দুজনেই হজ্ব করেছেন, মুখে সব সময় ইসলামী বানী,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে রয়েছে দুজনেই বেশ সুনাম,বড় কর্তাদের ম্যানেজ করতে তাদের মিস্টিভাসী কথাই যেন যথেস্ট।নিজ কর্মস্থলের চেয়ে সময়টা বেশির ভাগ দিয়ে থাকেন অধিদপ্তরের বড় কর্তাদের সাথে। অধিদপ্তর নাকি তাদের কথায় ওঠে বসে।মুন্সিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা: গোলাম মোস্তফা মাঝে মাঝে মিটিং এ সহকর্মিদের এ হুমকিও দিয়ে থাকেন যে,আমার নিয়মই অধিদপ্তরের নিয়ম।অধিদপ্তরের কয়েকজন বড় কর্তার নাম নিয়ে বলেন এরা আমার বন্ধু, আমার নিয়মে কাজ না করলে বদলী করে দূরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।তার সাথে এসব কথা ও কাজের সঙ্গ দিয়ে তারই জুনিয়র অফিসার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা এম সি এমও ডা: খোরশেদ আলম।উপজেলা সদর সহ অন্যান্য সকল সেন্টারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ডা: খোরশেদ কে ভয় পায় কারন ডা: খোরশেদ উপ পরিচালকের খুব কাছের লোক।আসল রহস্য খুজতে গিয়ে আমাদের টিম জানতে পারেন যে, সরকারী বরাদ্ধের অর্থ দুজনার মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার মধ্যে দিয়েই দুজনার এ সখ্যতা এত মধুর।ডা: খোরশেদ প্রতিদিন উপ পরিচালকের অফিসে একবার হাজিরা দেন অথচ তার জন্য নির্দিষ্ট রোগী দেখার চেম্বার মুন্সিগঞ্জ সদর মা ও শিশু ক্লিনিকে।কিন্তু গত একবছরে একদিনের জন্যও চেম্বারে বসেননি বা একটি রোগীও দেখেননি।
গত কয়েকদিন আগে রোগীর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া ইমপ্রেস ফান্ডের টাকা আত্মসাতের তথ্য খুজতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক অফিস চলাকালীন সময়ে ডা: খোরশেদ আলম কে তার ব্যাক্তিগত চেম্বারে দেখেন এবং সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান যে, অফিস চলাকালীন সময়ে আর ব্যাক্তিগত চেম্বার করবেন না।কিন্তু বিধি বাম ,চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী,কয়েকদিন পরের চিত্রও একই।
রোগীদের জন্য বরাদ্ধকৃত ইমপ্রেস ফান্ডের টাকা অনেক আগেই উত্তোলন করে খেয়ে ফেলেন।বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জেনে ফেললে ২০১৮ সালের রোগীর টাকা গত মাসে গোপনে কয়েকজন রোগীকে ডেকে এনে দিয়েছেন বলে জানা যায়। তবে অধিকাংশ রোগী এখনও যে টাকা পায়নি সেটা নিশ্চিত। সকল মাঠকর্মির টিএ বিলের ১০% ফান্ড থেকে তিনি নিজে কেটে রাখেন।
এছাড়া উপ পরিচালক ডা: গোলাম মোস্তাফার বাসার বাজার থেকে শুরু করে ঈদ মার্কেট ও তার অফিস সহকারী কবির কেও ব্যবহার্য ফান্ড ও ইমপ্রেস ফান্ড থেকে টাকা দিতে হয়।
গত ১৮/০৮/২০১৯ তাং ডা: খোরশেদ সরকারী অফিস ফান্ড থেকে ৪৪০০০(চুয়াল্লিশ হাজার টাকা) নিয়েছেন যার অফিসে কোন ভাউচার জমা দেন নাই।গত ০৯/০৫/২০১৯ এর বরাদ্দকৃত টাকায় অফিস স্টাফদের মধ্যে ৮৫৫০০/খরচ দেখানো হয়েছে যার মধ্যে ২৫%তিনি কর্তন করে নিজে নিয়ে নিয়েছেন।
উপ পরিচলকের ব্যবহারে জেলার সকল সেন্টারের মাঠকর্মিরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নাম না জানানোর শর্তে সদর উপজেলার একজন মাঠ কর্মি জানান, তার ব্যবহার একজন ভাল অফিসারের মত নয়।তিনি আমাদের সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।যারা তাকে খুশি করতে পারে তারাই শুধু তার কাছের লোক। এছাড়া সৎ ভাবে যারা কাজ করেন তাদের তিনি দেখতেই পারেন না ।এছাড়া সকল সেন্টারের ডাক্তারাও তার উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন।তিনি যার উপর ক্ষিপ্ত হন তাকে স্থানীয় সাংবাদিকদের দিয়ে তার বিরুদ্ধে নিউজ করার হুমকিও দিয়ে থাকেন। যে সকল মহিলা অফিস সহকারী তার খুব কাছের এবং বিভিন্ন সেন্টারের কাজের তথ্য তার কাছে গোপনে প্রকাশ করেন তাদের আনাগোনা তার অফিসে প্রায়ই দেখা যায় এবং এ সকল মহিলা সহকর্মিরা তার অফিসে এলে ঘন্টার পর ঘন্টা রুমের দরজা বন্ধ রেখে তাদের সাথে কথা বলেন বলে জানা যায়।
‘ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত’
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের......বিস্তারিত