নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি এমভি ফারহান লঞ্চে চলচ্চিত্র কর্মীকে খুন করে লাশ নদীতে ফেলে দেন সন্ত্রাসীরা। গত ৩১ মে ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় ফারহান লঞ্চে যাওয়ার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন বিকেল ৩ টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ভুতেরদিয়া সংলগ্ন সুগন্ধা নদী থেকে সাদ্দাম হোসেন (২২) এর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। সাদ্দাম হোসেন উজিরপুর উপজেলার ওটরা গ্রামের বাসিন্দা মো. শাহজাহান বেপারীর ছেলে।
বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি) এর শুটিং সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন নিহত সাদ্দাম হোসেন।
সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাইনুল হোসেন জানান, ‘গত ৩১ মে ঈদের ছূটি কাটাতে ঢাকা-ভান্ডারিয়া রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-১০ লঞ্চযোগে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় সাদ্দাম। লঞ্চের ভিতরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সে এবং অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের সাথে একপর্যায়ে হাতাহাতি হয় সাদ্দামের। এই সময়ে এমভি ফারহান ১০ লঞ্চের স্টাফরাও অজ্ঞান পার্টির সাথে এক হয়ে সাদ্দামের উপর হামলা চালায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে লঞ্চে থাকা অবস্থায়ই সাদ্দাম মোবাইল ফোনে এই হামলার কথা জানায় তাকে।’
শনিবার খুব ভোরে লোকজন নিয়ে সাদ্দামের খোঁজে বানাড়ীপাড়ার মীরেরহাট লঞ্চঘাটে যান তিনি। কিন্তু ঘাটে এসে লঞ্চ পৌঁছলেও পৌছায়নি সাদ্দাম। উজিরপুর থানায় এই ঘটনার জন্য সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সাদ্দামের ভগ্নিপতি মাইনুল। মাইনুল বলেন ‘সাদ্দামকে লঞ্চ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে, এবং এই ঘটনার সাথে এমভি ফারহান ১০ লঞ্চের স্টাফরা ও জড়িত আছে।” এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান মাইনুল।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি দিবাকর চন্দ্র দাস জানান, নদীতে লাশটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মাইনুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি থানায় গিয়ে লাশ সনাক্ত করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি।
এদিকে সাদ্দামের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন কলাকুশলী তাদের ফেইসবুক আইডিতে পৃথক পৃথক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এবং এর সুষ্ঠু তদন্তের জোর দাবী জানিয়েছেন। কিন্তু তারাও জোড়ালো কোন পদক্ষেপ নেন নি। কোন আন্দোলন বা মানববন্ধনও করেননি তারা। এদিকে সাদ্দাম হোসেনের হত্যার সাথে কারা জড়িত তার কোন ক্লুই উদঘাটন করতে পারে নি পুলিশ। জানা গেছে, ঈদের ব্যস্থতা নিয়ে পুলিশ ব্যস্ত থাকার কারনে এ হত্যা ঘটনায় প্রাথমিক কোন তদন্তও করেন নি তারা। এ দিকে এফবিতে ক্ষোভে ফুঁসছে চলচ্ছিত্র পরিচালক সহ তার সহকর্মীরা। তারা অনেকেই জানান, ঈদের পরে যদি সাদ্দাম হত্যার আসামীদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গাফিলতি করে তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যাবো। অভিযোগ উঠেছে, ফারহান লঞ্চ মালিকদের কাছ থেকে অনৈতিক স্বার্থ নিয়ে পুলিশ মামলাটি আত্মহত্যা বা দূর্ঘটনা বলে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন। আমাদের অনুসন্ধান চলছে, বিস্তারিত আসছে……..
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত