হাবিব সরকার স্বাধীনঃ রাজধানীরে বছরের পর বছর ধরেই চলছে হরেক রকম দখলবাজি। কেউ বস্তির আধিপত্য দখল নিয়ে লড়াই করছে কেউবা বস্তি ভেঙে গড়ে তুলছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ক্ষমতার বাহাদুরিতে কেউ কেউ এগিয়ে গেছে আরও কয়েক ধাপ। তারা বস্তি সংলগ্ন লেকের পানিতে ময়লা-আবর্জনা আর মাটি ভরাট করে বস্তি সাম্রাজ্যের আরও বিস্তার ঘটিয়ে চলছে।উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে লেক ভরাটের মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে বস্তির আয়তন।
ঝুপড়ি বস্তির কাঁচা ঘরগুলো এখন রাতারাতি পাকা বিল্ডিংয়ে পরিণত হচ্ছে। কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা কে দিয়ে চালিয়ে আসছে অপরাধীরা বছরের পর বছর। বিদ্যুৎ পানির গ্যাস বৈধ সংযোগ। চুরি-ছিনতাই ফিটিং বাণিজ্য তো নিত্যদিনের ঘটনা। সরকারী জমি দখল থেকে শুরু করে, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিকে পুঁজি করেই কড়াইল বস্তিতে অন্তত কয়েক জন বাহিনী গড়ে তুলেছেন যুবদলের নেতা টুন্ডা মমিন। তার অপরাধের সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন হিরন ব্যবসায়ীর ছেলে রায়হান, শেখ ফরিদ, এরশাদ, রুস্তম মুমিনের ছোটভাই গার ট্যারা মনির।
তথ্য অনুসন্ধানে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় যে, একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ কুমিল্রা বস্তির শুরু করেছে। ওই জায়গায় বাঁশ ও খুঁটির সাহায্যে নতুন নতুন ঘর তো চলছে। এদিকে দখলবাজ গ্রুপের আরেক নেতা ও তার সহযোগীরা লেকের পানিতে বাঁশ পুঁতে, বাঁশের মাচান বানিয়ে একের পর এক ঘর তুলছেন। আগাম জামানত দিয়ে সেসব ঘর ভাড়া নিচ্ছেন লোকজন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক মুদি দোকানদার জানিয়েছেন, এভাবে জবরদখল করে গত ছয় মাসেই কড়াইল বস্তিতে তিন শতাধিক নতুন ঘর নির্মাণ হয়েছে। অন্যদিকে তাঁতী লীগের যোগ দেওয়ার পর মুমিনের ভয়ঙ্কর রূপ যেন আরো বেড়ে গেছে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষ তার কাছে লাঞ্চিত হয়েছেন।
কিছুদিন পূর্বে এক দিনমজুর মাটি কেটে অন্য জোগাড় করেন। সেই ব্যক্তিকে ফিটিং দিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন মমিন ও রায়হান গত ৩১ শে আগস্ট রোজ শনিবার রাত ৮ঘটিকার সময় ১৯ নং ওয়ার্ড লীগের উদ্যোগে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয় কড়াইল টি এন টি কলোনি ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় টুন্ডা মুমিন তার দলবল। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এসআই আবু তাহের ও এএসআই সোহেল সহযোগিতা রক্ষা পায়। এভাবেই দিনের-পর-দিন অপকর্ম করে রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন টুন্ডা মমিন, কুমিল্লা পট্টিতে মুমিনের অনুমতি ছাড়া কেউ ঘরের মেঝেটুকু পাকা করারও সুযোগ পান না।
জানা গেছে, গুলশান গাউসুল আজম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম পাশের লেক ভরাট করে প্রায় ৩ শতাধিক ঘর নির্মাণ করে অবৈধ বিদ্যু, গ্যাস সংযোগ ও পানি নিয়ে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছেন বিএন পি যুবদলের সিনিয়র কয়েকজন নেতা তাদেরকে প্রাধান্য দিচ্ছেন টুন্ডা মোমিন।
রাজধানীর গুলশান-বনানী লেক ভরাট করে অবৈধ, গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি দিয়ে বস্তি ঘর ভাড়া দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুন্ধানে জানা যায়, গুলশান-বনানীর গা-ঘেঁষে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন টিঅ্যান্ডটির নামে সরকার ১৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ১০ একর জায়গা বিটিসিএলের দখলে থাকলেও বাদ-বাকি ১৬০ একরের পুরোটাই বেদখল। এখানে অবৈধভাবে দিনে-দিনে বেড়ে ওঠে কড়াইল বস্তি। এই বিশাল বস্তিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বসবাস। জায়গা দখল, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি চুরি অভিযোগ রয়েছে্।গুলশান থানা বোমা বিস্ফোরণ মামলা বনানী থানায়একাধিক জিডিও মামলা রয়েছেন টুন্ডার বিরুদ্ধে।
তার নামে একাধিক দায়ের করা মামলা নং ৮৩৬/১৫ তাং০৬/০৯/১৮আরো একাধিক মামলা রয়েছে যার নং৪৫৫/১৬,বনানী থানা মামলা নং৮[১]১৫,১৬[৭]১৬,সি.আর মামলা নং ১৬,বনানী থানা মামলা নং ৬৯/১৭ বাদী রিপন,গুলশন থানা মামলা নং,৬/৮/১৮ ওয়াসার লাইন থেকে পানি সরবরাহ দিয়েও কয়েকজন কোটিপতির তালিকায় নাম লিখিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, কড়াইল বস্তির সোয়া তিন লাখ বাসিন্দাকে জিম্মি করে ৯ সদস্যের সিন্ডিকেট মাসে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, বস্তিবাসীর কাছ থেকে মাসে বিদ্যুতের বিল বাবদ নেওয়া হয় এক কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতিটি গ্যাসের চুলার জন্য দিতে হয় ৬০০ টাকা করে। বস্তিতে ১২ হাজার চুলা ব্যবহার করা হচ্ছে।
এসব চুলা থেকে প্রতি মাসে উঠছে ৭২ লাখ টাকা। পানির জন্য নেওয়া হয় মাসে এক কোটি টাকার বেশি। সব মিলিয়ে মাসে উঠছে আট কোটি টাকার মতো। ইতিমধ্যে এ চাঁদার টাকায় ইলেকট্রিক মেকার, টোকাই, হেলপার ও হোটেল বয়সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি কোটিপতি এমনটা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য এসেছে।
‘অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি’
অবশেষে ঢাকায় হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তির বৃষ্টি। টানা একমাস দাবদাহের......বিস্তারিত