জিআর ফাইলের টাকা দিয়ে ছাত্রলীগ চালাতেন দেলোয়ার, বদলি হন মোটা অংকের ঘুষে

লেখক:
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

ভোলা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ অফিসের সাবেক কর্মকর্তা এস.এম. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরকারি তহবিল থেকে টাকা আত্মসাৎ করে গড়ে তুলেছেন এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক সিন্ডিকেট।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদের পালকপুত্র বিপ্লবের ঘনিষ্ঠজন এবং সরাসরি তার নির্দেশেই পরিচালনা করতেন বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

অভিযোগ রয়েছে, দেলোয়ার হোসেন তোফায়েল আহমেদের পালকপুত্র বিপ্লবকে নারী ও মদ সরবরাহের মূল দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন। সরকারি পদে থেকে এমন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। বিশেষ করে বিপ্লবের বিভিন্ন নৈশ আসরে নারী সরবরাহ ও মদের ব্যবস্থা করা ছিল তার নিয়মিত দায়িত্ব।

দেলোয়ার হোসেন দুর্যোগ ও ত্রাণ খাতের অর্থ অপব্যবহার করে তা ব্যয় করতেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন নেতার পেছনে। অভিযোগ রয়েছে, ভোলা জেলা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতিকে আন্দোলন দমনে সহযোগিতার বিনিময়ে কয়েক দফায় দিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা। এই অর্থ তিনি জিআর ফাইলের প্রতিটি টনের বরাদ্দ থেকে ১০ হাজার টাকা কমিশন হিসেবে পেতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্টের পর তিনি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে ছাত্র-সমন্বয়কের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভোলা থেকে পটুয়াখালী বদলি হন। স্থানীয় সূত্র দাবি করছে, এই বদলির পেছনে আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি প্রভাবশালী মহলের চাপও কাজ করেছে।

সরকারি চাকরির আড়ালে তিনি নিজের ভায়রা ভাইকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন পরিবহন ব্যবসা। সেই সঙ্গে বরিশাল ও নিজের এলাকা বরগুনাতে গড়ে তুলেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ। জমি, বাড়ি, যানবাহনসহ নগদ টাকা ও সম্পদের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

তার বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং ফোন কেটে দেন। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সরকারি কর্মকর্তা হয়েও যেভাবে তিনি দুর্নীতি, নারী-সেবাদান ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে নিজেকে যুক্ত করেছেন, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। এমন কর্মকর্তাদের কার্যকলাপ তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা ক্রমেই হারিয়ে যাবে। প্রয়োজন এখনই নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অবিলম্বে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

আরো বিস্তারিত প্রতিবেদন আসছে……………..

সংবাদটি শেয়ার করুন...

  • ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা
  • দুর্নীতি
  • দেলোয়ার হোসেন
  • নারী-সেবাদান
  • ভয়াবহ দুর্নীতি
  • রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন
  • সরকারি কর্মকর্তা