পাকশী ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যা!

লেখক: সাব এডিটর
প্রকাশ: ৬ years ago

নুরে আলম পারভেজ: বিভিন্ন অপকর্ম করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন এনামুল বিশ্বাস! অপকর্মের শেষ নেই পুরো পাকশী জুড়ে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যাকান্ডের অভিযোগের তীর তার দিকে। তবুও তার বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা। অভিযোগ রয়েছে, টাকা দিয়ে সব অভিযোগ ধামাচাপা দেন পাকশী ইউনিয়নের অপরাধ সাম্রাজ্যের মূলহোতা এনাম বিশ্বাস। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, পাকশী ইউনিয়ন জুড়ে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস। বালু উত্তোলন, বালু বানিজ্য, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পারমানবিক প্রকল্পের জমি ক্ষতিপূরণের সিন্ডিকেট গড়ে তোলা, পারমানবিক প্রকল্পের নির্মান কাজে ব্যবহৃত গাড়ী সরবরাহ, নির্মান সামগ্রী সরবরাহ, প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ, নিজস্ব বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে মারধর, মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দায়েরসহ সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে এনাম বিশ্বাস। সর্বশেষ পাকশীর বিভিন্ন হত্যাকান্ডের সঙ্গেও এনাম বিশ্বাসের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা হত্যার সঙ্গে জড়িত এনাম!: ঈশ্বরদীর রূপপুরে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম হত্যাকান্ডের সাথে পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস জড়িত বলে দাবি করেছেন নিহত মুক্তিযোদ্ধা সেলিমের ছেলে তানভির রহমান তন্ময়। সম্প্রতি ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন তিনি এই দাবি উত্থাপন করে আরো বলেন, গত ১৬ এপ্রিল স্থানীয় সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী পত্রিকার মাধ্যমে হত্যাকান্ডে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে তন্ময় বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ পদ্মানদীর চরের খাস জমি অধিগ্রহণ পূর্বক সরকার ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। কুচক্রী এনাম বিশ্বাস আত্মীয়স্বজন ও ব্যক্তিগত কর্মচারীকে ভ‚য়া কৃষক সাজিয়ে তালিকা প্রনয়ন করে এবং টাকা উত্তোলনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। ক্ষতিপূরণের টাকা যেন প্রকৃত কৃষকরা পায়, এই দাবিতে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সেলিম সোচ্চার ছিলেন। একারণে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস মাস্তান বাহিনীসহ আমাদের বাড়িতে এসে পরিবারের সকলের সামনে টাকা উত্তোলনে বাধা সৃষ্টির পরিনাম মোটেও ভালো হবে না বলে হুমকি-ধামকিও দেয়। এর কিছুদিন পর ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়ির গেটে আমার বাবা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তন্ময় জানান, আমার বাবা হত্যাকান্ডের পরপরই এনাম বিশ্বাসের ভাতিজা আরজু বিশ্বাস, ছেলে রকি বিশ্বাস ও তার দুই সহযোগি লিখন ও রাজিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ একাধিকবার জানিয়েছেন এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে আরজুসহ বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। আমরা বিভিন্নভাবে বিষয়টি তদন্ত করেও দেখেছি। গ্রেফতারকৃতরা এনাম বিশ্বাসের স্বজন ও নিজস্ব লোক। এনাম বিশ্বাসের নির্দেশে রূপপুর এলাকায় গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাই আমরা অকপটে বলতে চাই আমার বাবা হত্যাকান্ডে এনাম চেয়ারম্যান পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা। তাঁকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রæয়ারি রাত ১০টার সময় পাকশীতে নিজ বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা গুলি করলে আহত হন মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে ঈশ্বরদী হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারীর গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিদিন পাকশী, রূপপুর এবং ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা, এলাকাবাসী এবং সুধিসমাজ মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সভা-সমাবেশ করেছেন।
অপরাধ সাম্রাজ্য ও বালু উত্তোলনে চেয়ারম্যান: ইউপি চেয়ারম্যানের বালু বাণিজ্য প্রশাসন পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করলেও ঈশ্বরদীর পাকশীতে বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। অভিযোগ আছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকশী ইউপি চেয়ারম্যানের একচ্ছত্র আধিপত্যে পদ্মা নদী থেকে উত্তোলিত বালু প্রতিদিন বিক্রি করা হচ্ছে। ‘সাবেক ভ‚মিমন্ত্রীর লোক’ হিসেবে পরিচিতরাই এই বালু বাণিজ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদীর স্বাভাবিক গতিরোধ ও বাঁধ দিয়ে রীতিমতো পাহাড়সম বালুর মজুদ করে বালু বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা। বালু উত্তোলনকারী ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্র। সূত্র জানায়, পদ্মা নদীর এই বিশাল এলাকা লিজ না নিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে সেখানে বালুর ব্যবসা করছেন আওয়ামী লীগের ‘নির্দিষ্ট’ কয়েকজন নেতা। তবে রেল সূত্র এবং স্থানীয়রা বলেছেন, কোনো লিজ নেই, দলীয় প্রভাবে জবর দখল করেই বালুর ব্যবসা পরিচালনা করছেন পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামূল হক বিশ্বাস। পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা জানান, ইউপি নির্বাচনের আগে বালু ব্যবসা পরিচালনার জন্য কয়েকজন দলীয় নেতার সমন্বয় ছিল, কিন্তু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি একাই সব বালু মহল ও বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ঘাটে মাসুম, শাহীন, হান্নান, রেজাসহ ৭ জন ব্যবসা পরিচালনা করেন বলে জানিয়েছেন পাকশী ইউপি চেয়ারম্যান এনাম বিশ্বাস। স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরদীর রেলসেতু হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতুর খুব কাছ থেকে বালু উত্তোলন এই ব্রিজ দুটির জন্য হুমকি ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্তে¡ও বালু উত্তোলন থেমে নেই। বালুর স্তুপ বড় হতে হতে এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে, বালুর বিশাল বিশাল স্তুপের আড়ালে ঢাকা পড়েছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতু। তবে বালু উত্তোলনকারী পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক বিশ্বাস বলেছেন, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে বালু স্তুপ করা হলেও এখান থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে না। এ বালু কুষ্টিয়া, তালবাড়িয়া, আলাইপুর, পাবনাসহ বিভিন্ন ঘাট থেকে নৌকায় এনে নৌকার সঙ্গে ড্রেজিং মেশিন লাগিয়ে বালু মজুদ করার পর এখান থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পাকশী পদ্মার এ বালুমহালে থাকা একাধিক বালু ব্যবসায়ী জানান, তারা পদ্মা নদীর এসব জমি ভাড়া নিয়ে বালু স্ত‚প করে বিক্রি করছেন। বালু ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর ৪টি ঘাটে গড়ে প্রায় ১ হাজার ট্রাক বালু বিক্রি হয়। টাকার হিসাবে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয় এসব ঘাট থেকে। তবে পাকশীর চেয়ারম্যান এই পরিমাণ ৫ থেকে ৬শ’ ট্রাক বলে দাবি করেছেন। জানা যায়, ট্রাকপ্রতি ১০০ টাকা হিসাবে প্রতিদিন ১ লাখ টাকা চাঁদা আদায় হয় এসব ঘাট ও বালুমহাল থেকে। সরেজমিন পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার বালুমহালে গিয়ে দেখা যায়, নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে ঘাটে ট্রাক-ট্রাক্টর আসছে, বালুবোঝাই করে চাঁদার টাকা নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে দিয়ে চলে যাচ্ছে বালু। বালুঘাটের একজন ম্যানেজার নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এখানে ৬ জন পার্টনার ৬টি বালুর স্ত‚প করে ম্যানেজার নিয়োগ করে বালু বিক্রি করছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলী জানান, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্দিষ্ট দূরত্বের কাছাকাছি পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে এই ঐতিহাসিক ব্রিজ হুমকির মুখে পড়বে। আর ব্রিজের এত কাছাকাছি এলাকায় বালুমহাল ভবিষ্যতের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি। এসব বিষয়ে পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনাম বিশ্বাস বলেন, কুষ্টিয়ার মাসুম নামের একজনের নামে এই বালুমহাল লিজ নেওয়া আছে, পাকশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম রঞ্জুর নামে অথরাইজড করেছেন তিনি। আর অন্যান্য স্থানে কৃষকদের লিজ নেওয়া জমি ভাড়া নিয়ে বালু বিক্রি করেন তারা। এককভাবে এসব বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করেন বলেও জানান তিনি।
গুলিসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে আটক!: ২০১৭ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এনামূল হক বিশ্বাস, তার ছেলে রকিকে ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেছে রেপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান। গভীর রাতে অভিযানে চালিয়ে তাদের আটক। এ সময় ঈশ্বরদী কলেজ রোড হতে পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লবের তিন ভাইকেও আটক করে। এরা হলো, মিজানুর রহমান স্বপন, ফারুক হোসেন জীবন ও আনোয়ার হোসেন লিটন। চেয়ারম্যান ছাড়া সকলেই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। জানা গেছে, ওই সময় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজে আধিপত্য বিস্তার ও ঠিকাদারদের কাজে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে দখল দারিত্ব ও সন্ত্রসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চেয়ারম্যান এনাম বিশ্বাসকে আটক করে।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাডু মিছিল: ২০১৮ সালে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে নদীর চরে বিক্ষোভ ও পাকশীর ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লাঠি-বটি ও ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করেছেন পাকশীর রূপপুর গ্র্রামের বাসিন্দারা। ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের বাসিন্দারা এবার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে নদীর চরে বিক্ষোভ ও পাকশীর ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লাঠি-বটি ও ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করেছেন। ২০১৮ সালে পদ্মা নদীর রূপপুর এলাকার পদ্মা নদীর যে এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সে এলাকায় এই ঝাড়ু মিছিল করেন তারা। বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে পাবনার জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত আবেদনও করেছেন। রূপপুর নলগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নবীর উদ্দিন, হামিদ ফকির, আকমল হোসেন, ইয়াকুব মন্ডল, মাহাবুল মন্ডল, ঠান্টু মন্ডল, মসলেম উদ্দিন, আতাউর রহমান, জাহিদা খাতুন, শহিদুল ইসলাম, লিটন বিশ্বাসসহ শতাধিক এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, পাকশী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পদ্মা নদীর যে এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেসব জমি আমাদের পৈত্রিক জমি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছাকাছি পদ্মা নদী থেকে বালু মাটি উত্তোলন সরকার নিষিদ্ধ করলেও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক বিশ্বাসসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতারা সে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে আমাদের জমিজমা দখল করে বালু উত্তোলন করছেন। সর্বশেষ ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন ও রূপপুর প্রকল্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব এলাকা থেকে বালু উত্তোলন না করার জন্য নিষেধ করে গেলেও চেয়ারম্যানের লোকজন ফের বালু উত্তোলন করতে গেলে এলাকাবাসী একজোট হয়ে তাদের বাধা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে বালু উত্তোলনকারীরা নদী থেকে পালিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় যুবলীগ কর্মী অস্ত্রসহ আটক: পাবনার ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম গুলি করে হত্যায় জড়িত যুবলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল বাকী আরজু (৪৮) কে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে পুলিশ। সে উপজেলার চররুপপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত ইমদাদুল হক বিশ্বাসের ছেলে এবং পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাসের ভাতিজা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১০ ফেব্রæয়ারি রাতে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ি থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করে পুলিশ। সেইদিন পুলিশের দাবি, আটকের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যুবলীগ কর্মী আরজু স্বীকার করেছে যে, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যার পরিকল্পনাকারী ছিল সে এবং নিজেই গুলি করেছিল বলে স্বীকার করেছে। সেইসাথে হত্যাকান্ডের আরো গুরুত্বপুর্ন তথ্য দিয়েছে, যা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। আটক আরজু কে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন...