TadantaChitra.Com | logo

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে কথিত সাংবাদিক নাদিরার স্ট্যাটাস!

প্রকাশিত : আগস্ট ২৮, ২০১৯, ১৭:৪৬

আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে কথিত সাংবাদিক নাদিরার স্ট্যাটাস!

গতকাল সাপ্ত‍াহিক তদন্ত চিত্রে অনলাইন ভার্সনে “উত্তরার কথিত নারী সাংবাদিক নাদিরার হলফনামা-১” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করলে উত্তরা জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠে। অনেক লোক তার ব্যাপারে অনেক তথ্যও দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টঙ্গীর এক ব্যক্তি জানান, আমার সাথে এলাকার এক লোকের দীর্ঘদিনের ঝামেলা চলছে। একাধিক মামলা দুই পক্ষের বিজ্ঞ আদালতে চলমান। হঠাৎ নাদিরা নামের এই মহিলা আবার দোকানের সামনে হাজির। আমার ভাইয়ের নাম ও আমাদের বাড়ি খোজ করছেন। এরপর আমি আমার পরিচয় দেই। প্রথমে আমাদের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ তুলে বলেন। আপনাদের বিরুদ্ধে আজই নিউজ হবে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর দোকানে বসিয়ে চা নাস্তা করায়। এরপর এই নারী জানান টাকা দিলে উল্টো আমার পতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিউজ করবেন। এই ব্যক্তি টাকার অংক না বলে এ প্রতিবেদককে বলেন, তারপর তাকে কিছু টাকা দেই। কিন্তু সে টাকা নিয়ে আর কোন নিউজও করেননি এবং অত্র এলাকায়ও আসেননি। এটা একটা চিত্র। এমন ডজনখানেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে উত্তরা ও টঙ্গী এলাকায়।

যা-ই হোক তদন্ত চিত্রের অনলাইন ভার্সনে “উত্তরার কথিত নারী সাংবাদিক নাদিরার হলফনামা-১” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেখানে রিজেন্ট গ্রুপের অফিস বা অন্য কোন অফিসের কথা/ অফিসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। কথায় আছে না “ চোরের মনে পুলিশ পুলিশ” ঠিক এই নারীর সংবাদটি নিয়ে সেই ধরনের প্রবাদে রুপ নিল।

এই কথিত নারী আজ তার ফেইজবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে প্রমান করলেন রিজেন্ট গ্রুপেও চাঁদাবাজি করতে সেদিন গিয়েছেন। একই দিন তাহলে এমন ঘটনা অহরাহ করেন এই কথিত নারী সাংবাদিক। নিজের অপকর্ম আড়াল করতে ফেইজবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন কথিত নারী সাংবাদিক নাদিরা দিলরুবা।

যা পাঠকদের জন্য হুবহুব তুলে ধরা হলঃ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ ও তদন্তচিত্রের সম্পাদক দাবীকারি জিয়া অামার আত্মহত্যার জন্য দায়ী। অাশা করবো অামার মৃত্যুর পর তাদের দুজনের দাবীমতে জনগনের কাছে প্রমান হাজির করবে অামি পতিতা ও বহু পুরুষে অাসক্ত, অশিক্ষিত, চাঁদাবাজ?

সাহেদ করিম টকশো মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব তো অাপনি , সেই সাথে উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক! অনুরোধ একটা অাপনার কাছে, অামার লাশটা অাপনার হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ডায়াগনোসিস করে দেখবেন অাশা করি, যে অামি কতটা পুরুষ অাসক্ত পতিতা!

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ অামাকে চাঁদাবাজ বলেছে তার নির্দেশে তদন্তচিত্রের জিয়া অামাকে পতিতা চাঁদাবাজ অশিক্ষিত বহু পুরুষে অাসক্ত মন্তব্য করে রিপোর্ট করে। রিজেন্ট গ্রুপের উত্তরা ১২ নম্বর অফিসে তার পত্রিকার স্টাফ অামার ছবি তোলে। সে ছবি ব্যবহার করেতদন্তচিত্রের জিয়া অামাকে পতিতা চাঁদাবাজ অশিক্ষিত, সন্ত্রাসী বাহিনী সহ যুবলীগের নেতাকর্মী নিয়ে চাঁদাবাজি করি উল্লেখ করে।বহু পুরুষে অাসক্ত মন্তব্য করে রিপোর্ট করে।অামার মৃত্যুর পর অাইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ গনমাধ্যম সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যেন ক্ষতিয়ে দেখে সঠিক তদন্ত করে অামি চাঁদাবাজ না সমাজ সেবক, দেহব্যবসা করি নাকি সেচ্ছাসেবী হিসেবে ১২ বছর ধরে রক্তদান করি,২০ বছর ধরে মৃতদেহ সুরতহালে সহায়তা সহ মৃতদেহ গোছল করাই? প্রশ্ন টা সহপাঠী, সহকর্মী, একসময়ের রাজনৈতিক সহচর, অাত্মীয়,প্রতিবেশী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, অাইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সকলের কাছে রেখে গেলাম।

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ অার তদন্তচিত্রের জিয়াকে বলছি………
আমার সাংবাদিকতা পেশায় আমি বিভিন্ন সেক্টরের অপরাধ সম্পর্কিত অনূসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করেছি।আমি অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকতার সুবাদে দেশের প্রায় তিনশ র বেশী থানায় ভিজিট করেছি।বিএনপি সরকার, তত্ববধায়ক সরকার ও যৌথবাহীনির সরকার, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সুদীর্ঘ সময়ে নানাশ্রেনী পেশার সাথে কাজ করার ও মেশার সুযোগ হয়েছে।অনলাইন পত্রিকা তদন্ত চিত্র তে সম্পাদক পরিচয়ে আমার একসময়ে অমার পত্রিকা য় কাজ করা জিয়াউর রহমান করে আমাকে কোন অাত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অামার কোন বক্তব্য না নিয়ে অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় অামাকে চরিত্রহীনা, চাঁদাবাজ, পতিতা,অশিক্ষিত দাবি করে মানহানিকর বানোয়াট ভিত্তিহীন মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করায় অামি সামাজিক মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত ও অার্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। জিয়ার এহেন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ ডিজিটাল নিরাপত্তা অাইনের পরিপন্থী। অামার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভুয়া সংবাদ প্রকাশের কারনে অামার জীবন মৃত্যুঝুকিতে। ২০০৩ সাল থেকে আমি সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় কর্মরত। কতিপয় দুর্নীতিবাজদের ইন্ধনে অামার বিরুদ্ধে তদন্ত চিত্রে বানোয়াট মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ কুরুচিপূর্ণ মিথ্যা মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করারর উদ্দেশ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফেলে মানহানি করে হয়রানি করার মাধ্যমে জীবননাশেরর চেষ্টায় লিপ্ত। তাই চাঁদাবাজ ও চরিত্রহীনেরর তকমা দিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য বিভিন্নভাবে অামাকে যেকোন সময় বড়ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে অামার অাশংকা। এছাড়া সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।

অনলাইন পত্রিকা তদন্ত চিত্রের সম্পাদক দাবিকারি জিয়া দারা যে অশালীন অাক্রমণাত্মক ভাবে হেনস্থা হয়েছি তা পুর্বে কোন গনমাধ্যম কর্মীদ্বারা কোন অশালীন ইভটিজিং এর সম্মুখীন হইনি।

অামি গত ২;৪/০৯ থেকে ৭/৫/১৯ পর্যন্ত ১১ বছরে ২৩বার সেচ্ছারক্তদান করেছি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ল্যাবে। তুরাগ থানার অনুরোধে বিগত কয়েক বছরে একাধিকবার অপমৃত্যুর লাশের সুরতহালে সহযোগীতা সহ মৃতদেহ গোছল করিয়েছি।কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মিডিয়া সেলের একজন প্রোমাষ্টার ও সেচ্ছাসেবী।৫/১০/১২ সালে অামি সন্ধানী চক্ষুদান ব্যাংকে মরনোত্তর চক্ষুদান অঙ্গীকার করি।

সারা বাংলাদেশে অামার একটি মাত্র সেভিং একাউন্ট অাছে। উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড। বানিজ্য শাখা,উত্তরা।যার হিসাব নং – 0011100113584/
যাহাতে চাদার কত টাকা অাছে জানতে পারবেন???। গত ১৭ বছর ধরে সাংবাদিকতাই আমার পেশা । খুব সাধারন জীবনযাপন করি।অামি কোন কোম্পানি বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে যাইনি। সংবাদে কোন কোম্পানিতে গেলাম, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করলাম,আমার গ্যাং বাহিনী কাদের নিয়ে গঠিত,অামার অায় বহির্ভূত সম্পদ, সে সব প্রতিষ্ঠান কোন কোন ব্যাক্তি থেকে চাঁদা নিয়েছি তার কোনউল্লেখ নেই যা অামার ফোনকল রেকর্ড পর্যালোচনা করলে সত্য প্রতীয়মান হবে। মেয়ে একাউন্টিং অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে।

আমাকে বহু পরপুরুষ অাসক্ত ও পতিতা চাঁদাবাজ বলে দাবী করে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জিয়াউর রহমান

আমি সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রায় বহু বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত থাকায় অপসাংবাদিকতার শিকার হয়েছি।
মৃত্যুর অাগে মেয়েটাকে অাজ দেখে অাসলাম অাজ দুপুরে।

অামার মৃত্যুর পর লাশ ৫/১০/১২ সালের চুক্তি অনুযায়ী সন্ধানী মরনোত্তর চক্ষু ব্যাংকে ঢাকা মেডিকেল মর্গে দান করা হয়। এটাই মৃত্যুর অাগে পরের শেষ ইচ্ছা।

সম্মানের সাথে সততার সাথে বাচতে চেয়েছি কিন্তু বার বার অপবাদ দেওয়া হয়েছে লান্চিত হতে হয়েছে আমাকে। বাঁচার ইচ্চে নেই।সাংবাদিক পরিচয়ে আরেক নারী সাংবাদিক কে লান্চিত করতে বাধঁলোনা তাদের। ভাল থাকুক মিডিয়ার এসব ভয়ন্কর মানুষগুলো।


যোগাযোগ

বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যলয়

কাব্যকস সুপার মার্কেট, ৩ ডি কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

মোবাইলঃ ০১৬২২৬৪৯৬১২, ০১৬০০০১৪০৪০

মেইলঃ tadantachitra93@gmail.com, tchitranews@gmail.com

সামাজিক যোগাযোগ

Web Design & Developed By
A

তদন্ত চিত্র কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েব সাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি।