
শরিফুর রহমান বাহারঃ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এককালের স্রোতবাহি ডাকাতিয়া নদীর দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলজিআরডি মন্ত্রী ও লাকসাম-মনোহরগঞ্জ জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় লাকসাম উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের কার্যক্রম চলছে। এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী ও ১২টি খালের সীমানা নির্ধারণ লাকসাম উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইসমাইল হোসেনকে আহবায়ক করে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া এলজিআরডি সার্ভেয়ার আব্দুল জলিল পৌরসভার নকশাকার শিশির আশ্চর্য ও সার্ভেয়ার মোস্তাক আহমেদকে সদস্য করে একটি টিম গঠন করা হয়। ০৩ মার্চ ২০১৯ইং থেকে মাস ব্যাপি এই কার্যক্রম শুরু হয়। জানা যায়, নদী রক্ষায় সরকারের বিশেষ উদ্যোগের অংশ হিসেবে লাকসাম উপজেলার ১২টি খাল ও ডাকাতিয়া নদী দখল মুক্ত করা হচ্ছে। এলাকারবাসীর মতে এই কার্যক্রম সফল হলে প্রাথমিক ভারসাম্য রক্ষাসহ নদীর ঐতিহ্যে ফিরে আসবে। সুন্দরর্য্য হবে লাকসাম শহর। পৌর স্থায়ী ০৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শাহআলম জানান যে কোন মূল্যে নদী দখল মুক্ত করা হবে। লাকসাম পৌরসভার এলাকা মিশ্রী থেকে সাতবাড়িয়া পর্যন্ত নদীর দু’পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মান করা হবে। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাসহ শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। ১১ মার্চ সোমবার লাকসাম পৌরসভা এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দু’পাড়ে লাল নিসানা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কুমিল্লা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, লাকসাম উপজেলার নির্বাহী অফিসার একেএম সাইফুল আলম, লাকসাম উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, সহকারী কমিশনার ভূমি ইসমাইল হোসেন, লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার বড়ুয়াসহ এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
