TadantaChitra.Com | logo

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকি!

প্রকাশিত : জুন ২৮, ২০১৯, ১৮:৫১

ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকি!

ফ্ল্যাট কেনার পর তা বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ক্রেতার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শামসুল হুদা দম্পতি।

আড়াই বছর আগে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার ৭ নম্বর রোডের ৪২৩ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট (৩/এ নম্বর) কেনেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার দেওয়ান শামসুল হুদা। বায়না অনুযায়ী মালিক মুশরাত জাহানকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকাও পরিশোধ করেন। কিন্তু ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে উল্টো গত বছরের ৬ ডিসেম্বর শামসুল দম্পতিকে ওই ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে একটি মামলাও হয়। মামলায় আদালত মুশরাত জাহানকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপরও তিনি গ্রেফতার হননি। উল্টো মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। বলছেন, ফ্ল্যাট ও টাকা কিছুই দেবেন না। এ অবস্থায় টাকা উদ্ধার, নয়তো ফ্ল্যাট ফেরত পেতে চাইছেন ভুক্তভোগী।

শামসুল হুদার স্ত্রী জেসমিন আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ফ্ল্যাট ক্রয়ের লিখিত বায়না হয়েছে। বায়নার শর্ত মোতাবেক টাকা দিলেও মালিক পক্ষ রেজিস্ট্রি করে দেননি।’

তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাট কেনার পর আমরা দুই বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিলাম। ওই সময় ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য একাধিকবার তাগাদা দিলেও নানা টালবাহানা করা হয়। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রদেয় অর্থের বিপরীতে চেকের ওপর একটি এনআই মামলা করি। ওই মামলার রায়ে আদালত গত বছরের ২ অক্টোবর মালিক মুশরাত জাহানকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন। এরপর মুশরাত জাহান ও তার মেয়ে কারিশা মুশরাত আদালতের নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে আমাদের জোর করে ফ্ল্যাট থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয় এবং ফ্ল্যাটে থাকা ২৫ ভরি স্বর্ণসহ নগদ টাকা নিয়ে নেয়।’

জেসমিন আক্তার আরও বলেন, ‘বিচার চেয়ে আমরা ফের মামলা করি। সেই মামলা এখন বিচারাধীন। মামলায় আদালত মা-মেয়েসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু তাদের কেউ জামিন নেননি। পুলিশও তাদের গ্রেফতার করেনি।’

‘এরপর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি গেলে গত ৯ জুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ইন্দইল ব্রিজের কাছ থেকে একদল লোক আমার স্বামী দেওয়ান শামছুল হুদাকে অপহরণ করে। এ সময় তিনি শ্যালক মামুনুর রশিদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন।’

তিনি আরও জানান, হঠাৎ দুটি মাইক্রোবাস এসে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে সাত-আট যুবক নেমে শামছুল হুদাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে একটি মাইক্রোবাস আটক করে এবং পাঁচ-ছয়জনকে নামিয়ে এনে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় অপহৃতের শ্যালক মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই আদমদীঘি থানায় একটি জিডি করেন। (জিডি নম্বর-৩৫৫)।

পরদিন অর্থাৎ ১০ জুন রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কচুক্ষেত এলাকায় অসুস্থ অবস্থায় পাওয়ায় যায় ফ্ল্যাট ক্রেতা শামসুল হুদাকে। ওই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে ফের আদমদীঘি থানায় জিডি করেন তিনি।

জেসমিন আক্তার বলেন, ফ্ল্যাট প্রতারণার দায়ে মামলা করায় ক্ষিপ্ত মুশরাত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে কতিপয় ব্যক্তিকে তার স্বামীর পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন। মুশরাত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।