আজ থেকে ১০-২০ বছর আগেও আমাদের দেশের নাটকগুলো পারিবারিক গল্প নিয়েই নির্মিত হতো। বেশির ভাগ নাটকেই বাবা-মা একটা মুখ্য ভূমিকায় থাকতেন। থাকতো পারিবারিক ও সামাজিক ঐতিহ্যের ছোঁয়া। ধর্মীয় আচার-আচরণও বাদ ছিলনা।
একসময় টিভি নাটকে দেখেছি সকালে আজানের ধ্বনি ভেসে আসত। কোনো দৃশ্যে দেখা গেছে গৃহকর্তা বা কর্ত্রী নামাজ শেষে দুই হাত তুলে মোনাজাত করছেন বা পূজা আর্চনা করছেন। বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সবাই বাড়িতে একত্রিত হচ্ছেন। কেউবা মামাবাড়ি, ফুফুবাড়ি যাচ্ছেন। সেখানে মামা-মামি বা ফুফুর সঙ্গে দৃশ্য হচ্ছে নানান পারিবারিক বিষয় নিয়ে।
কিন্তু এখন দিন বদলেছে। নাটকে মা-বাবা বা অন্যান্য চরিত্রের দৈর্ঘ্য কমতে শুরু করেছে। এমনও হয়েছে, মা-বাবার চরিত্র ছাড়াই তৈরি হয়ে যাচ্ছে নাটক। মা-বাবার চরিত্র থাকে ফ্রেম বন্দি অর্থাৎ বাবা-মা মৃত। পারিবারিক ঐতিহ্যও খুঁজে পাওয়া যায় না। নাটক হয় নায়ক-নায়িকা আর মোবাইল ফোন নিয়ে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার সংলাপ এবং অঙ্গভঙ্গি করে হাসানোর চেষ্টা। এমন অভিযোগ বেশির ভাগ নাটকের শিল্পী-কলাকুশলীদের।
সেই অভিযোগই দেখা গেলো চলতি বছরের ঈদের ‘ইত্যাদি’তে। সেখানে বাবা-মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা জনপ্রিয় কয়েকজন তারতকাকে নিয়ে একটি পর্ব করা হয়। সেখানে তুলে ধরা হয় নাটক থেকে পারিবারিক ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার কথা।
ইত্যাদির ‘ক্ষোভ সমাবেশ’টি দেখে হয়তো আমাদের দেশের নির্মাতার একটু সচেতন হবেন। নাটকে আবারো তুলে আনবেন পারিবারিক ঐতিহ্য আর বাবা-মায়ের চরিত্র।
এদিকে ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত ‘ক্ষোভ সমাবেশ’টি অনেকেরই মনে নাড়া দিয়েছে। ইউটিউবে আমিনুল ইসলাম রাজিব নামে একজন লিখেছেন, “ক্ষোভ সমাবেশ ভালো ছিল। এখন সব নাটকই হয়ে গেছে প্রেমলীলা। শিক্ষার কিছুই নাই।”
এমএন স্বপ্না নামে একজন লিখেছেন, “ইত্যাদির সবচেয়ে ভালো লাগলো ক্ষোভ সমাবেশ। অসংখ্য ধন্যবাদ হানিফ সংকেত। ইত্যাদি যেনো কখনো বন্ধ না হয়। আপনার উত্তরাধিকার তৈরি করুন ভাই। ধন্যবাদ”
‘টিউবওয়েলের পানি পান করে ফরিদপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ’
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিউবওয়েলের পানি পান......বিস্তারিত