১৮ বছরের পুরানো সংসারের মায়া ত্যাগ করে ১৩ বছরের সন্তান রেখে নতুন সংসারে আবদ্ধ শিমুলী ইসলাম নিলু!

স্টাফ রিপোর্টার: মাদক বিরোধী সংগঠনের ব্যানারে বিজ্ঞাপনে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, এমন কি বঙ্গবন্ধুর ছবি নিজের ছবির সাথে ব্যবহার করে পত্রিকায় এবং ফেইসবুক আইডিতে ঢালাও ভাবে প্রচার করে প্রতারণা করে আসছে কথিত মাদক বিরোধী সংগঠনের নেতা আমান! অভিযোগ রয়েছে, কথিত সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাদক ব্যবসায়ী কথিত সাংবাদিক আমানের গোমর ফাসঁ হয়েছে। ভুঁইফোড় মাদক বিরোধী সংগঠন তৈরি করে সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ এর ব্যানারে, বিজ্ঞাপনে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার,বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে পত্রিকায় এবং ফেইসবুক আইডিতে ঢালাও ভাবে প্রচার করা হয়েছে। ঢাকার বিজ্ঞ দায়রাজজ আদালতে মাদকসহ হাতে নাতে গ্রেফতার হওয়া বিচারাধীন মাদক মামলার আসামী কথিত সাংবাদিক মাদক ব্যবসায়ী রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানে দৈনিক নতুন দিন ও আলোর জগত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এইচ এম আমিনুল ইসলাম আমান ওরফে এইচ এম আমান ও নিলু ওরফে শিমুলী ইসলাম নিলু গাজাঁসহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে জানা গেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে আমান ধুমছে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন নামসর্বস্ব পত্রিকার সাংবাদিকসহ এলাকার কিছু বখাটে সহযোগে সে একটি মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী, সিলেট সহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে বলে জানা গেছে। ঢাকা রেলওয়ে থানাধীন বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আলী আকবর আমানকে গত ১১/১২/২০১৫ তারিখ মাদকসহ রেলওয়ে থানাধীন বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল যার বিমান বন্দর রেলওয়ে থানার মামলা ৬ তাং ১১/১২/২০১৫, অভিযোগ পত্র নং ২২৫, তারিখঃ ৩১/১২/২০১৫। তিনমাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চাঁদাবাজি ও পূর্বের মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এইচ এম আমিনুল ইসলাম আমান নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়ের, রুদ্ররামপুর ডাকঘরের আওতাধীন মনোহরপুর গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল গনি পাটোয়ারী ও মাতা মোসাঃ আয়শা বেগমের ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা মুন্সি বাড়ী, প্রযত্মে: আব্দুল মোমেন মুন্সি, বাড়ী নং ৪০, ওয়ার্ড নং ১, মসজিদ রোড, মাহমুদবাগ, নগরিয়া বাড়ি, দক্ষিণ খান, ঢাকা। অপর দিকে শিমুলী ইসলাম নিলু, ৩২৭ পূর্ব নাখাল পাড়া, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ঢাকা-১২০৮ ঠিকানা ব্যবহার করে কিন্তু তার স্থায়ী ঠিকানা গ্রামঃ ছোট কেগনা, ডাকঘরঃ আমকি বাজার, উপজেলা সোনাইমুড়ী, জেলাঃ নোয়াখালী তার পিতার নাম মৃত নুরুল ইসলাম, মাতাঃ নুরজাহান বেগম। বর্তমান ঠিকানা মুন্সি বাড়ী, প্রযত্মে: আব্দুল মোমেন মুন্সি, বাড়ী নং ৪০, ওয়ার্ড নং ১, মসজিদ রোড, মাহমুদবাগ, নগরিয়া বাড়ি,দক্ষিণ খান, ঢাকা। আমান ও নিলু মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ধান্দাবাজী, আদম ব্যবসাসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ও নিজেদের অপকর্ম চালিয়ে যেতে মুখোশের আড়ালে সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ০১/০৬/২০১৮ খ্রিঃ তারিখ সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ নামে একটি মাদক বিরোধী সংগঠন তৈরি করে এর মহাসচিব হিসেবে কমিটি গঠন করে। কমিটির তালিকা দৈনিক আলোর জগত পত্রিকাসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার করা হয়। শুধু তাই নয়, আমানের ফেইসবুক আইডিতেও কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পীকার এবং বঙ্গবন্ধুর ছবির সাথে আমান নিজের ছবি ব্যাবহার করে সংগঠনের মহাসচিব সেজে বিজ্ঞাপন বানিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। একই সাথে আমানের নিজের ফেজবুক আইডিতেও ঢালাও ভাবে প্রচার করা হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে ১. প্রধান উপদেষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২. বিশেষ উপদেষ্টা জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি রংপুর-৬, সম্মাননীত উপদেষ্টা দেখানো হয়েছে, ৩. আলহাজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, ৪. একরামুল করিম চৌধুরী এমপি ও সাধারন সম্পাদক, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ, ৫. ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস এমপি ঢাকা-১০, ৬. ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ৭.আবুল হাসেম, চেয়ারম্যান পার্টেক্স গ্রুপ, ৮. এইচ এম ইব্রাহীম এমপি নোয়াখালী-১, ৯. মোঃ ইসরাফিল আলম এমপি নওগা-৬, ১০. আ জ ম নাসির উদ্দীন চৌধুরী মেয়র চট্রগ্রাম ও সাধারন সম্পাদক, চট্রগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ, ১১. মোঃ আফসারুল আলম এমপি চট্রগ্রাম-১০, ১২. বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবান. ১৩. এম এ লতিফ এমপি চট্রগ্রাম-১১, ১৪. শামছুল আলম এমপি পটিয়া-১২, ১৫. ডা. এস এম মনিরুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম বার, ১৬. মোঃ ছালাম ইস্পাহানী, এমডি ইস্পাহানী গ্রুপ, ১৭. ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান চট্রগ্রাম ওয়াসা। কমিটির মূল তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়িরা। দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি মাদকবিরোধী সংগঠনের নাম সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ। এসব সম্মানীয় ব্যক্তিদের অজান্তে তাদের নাম, পদবী, দপ্তরের ঠিকানা ব্যবহার করে পত্রিকা ও ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রচারনা চালায়। শুরু করে জেলা উপজেলায় কমিটি গঠন ও আইডি কার্ড বানিজ্য। শুধু তাই নয়, মাদকের ব্যবসা সাচ্ছ্যন্দে চালিয়ে যেতে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনের উধ্বর্তন ব্যক্তিদের সাথে আমান নিজের ছবি তুলে নিজের ফেইসবুক আইডিতে পোস্ট এবং শেয়ার করছে। এসব কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে সব ধরনের শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে নিজেকে একজন সম্মানিত খ্যাতিমান ব্যক্তি হিসেবে জাহির করে মাদক ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে চাচ্ছে। কেউ যাতে আমান ও নিলুর অপকর্মের ব্যাপারে প্রশ্ন না তোলে এ জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে। দুই সন্তানের জনক আমানের দ্বিতীয় স্ত্রী ১ সন্তানের জননী নিলুকে আমান ঢাল ও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আমানের সকল অপকর্মের সার্বক্ষনিক সঙ্গ দিচ্ছে তার ২য় স্ত্রী শিমুলী ইসলাম নিলু। নিলু এলাকায় ভয়ঙ্করী হিসাবে চিহ্নিত এবং এই সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্য। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি এই সিন্ডিকেট ব্লাকমেইলিং ও চাদাঁবাজীসহ অনেক অপকর্মের হোতা। রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন ইজিবাইক স্ট্যান্ডে, ভাসান ব্যবসায়ী, বেকারী কারখানা, কেমিক্যাল কারখানা, আউট সোর্সিং কোম্পানি থেকে চাঁদা বাবদ মাসোয়ারা আদায়, বিভিন্ন এলাকার ভবন মালিকদের নিকট থেকে চাঁদাবাজি আমান ও নিলুর অন্যতম ব্যবসা।
সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা নাম রয়েছে এমন কয়েকজন ব্যক্তির নিকট জানতে চাইলে অনলাইন টিভি চ্যানেল Channel7bd.com এর প্রধান সম্পাদক এস.এম.এ মুনসুর মাসুদ বলেন, সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ নামের কোনো মাদক বিরোধী সংগঠনের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। এ সংগঠনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমার অনুমতি ছাড়া কিভাবে আমাকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক প্রজন্ম.কমের সাংবাদিক মোঃ মুন্না বলেন, এই রকম (সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ) সংগঠনের নাম জীবনেও শুনি নাই। কমিটির তালিকায় সদস্য হিসেবে আমার নাম কিভাবে আসলো সে বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। দৈনিক স্কাই এর সাংবাদিক মোঃ সগির আহমেদ বলেন, এই সংগঠনের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। সচেতন নাগরিক ফোরাম বাংলাদেশ নামক কথিত মাদক বিরোধী সংগঠনের তালিকা ও মাদক মামলার আসামী মাদক ব্যবসায়ী আমান আলোর জগত পত্রিকায় সংগঠনের ব্যানারে বিজ্ঞাপনে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, এমন কি বঙ্গবন্ধুর ছবি নিজের ছবির সাথে ব্যবহার করে পত্রিকায় এবং ফেইসবুক আইডিতে ঢালাও ভাবে প্রচার করার বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক আলোর জগত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এম ফারুক আলম তালুকদার বলেন, এরকম কোন বিষয় আমার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই তবে আমার অজ্ঞাতে এরুপ কোন বিষয় আমার পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমি এর সংশোধনী প্রকাশ করবো এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য পত্রিকার কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগের বিষয়ে আমান ও নিলুর সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নিতে প্রশ্ন করলে কৌশলে এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং পরে দেখা করে জানাবেন বলে চলে যান।
