TadantaChitra.Com | logo

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ নারী কেলেঙ্কারীতে সেরা এসপি‘র বিদায়!

প্রকাশিত : জুন ১৯, ২০১৯, ১৮:৩৪

আজ নারী কেলেঙ্কারীতে সেরা এসপি‘র বিদায়!

তদন্ত চিত্র: তিনি ছিলেন ভোলার আলোচিত এক পুলিশ সুপার! তবে কাজে নয়, বিতর্কিত বিভিন্ন দিক থেকেই তিনি এ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ভোলা। মাদক নির্মূলের নামে অসহায় মানুষদেরকে গ্রেফতার করে মাদক মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণের শিরোমনি তিনিই। বড় বড় অপরাধ করেও পার পেয়ে গেছেন তিনি। টানা সাড়ে তিন বছর ভোলার অলিগলি শাষন-শোষন করেছেন। রাজতৈনিক নেতারাও তার কাছ থেকে রেহাই পাননি। এক কথায় তিনি রক্তচোঁষা জোঁকের মত ভোলার মানুষের রক্ত পান করেছেন। অবশেষে সম্প্রতি তার বদলী নির্দেশ হয়। তিনি ছিলেন নারী কেলেঙ্কারীতে সেরা। এটা শুধু ভোলা জেলায় নয়, তোর এমন অব্যশ ছিলো যখন যেখানে পুস্টিং হত তখন সেখানেই নারী পুলিশ সদস্যকে জোড় করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে তিনি। প্রিয় পাঠক তিনি আর কেউ নন; তিনি হচ্ছেন ভোলা জেলার সদ্য বদলীর আদেশকৃত এসপি মোকতার হোসেন।
এসপি মোকতার হোসেন এর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর সংবাদ প্রকাশ করায় গত ২০ ও ২৫ অক্টোম্বর ২০১৮ সালে ভেদুরিয়া এলাকাধীন দুই ব্যক্তিকে দিয়ে কোর্টে দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করান এসপি। অত্র মামলায় যে সময় ও তারিখ দেখানো হয়েছে সেই তারিখ জিয়াউর রহমান কক্সবাজার ভ্রমনে ছিলেন। এসপি’র চাপের মূখে দুইটি মামলাই তদন্তবিহীন তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা কোর্টে চার্জসীট দিতে বাধ্য হয়।
তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালীন মোকতার হোসেন এক নারী কনেষ্টবলকে সেক্সুয়াল কথাসহ তার অফিসে যেতে বলেন। ওই নারী কনেষ্টবল সেদিন তার অফিসে যাবে বলে শুনা যায়। এরপর যেখানেই তার পুষ্টিং হয়েছে সেখানেই নারী কনেষ্টবলদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন ভোলা জেলার এসপি মোকতার হোসেন। এছাড়াও তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে এক নারী কনেষ্টবলের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে একটি অডিও রেকর্ড আমাদের কাছে এসেছে। ওই অডিও রেকর্ড হুবাহু নিজে তুলে ধরা হলঃ
মেয়েঃ এই তো কোথায় আপনে??
মোকতার হোসেনঃ ঘুমাতে ছো নাকি??
মেয়ে ঃ হে…..
মোকতার হোসেনঃ ঘুমাতে ছো????
মেয়েঃ হা ঘুমাচ্ছি, কই আপনে??
মোকতার হোসেনঃ বাসায়??
মেয়েঃ হা রুমে
মোকতার হোসেনঃ হা আমি অফিসে, কি কর???
মেয়েঃ এই তো অফিস থেকে আসি খুব মাথা ব্যাথা করতে ছিল তাই শুইছি।
মোকতার হোসেনঃ তোত দেখা করলে একটা সুযোগ ছিল।
মেয়েঃ যাইতে চাইছিলাম, মুন্সি বেটা ভাল না, বললাম আমারে আজ ডিউটি দিয়েন না কালকে দিয়েন, তাও কচ্ছে পোর্স নাই আজকের দিনটা কর।
মোকতার হোসেনঃ না স্যার আজকে আমারে ডাকছিল একবারে ফ্রি ছিল।
মেয়েঃ হিম…
মোকতার হোসেনঃ একবারে ফ্রি ছিল।
মেয়েঃ ফ্রি ছিলেন???
মোকতার হোসেনঃ হে হে …..
মেয়েঃ আজকে????
মোকতার হোসেনঃ আজকে তো শুভাষ (তৎকালীন এসপি ফরিদপুর) নাই এসপি স্যার নাই, কেই নাই।
মেয়েঃ নুসরাত??
মোকতার হোসেনঃ হে??
মেয়েঃ নুসরাত কই গেছে??
মোকতার হোসেনঃ ও তো চলে গেছে আড়াইটার দিকে।
মেয়েঃ আড়াইটার দিকে চলে যায়??
মোকতার হোসেনঃ হি……
মেয়েঃ হি হি তারপর পোস্টিং হয়নি এখনো??
মোকতার হোসেনঃ না, আসবা আজকে….এরপর স্পস্ট বুঝা যায় নি। পরে.. আসলে আজ কিছু হইতো।
মেয়েঃ ও দেখি, আপনে ওসি’ক বলছেন দেখে রাইখেন, ওসি স্যার একটু এদিক সেদিক গেলেই বাজারে গেলেই বলে যাওনা কেন? এই কর না সেই কর না এডিশনাল এসপি স্যার বলছে তোমারে দেখে রাখতে।
মোকতার হোসেনঃ ওটা আমার রেপারেন্সে দিয়া বলছে, এমনে তোমারে ই করার জন্য।
মেয়েঃ তাই
মোকতার হোসেনঃ আমার রেপারেন্স দিয়া তোমারে চাপাইয়া রাখছে, তুমি বুঝ নাই।
মেয়েঃ স্যার বলছে তোমারে দেখে রাখতে বলছে। বাজারে গেলে বলে যাবে। আমাগে বলে বাজারে গেলে বল্লে যাবে। ঠিক আছে এ জন্য বাজারেও যাইনা। বাজারও করি না।
মোকতার হোসেনঃ তুমি তুমি তিনটার দিকে, তিনটার দিকে আস কেউ থাকবে না
মেয়েঃ ও ও….আচ্ছা দেখি
মোকতার হোসেনঃ বুঝতে পারছো
মেয়েঃ হা….
মোকতার হোসেনঃ অস্পষ্ট ভাষায় কি যেন বলে, পরে.. আর এমনে শরীর ঠিক আছে তো???
মেয়েঃ হা শরীর ঠিক আছে সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ প্যান্ডি ম্যান্ডি পরার দরকার নাই বুঝতে পারছো??।
মেয়েঃ এহ এহ না সমস্যা নাই হিম হিম সমস্যা নাই, সমস্যা নাই, সমস্যা নাই, আমি যাব নি, দেখি।
মোকতার হোসেনঃ হে….
মেয়েঃ আমি যাব দেখি, গোছ গাছ, উঠি, উঠা গোসল টোসল কইরা আপনার সাথে যাই, চুপ করে চলে যাব, তিনটার দিকে টুপ করে চলে যাব। এরপর কি যেন বলতে চায় মেয়ে….
মোকতার হোসেনঃ আসার আগে রিং দিও।
মেয়েঃ আসার আগে রিং দিব??
মোকতার হোসেনঃ রিং দিবা না নাইলে তো আমি অফিসে থাকবো না।
মেয়েঃ আহ আহ আচ্ছা ঠিক আছে।
মোকতার হোসেনঃ আমি রওয়ানা দিলাম।
মেয়েঃ হ্যায়….
মোকতার হোসেনঃ যে স্যার আমি রওয়ানা দিলাম।
মেয়েঃ হ্যায় আচ্ছা ঠিক আছে..
মোকতার হোসেনঃ বুঝতে পারছ??
মেয়েঃ হ্যা…..
মোকতার হোসেনঃ রওয়ানা দিয়ে এখানে আসলে মানি বলবা যে পোস্টিং মোস্টিং এর জন্য..রব .রবে থাকবে তো।
মেয়েঃ রব??
মোকতার হোসেনঃ রব থাকবে রব, ওই যে অর্ডার্লী।
মেয়েঃ সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ হে…
মেয়েঃ সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ কইও যে পোস্টিং এর ব্যাপারে আলাপ করমু।
মেয়েঃ ও আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই।
মোকতার হোসেনঃ একটু পরিস্কার টরিস্কার কইরা আইসো।
মেয়েঃ হে হে হে…
মোকতার হোসেনঃ কইসা মাইজা সব ধুয়া মাইজা আইসো।
মেয়েঃ হা হা হি হি হি….আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নাই হে হে।
মোকতার হোসেনঃ ঠিক আছে।
মেয়েঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
মোবাইল ফোনে এমন সব কথা বলেন তৎকালীন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন। যা মোবাইল ফোনে ধারনকৃত একটি রেকর্ডিং এর অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছি। ওই রেকডিংটি ছিল বর্তমান ভোলা জেলার এসপি মোকতার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ মডেল থানার কনেষ্টবল এক মেয়ের। যা ৩ মিনিট ১৯ সেকেন্ড ধরে তাদের মধ্যে এই কথা হয়।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।