বহাল তবিয়তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়ামীলীগের এই দোসর। একজন পোশাক কারখানার কর্মকর্তা রাতরাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। তার আয়ের উৎস জানতে দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অনেকেই।
গিলডান অ্যাকটিভওয়্যার এর শ্রমিক ফাতেমা বলেন, বিদেশী এই কোম্পানি আমাদের বিভিন্ন সুবিধা দিত। তাজুল স্যার সব কিছু আত্মসাৎ করতো। সে আওয়ামীলীগের বড় নেতা পরিচয় দিত। মাঝে মাঝে সন্ত্রাস কিসিমের যুবলীগ নেতাদের দিয়ে আমাদের ভয় দেখাতো। ওই সময় ভয়ে আমরা কিছুই বলতে পারতাম না।
জহিরুল নামের এক শ্রমিক বলেন, তাজুল স্যার এত অল্প সময়ে এত সম্পদ কিভাবে করেছে জানিনা, তবে শুনেছি সে আওয়ামীলীগের বড় নেতা। চাকরির পাশাপাশি তার অবৈধ ব্যবসা বানিজ্য থাকতে পারে। দুদুক তদন্ত করলেই এসব বেরিয়ে আসবে।
(আরো বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে)
‘পর্ব -১ আশুলিয়ায় আঙুল ফুলে কলাগাছ তাজুল, সম্পদের উৎস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন’
নিজস্ব প্রতিবেদক:তাজুল ইসলাম,আশুলিয়ার পলাশবাড়ীতে গিলডান অ্যাকটিভওয়্যার নামে একটি পোশাক কারখানার......বিস্তারিত