রাজধানী ঢাকায় সবসময় ভয়াবহ কোনো দুর্ঘটনার পর জানা যায় ভবনের নকশা ও নিরাপত্তা ছাড়পত্রের অনিয়মের কথা। বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পরও এমন বিষয় জানা গেছে।
ঢাকায় বসবাসের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার ধারাবাহিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা অনিয়মের তথ্য। ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, ভবনের নকশায় আইন ও বিধিমালার নানা শর্ত থাকলেও বাস্তবায়ন হলো কিনা, তা দেখার কেউ নেই। নতুন ভবন ব্যবহার শুরুর আগে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেয়ার কথা থাকলেও সেটা নেন না ভবন মালিকরা। একটি ভবনের নকশা এবং অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ২০টির বেশি বাধ্যতামূলক শর্ত থাকলেও ভবন নির্মাণ শেষে সব ঠিকমতো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়া হয় না। নিরাপদ নগরী গড়ে তুলতে এই অবস্থার অবসান করতে হবে বলে আমরা মনে করি।
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি, বনানীর অগ্নিদগ্ধ ভবনে ১৯ তলার অনুমোদন থাকলেও হয়ে গেছে ২৩ তলা। এছাড়া গুলশানের কাঁচাবাজারের টিন শেডের নীচে থাকা ত্রিপল বাড়িয়ে দিয়েছে আগুনের ভয়াবহতা। এরকম নিয়ম না মানার সংস্কৃতি দেখা যায় রাজধানী জুড়ে। এমনটা কোনোভাবেই একটি আদর্শ নগরীর সাথে যায় না।
বিশেষজ্ঞদের সাথে একমত পোষণ করে আমরাও মনে করি, দুর্ঘটনার পর যেসব আশ্বাস মিলে, অতীতে তার বাস্তবায়ন হলে ঝুঁকির মাত্রা আজকের অবস্থায় আসতো না। তাই এ বিষয়ে যথাযথ নজরদারির মাধ্যমে ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনতে আমরা সংশ্লিষ্টদের আহবান জানাচ্ছি।
‘পদ্মায় গোসলে নেমে ৩ কিশোরের মৃত্যু’
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে ডুবে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।......বিস্তারিত