TadantaChitra.Com | logo

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নেত্রকোনায় রেলওয়ের জমি বিক্রির অভিযোগ!

প্রকাশিত : মে ২৭, ২০১৯, ১৯:১৬

নেত্রকোনায় রেলওয়ের জমি বিক্রির অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে নেত্রকোনা রেলস্টেশন ও রেললাইন সংলগ্ন জমি জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। রেলওয়ের জমি শর্ত সাপেক্ষে লিজ নিয়ে কৃষি জমি হিসেবে ব্যবহার করার কথা থাকলে তা মানছেন ভুমিদস্যু ইসতিয়াক বাবু ও তার সহযোগীরা। এখানেই শেষ নয় নেত্রকোনা রেললাইনের ১শ’ গজের মধ্যে দিব্যি দ্বিতল বাড়ি ও দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দেয়া ছাড়া ও উক্ত জমি থেকে তিন শতাংশ জমি বিক্রি করেছে অভিযুক্তরা।
বর্তমানে জমির ক্রেতাদ্বয় গাফ্ফার ও জাহেদুল নিজেদের জমির দখলে রাখতে ওই জমিতে পাকাভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এঘটনায় রেলকর্তৃপক্ষ ইসতিয়াক আহম্মেদ গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। আর এমন ঘটনায় রেলের জমি কেনা-বেচা হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা মৌজার অধিহণকৃত জমির অব্যবহৃত অংশ লিজ নেয় যৌথভাবে ইসতিয়াক আহম্মেদ,ইমরান হোসেন ও ইমতিয়াজ আহমেদ। যাদেরকে কৃষি কাজের জন্য মুলত নয় শতাংশ জমিটি লিজ দেয়া হয়। কিন্তু তারা শর্ত ভঙ্গ করে দোকানঘর নির্মাণ সহ ঐ জমি কিছু অংশ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
সুত্র জানায়, ইসতিয়াক আহম্মেদ গংরা ২০১৭ সালে পূর্বধলা মৌজাস্থ ৮৮নং মৌজাস্থ বিএস-২০৫৭ ও ২১২৫ দাগের ৯ শতাংশ জমি লিজ নেয়। কৃষি কাজের শর্তে লিজ নিলেও তারা ঐ জমিতে দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। এখানেই তারা ক্ষান্ত হননি, এবার ঐ জমি থেকে শতাংশ প্রতি ১০ লাখ টাকা দরে ৩০ লাখ টাকায় ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয় গাফ্ফার ও জাহেদুলের কাছে। বিষয়টি নেত্রকোনা রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় তাদের কে সেচ্ছায় উচ্ছেদ এর জন্য নোটিশ প্রেরন করে। কিন্তু ইসতিয়াক আহম্মেদ ও তার সহযোগিরা বিষয়টি আমলে নেয়নি। ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেত্রকোনা বিভাগীয় অফিসের ফিল্ড কানুনগো রুহুল আমিন বাদী হয়ে ইসতিয়াক আহম্মেদ, ইমরান আহম্মেদ ও ইমতিয়াজ আহম্মেদকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন।যাহার মামলা নং-১২/২০১৯।
অপর এক সুত্রে জানা যায়, ইসতিয়াক গংরা রেলওয়ে বিভাগীয় এষ্টেট অফিসার নজরুল ইসলাম কে মোটা টাকায় ম্যানেজ করে ঐ জমি বিক্রি করেছে বলে মামলা করেও কোন সুবিধা করতে পারছেনা মামলা বাদী রুহুল আমিন। কারন মামলা করার পর থেকে রুহুল আমিনকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা নজরুল ও ইসতিয়াক গ্রুপ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ওদের চিনিই না,তবে এমন অভিযোগ থাকলে ওদের বিরুদ্ধে আমি নিজেই মামলা করবো,আপনি আমাকে এই বিষয়ে তথ্য দিন।
জমির ক্রেতা হিসেবে অভিযুক্ত গাফফার মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন,আমি জমি কিনেছি বিষয়টি মিথ্যা, তবে আমি ইশতিয়াক ভাইয়ের কাছ থেকে ঐ জমিতে নির্মিত দোকান ঘর ভাড়া নিয়েছি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইসতিয়াক বলেন,আমি লিজ নিয়েছি জমি এটা সত্য, তবে আমি বিক্রি করিনি।তবে রেলওয়ের মামলা কি মিথ্যা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশতিয়াক বলেন,আমার জানা মতে ওটা মামলা না পিটিশন ছিল,আমি ওই পিটিশনের পাল্টা জবাব ও দিয়েছি।
মামলার বাদী রুহুল আমিন বলেন, রেলের কর্মকর্তারা মামলার কাজে সহযোগিতা না করলে রেলের এই জমি উদ্ধার সম্ভব নয়। রেলের কোন প্রভাবশালী কর্মকর্তা যদি বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন তাহলে অন্য বিভাগের লোকজনের কি করার থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেল স্টেশন এলাকার এক লিজ গ্রহীতা জানান, আমরা রেলের পতিত জমি লিজ নিয়ে ব্যবহার করছি। যদি রেল চায় যে কোনো সময় সেটি ফেরত নিয়ে নিতে পারবে। তবে লিজের বাইরেও অনেক জমি দখল হয়ে গেছে। কিন্তু এই জমি বিক্রি করার অধিকার আমাদের নেই।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেত্রকোনা রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, রেল স্টেশনের দখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও উত্তোলন করেছি। মামলা হয়েছে। রেলের জমি রেলেরই থাকবে। এছাড়া অন্যত্র যেসব দখল হয়েছে তাদেরও নোটিশ করা হয়েছে। সেগুলোও শিগগিরই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।